রাত চলে যাক
মীর ইসরাত জাহান

প্রজন্ম ঐ সম্মোহনী ডাকে
আছড়ে পড়ছে বাঁকের পরে বাঁকে

তুলে নাও তাকে হাত ধরো তার মুঠো
অমানিশা ঘোর দু পায়ে মাড়িয়ে উঠো।
হাজারো দরজা খুলে যাক আমাদেরো
এবার সবাই শুদ্ধ আলোয় ফেরো

তিমির আঁধারে জোনাকিরা জলে দেখো
তারাদের মেলে চাঁদের স্ফুরণ মেখো।
আমরা জিতেনি, জীবনের মহাসত্য
আলোর ফোয়ারা আসুক ছন্দবদ্ধ।

এলোমেলো যাযাবর
সাঈদ লিটন

তোমার আঙুলে পৃথিবী লুকানো
তোমাকেই করো জয়
হারতে আসনি সাধন সোপানে
তুমিই তো মহাশয়

তোমার আপন তুমিই কেবল
দুখেও একাই রবে
বিরাগ বেদনে মন মরে গেলে
গল্প সমাধি হবে

দূখের আগুনে চোখ ভিজে গেলে
নিজ হাতে মুছি জল
বেলা শেষে একা আশাদিক ফাঁকা
এইতো জীবন ছল

মায়ার একূলে ফুলে-পল্লবে
ভরে নাও সুধাসুর
আলোর সুরভি বিকশিত রবি
অমানিশা হবে দূর

মানুষই জগতে পরম প্রণতি
মানুষেই বাঁধো ঘর
মানুষ বিহনে রঙের মেলা
এলোমেলো যাযাবর

ঈদের খুশি
শাহরিয়ার শাহাদাত

ফুলকুঁড়িদের মুখে এখন নতুন খুশির গান
বাঁকা চাঁদের আকাশ, আহা! আনন্দ বাগান
উপছে পড়া এমন খুশি ঈদেই কেবল হয়
জান্নাতি এক বার্তা যেনো সারা জাহানময় !

ছোট্ট মনে রঙিন রঙিন স্বপ্নালু ফুল ফোটে
ঈদ আল্পনা ছুঁয়ে ছুঁয়ে খুশির কাঁপন ওঠে
রুপ-রুপালি মেঘের নায়ে মুখ তুলেছে চাঁদ
ছুটি ছুটি ঈদের আমেজ, ব্যস্ততা সব বাদ।

সারা বছর এমন ছুটির আশায় আমি রই
যায় কি ছাড়া ঈদের এমন আনন্দ হইচই
নেই পড়া নেই শাসন-বারণ ঈদে সবই মানা
আকাশপাড়ে ঈদপাখিরা মেলে খুশির ডানা।

ঈদ মানে তো অদৃশ্য এক খুশির মায়াজাল
বুবুর হাতে চিরল চিরল মেন্দি পাতার লাল
রোদসি ওই মিষ্টি খুকি পরবে ঈদের জামা
খুশি খুশি বাজনাতে মন গাইছে সা রে গা মা।

সুবাসিত ভোর নেমেছে ঈদগাহেতে আজ
সঙ্গে নেব আদরমাখা মায়ের জায়নামাজ
নেই ভেদাভেদ, হিংসা ঘৃণা অহংকারী মন
‘ঈদ মোবারক’ শুভেচ্ছা নাও সকল প্রিয়জন।

 

তোমরা কী তা জানো
কবির কাঞ্চন

আমি কেন পাখি হব
তোমরা কী তা জানো?
বলছি শোনো
পাখি উড়ে দূর আকাশে
পাখি করে গানও।

আমি কেন সাগর হব
তোমরা কী তা জানো?
বলছি শোনো
ঊর্মিমালা দেখে দেখে
করি আমি ফানও।

আমি কেন আকাশ হব
তোমরা কী তা জানো?
বলছি শোনো
আকাশ আমায় উদার করে
বাড়ায় আমার মানও।

আমি কেন চন্দ্র হব
তোমার কী তা জানো?
বলছি শোনো
আঁধার রাতের বন্ধু সেজে
আলো করে দানও।

আমি কেন ফুল হতে চাই
তোমরা কী তা জানো?
বলছি শোনো
ভুবন জুড়ে ফুলের হাসি
দেয় ছড়িয়ে ঘ্রাণও।

চাঁদ দেখা যায় না
হাসনাইন আহমদ

ছাদে চলো চাঁদ দেখি
খোকা ধরে বায়না,
দালানের শহরে তো
চাঁদ দেখা যায় না।

চাঁদ যদি নাই দেখি
ঈদ হবে কি করে,
চাঁদের মতন দুটি
আঙুলকে ‘সি’ করে?

চাঁদ দেখা চাই-ই চাই
চলো যাই মাঠেতে,
দিনভর মোটে মন
বসে না যে পাঠেতে।

মাঠ কোথা? শহরে যে
মাঠ পাওয়া যায় না,
টেলিফোনে মামা কয়
কালই ঈদ চায় না।

মাঠ নেই চলো যাই
উঁচু কোনো টাওয়ারে,
চাঁদ দেখা যায় শুধু
ইভিনিং আওয়ারে।

চাঁদ দেখা হলো না তো
ইভিনিং শেষে,
টিভিতে ঘোষণা, কাল
ঈদ সারাদেশে।

সপ্ত রঙের স্বপ্ন দেখো
মল্লিক মাহমুদ
.
তুমি যতোই হও না ছোট
তাতে কী যায় আসে?
তুমিও ঠিক নাম লেখাতে
পারবে ইতিহাসে।

বড় হবার প্রত্যাশা যার
বুকের ভেতর থাকে,
পৃথিবীতে কেউ দমাতে
পারে না ভাই তাকে।

সুপ্ত হাজার প্রতিভাকে
বিকশিত করে,
চলতে থাকো নতুন আশার
বর্ণালী পথ ধরে।

সম্ভাবনার ফুল ফুটিয়ে
ভয়কে দাঁড়াও রুখে,
কাজ করে যাও আকাশ সমান
উদার সাহস বুকে।

সপ্ত রঙের স্বপ্ন দেখো
হৃদয় পাতা খুলে,
সফলতার সবুজ ফসল
আনতে ঘরে তুলে।

ভোরের রবি
রাজীব হাসান

উঠলো জেগে ভোরের রবি
আঁধার হলো আলো সবই
গাইলো পাখি গান
সন্ধ্যা হলে অবাক করে
বেলী ফুলের ঘ্রাণ।

শীতের ভোরে আবছা আলো
শিশির ভেজা ঝিম লাগালো
ঝরলো পায়ে পায়
ঠাণ্ডা হাওয়ায় শরীর জমে
এখন কি উপায়।

শীতের কাপড় শীত মানে না
শীতের সকাল শীত ছাড়ে না
তাই এলাম রোদে
সূর্যের আলো শীত চুষে নেয়
শীত প্রতিশোধে।

রক্ত নদী
আবরার নাঈম

আমরা আছি মহা সুখে সবাই মিলেমিশে
গাজা কেন রণক্ষেত্র দোষটা ওদের কীসে?
কতো অবুঝ শিশু দেখ জন্ম হওয়ার পর
পায়নি মায়ের দুধের স্বাদ ও ছোট্ট কুঁড়েঘর।

বুলেট বিঁধে কোমল বক্ষে রক্ত নদী বয়
মায়ের সামনে সন্তানের লাশ কেমনে বলো সয়?
অশ্রুনদী শুকিয়ে গেছে স্বজন হারার দুখে
একটুখানি হাসির রেখা নেই তো ওদের মুখে।

জায়নবাদী ইহুদিদের না থামালে তবে
ওদের হাতে দুনিয়াটা অনিরাপদ হবে।

Share.

মন্তব্য করুন