দোলন চাঁপা পদ্ম জারুল নয়ন তারার বনে
দু’চোখ বাড়াই পাগলপারা সন্ধ্যা তারার ডাকে,
জুঁই কামিনী শিউলি জবা দোলে আপন মনে
শাপলা শালুক ঝিলের বুকে আশার ছবি আঁকে।
শুভ্র ধবল কাশের বাঁকে জোছনা আসে নেমে
জোনাক মেয়ে পিদিম জ্বালে রূপের রাখী পরে,
সূর্যি মামার ক্ষ্যাপাটে ভাব হঠাৎ গেছে থেমে
মন হয়ে যায় প্রজাপতি দু’চোখ গেছে ভরে।
শিশির স্নাত কী অপরূপ শারদ ভোরের আলো
দূরের আকাশ সেও তো দেখি বিচিত্র এক ডালা,
নয়তো এখন নীলের বাড়ি মোটেও গোমড়া কালো
আকাশ জুড়ে দুলছে যেন ধবল মেঘের মালা।
শরৎ কালের মতো কোমল নেইতো কোন ঋতু
ভালোবাসার পেলব মাখা সকাল দুপুর রাত্রি,
ঝিলিমিলি নদীর ধারায় দৃষ্টি যে হয় থিতু
শঙ্কাবিহীন পাল তুলে দিই আলোর অভিযাত্রী।
বাংলাদেশে এমনি জোটে বিনোদিনীর গল্প
শরৎ এসে দেয় বিছিয়ে সবুজ শীতলপাটি,
রূপে রূপে অরূপ এদেশ নয় কাহিনী কল্প
শরৎ আমার সুর লহরীর নিষাদ গীতল বাটি।