ভোরের পাখি সুরের পাখি
-মুয়াজ বিন এনাম
পুব আকাশে ফর্সা আলো
খোকন তখন ঘুমিয়ে,
মা দিলেন জানলা খুলে
সূর্য গেলো চুমিয়ে।
একটা পাখি সুর করে গান
করলো গাওয়া শুরু যে,
গানের তালে খোকন সোনার
মনটা উড়ু উড়ু যে।
বললো পাখি, খোকনসোনা
আর ঘুমিয়ে থেকো না,
একটা রঙিন ভোর হয়েছে
চোখটা খুলে দেখো না!
আমরা সকল ভোরের পাখি
সুরের পাখি দাঁড়িয়ে
উড়তে কি চাও? হাত দু’খানা
দাও এদিকে বাড়িয়ে।
মিষ্টি রোদের লালচে আলো
তোমায় দেবো পরিয়ে
খেলবে তুমি খেলবো আমি
সুখটা যাবে ছড়িয়ে।
মানবতা
-এনাম রাজু
রোহিঙ্গারা মরছে দেখো
নিজের ভূমিতে
উচিত কথা বলতে গেলে
চক্ষু ভরে ধূলিতে।
বিশ্ব এখন ঘুমের ভেতর
মরছে শিশু নারী
তাদের জন্য আমরা কিন্তু
অনেক করতে পারি।
সবাই যদি থাকে চুপ
মানবতা দেবে ডুব।
মা
-ইমন আহমেদ আশিক
মা যে আমার চোখের মণি
মা যে আমার প্রাণ
মা যে আমার অর্ধ জীবন
জগতের ঘ্রাণ।
মা যে আমার দিনের আলো
আলোয় ভরা দিন
মা যে আমার হৃদয় জুড়ে
আছে প্রতিদিন।
আমরা শিশু
-মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম
আমরা শিশু ফুলের মতো
ছড়াতে চাই ঘ্রাণ
আমাদের যদি যতœ করো
আমরাই হবো প্রাণ।
আমরা শিশু বড় হতে চাই
একটু সুযোগ দাও
ভালোবাসার পরশ দিয়ে
আরও কাছে নাও।
একটুখানি হাত বাড়ালে
লেখাপড়া করবো
আমরা শিশু বিশ্ব ভুবন
আলো দিয়ে গড়বো।
আমাদেরকে অবহেলায়
করো নাকো বঞ্চিত
ভালোবাসার ছোঁয়া পেলে
জীবন হবে সজ্জিত।
দোষ ছিল কী তাদের
-তাজওয়ার মুনির
মরছে মানুষ, মারছে মানুষ
মিয়ানমারে ওই
মানবতার ধ্বজাধারী
ওরা গেল কই?
কোথায় গেল বিশ্ববিবেক
কোথায় জাতিসংঘ?
দেয় না কেন আজকে ওদের
মানুষ মারায় ভঙ্গ।
সম্ভ্রম হারায় মা বোনেরা
চোখ কি সবার অন্ধ?
জীবন নিয়ে ছিনিমিনি
হবে কবে বন্ধ?
ছোট্ট শিশু করছে পান
স্তন মৃত মায়ের,
আর কত দেখলে বল
মিটবে জ্বালা গায়ের?
নাফ নদীটা হলো লাল
রক্তে রোহিঙ্গাদের,
কেন তারা মরবে এমন
দোষ ছিল কী তাদের?
কোথায় পেলে
-আল রাজীব হুসাইন
আকাশ তুমি কোথায় পেলে
নীল রঙের মাখা-মাখি,
তোমার দিকে দৃষ্টি রেখে
জুড়ায় আমার আঁখি।
দিন তুমি কোথায় পেলে
সূর্য ভরা আলো,
রাত্রি তুমি কোথায় পেলে
অতি নিকষ কালো?
চন্দ্র তুমি কোথায় পেলে
মিষ্টি রাতের হাসি,
রাতের বেলা তারার মেলা
দেখতে ভালোবাসি।
নদী তুমি কোথায় পেলে
কলকলানো ধ্বনি,
কোন কারণে সাগর পানে
ছুটে চলো শুনি।
কোকিল তুমি কোথায় পেলে
কণ্ঠে মধুর গান,
সকল কিছু সবার জন্য
আল্লাহ তায়ালার দান।
মা
-সাজিদ মাহমুদ
এ জগতে মায়ের চেয়ে
আপন কে আর আছে?
সুখে দুঃখে সান্ত¡না পাই
শুধুই মায়ের কাছে।
সুখের সময় মা যে আমার
নেয় যে টেনে বুকে
স্নেহের পরশ দেয় যে আমায়
যখন থাকি দুখে।
ভালোবেসে মা যে আমায়
চুম এঁকে দেয় গালে
মাকে আমি পাই যে সদা
শান্তি শোকের কালে।
একটা ছড়া
-তোফায়েল তফাজ্জল
একটা ছড়া ছন্দে ভরা
তালে বৃষ্টি বৃষ্টি
শুকনো মনকে দেয় ভিজিয়ে
দিয়ে নৃত্য দৃষ্টি।
টিয়ে হয়ে উড়তে পারে
আকাশটা ছুঁই ছুঁই
বায়ু বেগেও ছড়িয়ে পড়ে
হাত নাড়াতেই জুঁই।
একটা ছড়া লবণাক্ত
একটা একটু টক
ছাদে বসে চাঁদের আলোয়
আড্ডা এদের শখ।
একটা ছড়া ফুলের মতো
সব বাগানেই ফুটুক
সবার চোখে রবির মতো
রাঙা হয়ে উঠুক।
ছড়িয়ে পড়–ক ঘরে ঘরে
সেই আভা বা আলো
তাড়িয়ে দিক এই দুনিয়ার
সকল রকম কালো।
সেই ছড়াটি শিশুর চোখে
নিয়ে নামুক ঘুম
মা বাবার গল্প হয়ে
বিছানায় দিক চুম।
ফুলকলি
-এম এ এইচ সাবু
কচি কচি মুখগুলো অপরূপ চাহনি
ঝরে কথা ফুলঝুরি বলে কত কাহিনী।
ছোট ছোট হাত পা নেড়ে যায় অবিরল
এটা কি ওটা কি কত যে প্রশ্নের ঢল।
ওরা আশার প্রদীপ পরশ সজীবতা
ওরা জাগাবে জাতিকে ভেঙে নীরবতা
ওরা ফুলের বহর গোলাপ হাসনাহেনা
ফুলকলিদের হাসি যেন ঝরে জোছনা।