ঝাবুকপাতার ফাঁক গলে মেঘে
ভেসে ওঠে বাঁকা চাঁদ…
ভরাসন্ধ্যার চন্দ্রিকা আনে আনন্দ সংবাদ।
খুশি ঝরে পড়ে নেপিয়ার ঝোপে
খুশি ঝরে পড়ে মাঠে…
খুশি ঝরে পড়ে তল্লার ঝাড়ে
কাজলীর খেয়াঘাটে।
বনঝুড়িয়ার ঝিল ঝলকায়
ডানা ঝাপ্টায় টিয়া…
কাউয়াঠুঁটি বনে হাওয়া দোল খায়
নিশিজুনি জ্বালে দীয়া।
হঠাৎ হেসেই মেঘে যায় মিশে
মনখুশি চন্দ্রিমা…
একফালি চাঁদে এতোখুশি যার নেই সীমাপরিসীমা।
দূর ছায়াপথে মায়ামায়া আলো
আঁধারে মেদুর শোভা…
রঙনের শাখা লাল ফুলে সাজে
অপরূপা মনোলোভা।
মিঠে মৈঠালী সুর ভেসে আসে
সুদূরের গ্রাম হতে…
খুশির আবেশে মহুয়ারা মাতে
বাতাসের সখ্যতে।
কেন এতো খুশি চাতকেরা জানে
জানে নিঝরের ধারা…
নীলাপাহাড়ের জুমফসলেরা আনন্দে দিশেহারা।
গুটগুটিয়ার নীরবতা ভেঙে
ঝিল্লীরা ডেকে ওঠে…
নিশিজাগা যত মেঠোপাখি ওড়ে
ঘাসফুল নিয়ে ঠোঁটে।
বানিজুড়িয়ার হাওরের পাড়ে
বিলবিলে ঝাড়ে ডানা…
খুশির কারণে ভুড়ভুড়ি কেটে
পানকৌ আটখানা।
এই খুশি শুধু খুশিমুশি নয়
এই খুশি মহামেলা…
সব হিয়া মিলে এক হয়ে গড়ে মহাসাম্যের ভেলা।
এই খুশি ঈদ; মহাসখ্যের অপার মহিমা মাখা
সবার উপরে মানুষ সত্য এই কথা মনে রাখা।…
এই খুশি আসে
বরষের শেষে
রুপোলি চাঁদের আভায়…
এই খুশি এসে
অহংকারীকে
সংযত হতে ভাবায়।