কিশোর কবিতা
এসো হে নবীন
আমানুল্লাহ আমান
এসো হে নবীন এসো নব
শিক্ষার ছায়াতলে,
নতুন প্রভাত এনে দেবে
তিমিরের পদতলে।
এসো তোমরা প্রত্যয় নিয়ে
জ্বালবে নতুনের আলো,
সমাজ থেকে রাখবে দূরে
কুশিক্ষারই কালো।
এসো তোমরা হাতে নিয়ে
জ্ঞানের বরণ ডালা,
এ জগৎকে পরিয়ে দেবে
সুশিক্ষারই মালা।
তোমরা এসে সাজিয়ে দেবে
শিক্ষার কুসুম কানন,
জ্ঞানের তীরে আলো করবে
আমাদের আনন।
ঈদ
হাসিব মাহামুদ
একটি বছর ঘুরে ফিরে
আবার এলো সেদিন
ধনী-গরিব সবাই মিলে
মজা করব যেদিন।
হিংসা-বিদ্বেষ বিভেদ ভুলে
এসো করি পণ
সুখে দুঃখে থাকবো মোরা
পাশে সারাক্ষণ।
ঈদ
শাহজাহান শাহেদ
ঈদের দিনে ধনীর দুলাল
নতুন জামায় হাসে
ছেঁড়া পোশাক জড়িয়ে গায়ে
অনাথ কামাল কাঁদে।
দালান ঘরে ফিরনি পায়েস
বিরিয়ানির ঘ্রাণ
জীর্ণ কুটির শূন্য হাঁড়ি
ক্ষুধায় কাতর প্রাণ।
বাহারি কামিজ দামি জুতায়
শেফালি দারুণ খুশি
কাজের মেয়ে মর্জিনার তো
নাই সালোয়ার শাড়ি।
হাসির জোয়ার ধনীর ঘরে
গরিবের কাঁদে হৃৎ
এমন বিভেদ থাকবে যদি
কিসের তবে ঈদ?
বৈচিত্র্য
ইয়াছিন আরাফাত
বৈচিত্র্যময় পৃথিবীর
বিচিত্র সব মানুষ
নানান ভাষায় কথা বলে
নানান সুরে সুর মেলে
দেখতে যেন ফানুস!
গুণীজন করে ভালো কাজ
অমর হয়ে থাকে
কেউবা হয় ঘৃণার পাত্র
খারাপ কাজে ডেকে॥
খুশি
নবীন সাদিক
রকির চোখে খুশির ধারা হাসির রেখা মুখে
নাচছে হেলে নাচছে দুলে দারুণ মহাসুখে।
কল্পনাতে আঁকছে ছবি হরেক ভাবনার,
আতশবাজি পটকাবাজি রাখবে বাকি আর?
মায়ের কাছে বায়না ধরে বাবার কাছে চায়,
মজা হবে আড্ডা হবে টাকা দাও আমায়।
আমার প্রার্থনা
মো: ফখরুল ইসলাম
আমি গভীর রাতে দু’ হাত তুলে,
করি মোনাজাত
এই দুনিয়ার পাপের থেকে
প্রভু মোরে দিও নাজাত।
এই পৃথিবী কত রঙিন,
কত মধুময়,
চকমকে সব ভুলেগো প্রভু
যেন মসজিদে যাই।
ঈদের মাঠে
আবু হানিফ
রোজার শেষে খুশির বেশে
উঠবে তুমি হেসে
সাজবো মোরা নতুন সাজে
হিংসা বিভেদ ভুলে।
ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলে
নামাজ পড়ব মাঠে
কোলাকুলি করব সবাই
ঈদের নামাজ শেষে।
প্রভুর কাছে
সাইফুল্লাহ মনসুর ইসহাক
আঁধার রাতে দেখি তারার মেলা,
চাঁদের মিষ্টি হাসি জোনাকির খেলা।
তোমার কথাই ভাবি বেলা অবেলা,
তোমার দেখানো পথে হোক পথ চলা,
খুশিতে যেন আমি না হই আত্ম ভোলা।
দুঃখের দিনেও যেন পাই প্রভু
তোমারই করুণার দোলা,
যেন তোমারই পথে পারি চলতে
পাপাচার অন্যায় লোভ ভুলতে।
দাও মোরে প্রভু সঠিক দিশা
কেটে যাক আঁধার নিশা।
বাঁকা চাঁদের আগমন
তাজওয়ার মুনির
পশ্চিম আকাশে
বাঁকা চাঁদের আগমন
ঈদেরই খুশিকে
জানিয়েছে স্বাগতম।
হাসি খেলা আড্ডা
করি দিয়ে পাল্লা,
ঈদেরই খুশিতে
খুশি মাঝি মাল্লা।
ফিরনি সেমাই পায়েস
আয়েশ করে খাবো,
পাড়ার সকল বন্ধুরা
ঘুরতে সবাই যাবো।
নানান সাজে সাজবো
মাখবো আরো সুবাস,
ঈদের সালাত পড়বো
ছড়িয়ে সুখের আভাস।
যাবো সবার দ্বারে
নিবো সবার খোঁজ,
ঈদের এই খুশি যেন
থাকে রোজ রোজ॥
বাংলার বুকে
মাহবুবুর রহমান
বাংলা তোমার বুকে আছে
সবুজ দিগন্ত মাঠ
কৃষকেরা লাঙ্গল টেনে
করে যে ধান চাষ।
বাংলা তোমার বুকে আছে
শত শত নদ-নদী
মাঝি জেলে নৌকা বেয়ে
ছোটে উজান ভাটি।
বাংলা তোমার বুকে আছে
হাওর বিল-ঝিল
শাপলা শালুক ফোটে সেথায়
করে যে ঝিলমিল।
বাংলা তোমার বুকে আছে
কতই রূপের সাজ
তোমার বুকে জন্ম নিয়ে
ধন্য আমি আজ।
ঘাস ফড়িংয়ের দেশ
মোঃ ইমরান আলী
স্বদেশ
ছয় ঋতুতে হরেক বেশে
এ আমার সোনার বাংলাদেশে
মুক্ত স্বাধীন রাজার বেশে
নদী চলে তার আপন দেশে॥
জন্মভুমি
ফুল ফসলের এই দেশে
যা কিছু সব তোমারি আদেশে
নির্ঝরিণীর হেথায় নেইকো শেষ
স্বদেশি আমার বাংলাদেশ॥
মহৎ জীবন
আবদুস সামাদ
অর্থ বিত্ত যতই থাকনা
হাব ভাবটা ছাড়ো,
বুদ্ধি বোধের কড়া নেড়ে
মহৎ হও আরো !
ক্ষণকালের এই পৃথিবী
নয় কারো আপন,
মরীচিকার সাজা রূপটা
কাড়ে সবার মন!
ওরে বন্ধু ভাবছো কি আর
এসব কি যে করো?
শেষ কালের সুখের জন্য
মহৎ জীবন গড়ো !