আজকে আমার মন ভালো খুব মিষ্টি আকাশ দেখে
জানলার পাশে বসে আছি একা দু চোখে আকাশ রেখে।
মনের দুয়ারে প্রাণময় সুখ বকুল সুবাস আসে,
জোৎস্না ধোঁয়া রাতের পরশে মল্লিকা বুঝি হাসে।

কুয়াশায় বুঝি চন্দ্রিমা এই চাদর দিয়েছে মেলে,
আমি হয়ে যাই উন্মনা খুব এমনই রাত্রি এলে।

মনে পড়ে মাকে ধবধবে শাড়ি ব্যস্ত দু’খানি হাতে,
গোলায় ভরছে ধানগুলো সব অঘ্রানের এক রাতে।
ভাত দাও মাগো-বলতেই আমি সকল কিছুই রেখে,
মা দিলেন ভাত ধোঁয়া ওঠা খুব সব্জি-আনাজ মেখে।

কেনো যে আমার এই অবেলায় কত কিছু মনে পড়ে,
আমার মতোই মা-ও ঘরে একা কি জানি কী করে।
কতদিন হলো হয় না তো দেখা গাঁয়ের শ্যামল শোভা,
আমার গাঁয়ের দৃশ্যটি বড় অপরূপ মনোলোভা।

আমার বাড়ির পেছনের দিকে লতাগুল্মের সারি,
আর পাশে ফুল কামিনী বকুল গন্ধ ছড়ায় তারই।

তার পেছনের বিলে যদি ধান সোনালি হয়েই ওঠে,
সবুজ টিয়েরা শিষ দিয়ে ধান নিয়ে যায় ঠোঁটে ঠোঁটে।
তারপরে বিলে সবগুলো ধান কাটা হয়ে গেলে শেষে,
খুঁজে নেয় ঝরা ধান শিষগুলো পাড়ার ছেলেরা এসে।

এসময় কাজে বড়দের সাথে ছোটোরাও রাখে হাত
প্রীতির বাঁধনে গাঢ় হয় আরো কর্মমুখর রাত

আমার মতোই দূরে আছে কেউ ঘরে ফেরে তার মন,
দূর থেকে কত বেড়াতে আসেন আত্মীয় পরিজন।
পিঠা পুলি হয় মহা উৎসবে প্রতিটি বাড়ির লোক,
ভুলে যায় সবে পেছনের যত দুঃখ কষ্ট শোক।

বন্ধুরা রাতে জড়ো হলে পরে কোথায় পালায় ঘুম,
আয়েশ করেই পায়েস খাওয়া, এ যে বড় মওসুম।
এমনই সাঁঝে হিম হিম ক্ষণ দৃষ্টিটা হয় ফিকে,
বলেছিল মা,বাড়ি যেনো আসি অবশ্যই কার্তিকে।

মায়ের নিকটে গাঁয়ের সবুজে সেই যে গিয়েছি কবে,
আর দেরি নয়,আসছি গো মা হেমন্ত উৎসবে।।

Share.

মন্তব্য করুন