খায়রুল আলম রাজু
হাসুক সবুজ গাঁয়ের ছবি
আমার সবুজ ছোট্ট গাঁয়ে আসতে তুমি যদি,
দেখতে বড়ো, বইছে কেমন ঢেউ দোলানো নদী…
দুইপাশে তার কিশোর-তরুণ করছে খেলা চরে-
সন্ধ্যাবেলায় আলোর পিদিম জ্বলছে ঘরে-ঘরে।
তারার মত জোনাকিরাও নিবুনিবু জ্বলে,
দলবেঁধে সব মাঠে-ঘাটে, নানান পথে চলে।
রাত বড়ো হয়, জোছনা দেখি পাপড়ি হয়ে ঝরে
মাটি-মাঠে, তরুলতা, পাতায়-পাতায়- পড়ে..
গোরস্থানে শিয়াল ডাকে, দূরের বনে পেঁচা;
দৃশ্য দারুণ ছবির মত সোনায় হবে বেচা!…
তারারা সব জ্বলে রাতে ঘুমায় রাতের শেষে-
নীল রঙে ফের আকাশ সাজে সূর্য্যি উঠে হেসে।
ভোরের তখন কেবল শুরু সুবাস ছড়ায় ফুলে-
ফড়িং উড়ে নাচছে পাখি মুক্ত হাওয়ায় ভুলে…
এমন ছবির ভীষণ খুশি, না পাক বৃষ্টি-খরা;
হাসুক সবুজ গাঁয়ের ছবি লিখুক সবে ছড়া…
সাগর আহমেদ
সোনার দেশ
বইছে বাতাস তরতরিয়ে আমার সবুজ গাঁয়
ভাটির সুরে গান ধরেছে বাদাম তোলা নায়।
স্নিগ্ধ নরম ভোরের হাওয়া পাখির কলতান
সবুজ শ্যামল স্বর্গপুরী শান্তি সুখের গান।
পাখির ছানা মেলে ডানা নীল আকাশে ওড়ে
লাঙল টেনে ব্যস্ত চাষি শিশির ঝরা ভোরে।
প্রজাপতির উড়াউড়ি সরষে ফুলের বনে
নতুন ধানে ভরবে ঘোলা স্বপ্ন চাষির মনে
গাঁয়ের বধূ কলশি ভরে নদীর ঘাটে এসে
পদ্মদীঘি বনবনানী আমার সোনার দেশে।