এক বাড়ির একটি বারান্দায় একটা খাঁচা বাতাসে দুলছিলো। একদিন একটি বুলবুলি পাখি উড়তে উড়তে ভুল করে সেই ফাঁকা ও খোলা খাঁচতে ঢুকলো। সেই বারান্দায় আবার খেলছিলো সেই বাড়ির দুটি ছোট্ট ছেলে। তারপর ওরা দুষ্টুমি করে বুলবুলি পাখিটাকে ধরে ফেললো। বুলবুলির সাথে সাথে একটি শালিক পাখিও খাঁচাতে ঢুকেছিলো। শালিকটাকে ধরতে গিয়ে অনেক আনন্দে বুলবুলির কথা ভুলে গেলো। খেয়াল না করে আরেক হাতের বুলিবুলিকে ভুল করে খুব জোরে চেপে ধরলো। অমনি ছোট্ট পাখিটা টুশ করে বেহুশ হয়ে মরে গেলো।
পরে বাড়ির সবাই জানতে পেরে বাচ্চা দুটিকে সবাই অনেক বকাবকি করল। কারণ বুলবুলি তো খাঁচাতে খাবার সংগ্রহ করতে এসেছিল। পাখিটার তো দোষ নেই। যদি বুলবুলির ছোট্ট বাচ্চা থেকে থাকে তাহলে তারাতো তার আম্মুর জন্য কান্নাকাটি করবে। তখন না খেতে পেয়ে মারা যাবে। ভাবলো তাহলে তো তারা অন্যায় করেছে, আল্লাহর কাছে অনেক গোনাহ করেছে। এইসব ভেবে শিশু দুটি খুব কষ্ট পেলো মনে মনে। এরপর তারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল।
বাড়ির ছোট্ট দুই ছেলে মৃত বুলবুলিকে খালামনিদের সাহায্য নিয়ে কবর দিলো বাড়ির পেছনের বাগানে। সাথে একটি সাইন বোর্ড লাগালো। কবরটি খুব সুন্দর করে ইট দিয়ে ঘিরে দিলো। তারপর যানাজার নামাজ পড়ে পাখিটার জন্য দোয়া করল। ভুল বুঝতে পারলো তারা এবং কখনো আর এমন কাজ না করার শপথ নিলো।
– আকতার হাসান নূর (নাহিদ)
প্রথম শ্রেণী, শেখ রাসেল মডেল স্কুল
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়