রুবিক’স কিউব কিংবা ম্যাজিক কিউব এক ধরনের চারকোনা ঘনক আকৃতির ধাঁধা। আমরা ছোট বাচ্চাসহ অনেকের হাতে এই ধরনের পাজল দেখি। সাধারণত রুবিকস কিউব ৩দ্ধ৩দ্ধ৩ হয়ে থাকে। আবার ২দ্ধ২দ্ধ২, ৫দ্ধ৫দ্ধ৫ সহ আরো অনেক রকমের হয়ে থাকে। এর ৬টি তলে ৬ রকম রঙ থাকে। মিলানো অবস্থায় প্রতিটি তলে একই রঙ থাকে। ৩দ্ধ৩দ্ধ৩ রুবিকস কিউবের ৩টি লেয়ার থাকে। প্রতিটি তলকে ঘুরিয়ে এলোমেলো করা যায়। এই পাজলটির লক্ষ্য এই এলোমেলো অবস্থা থেকে প্রত্যেক তলে একই রঙ সাজিয়ে আনা।
১৯৭৪ সালে হাঙ্গেরির এর্নো রুবিক রুবিকস কিউব প্রথম তৈরি করেন। প্রথমে তিনি এর নাম দেন ম্যাজিক কিউব। পরে এর বাণিজ্যিক প্রস্তুতকারী কোম্পানি এর নাম দেয় রুবিকস কিউব।
রুবিকস কিউব পরে আরো অনেক সংস্করণে বাজারে আসে। পিরামিক্স কিউব, স্কিউব, ক্লক কিউব, মেগামিনিক্স ইত্যাদি। রুবিকস কিউব দ্রুত মিলানোর প্রতিযোগিতা হয়। এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন সময়ে ৩দ্ধ৩দ্ধ৩ রুবিকস কিউব মিলানোর রেকর্ডটি চীনের ইউশেং ডু এর। তিনি সময় নিয়েছিলেন ৩.৪৭ সেকেন্ড। বাংলাদেশের রেকর্ডটি তওসিউ আমিন সাহিলের দখলে। তিনি পুরো কিউব সমাধানে সময় নিয়েছেন ৬.১১ সেকেন্ড।
রুবিকস কিউব সমাধানের বেশ কিছু সূত্রও আছে। সবচেয়ে সহজ সমাধান ধরা হয় লেয়ার বাই লেয়ার (LBL) মেথডকে। এই প্রক্রিয়ায় রুবিকস কিউবের প্রতি লেয়ার বাই লেয়ার মিলিয়ে সমাধান করা হয়। তবে এটা ততোটা দ্রুত নয়। স্পিড কিউবাররা ব্যবহার করেন CFOP অথবা ROUX মেথড। এসব মেথডের এলগরিদম দিয়ে দ্রুত কিউব মিলানো যায়। তবে নতুনদের জন্য এই মেথড বুঝে উঠা কঠিন। তাই প্রথমে LBL শিখেন অধিকাংশই। এছাড়াও আরো অনেক মেথড আছে রুবিকস মিলানোর জন্য। একহাতে রুবিকস কিউব মিলানোর জন্য আছে ZZ মেথড। আবার চোখ বন্ধ করে মিলানোর জন্য আছে BLD মেথড। অন্যান্য কিউবগুলো মিলানোর ও নিজস্ব এলগরিদম এবং ভিন্ন ভিন্ন মেথড আছে।
রুবিকস কিউবের অ্যাসোসিয়েশনেরও রয়েছে। World cube association বা (wca) এর অধীনে ১৭টি ভিন্ন ক্ষেত্রে কিউবিং প্রতিযোগিতা হয়। চোখ বন্ধ রেখে মিলানো, একহাতে মিলানো সহ সবচেয়ে কম মুভে মিলানোর প্রতিযোগিতাও হয়। বাংলাদেশে ও বিভিন্ন সময়ে রুবিকস কিউবের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হয়।

Share.

মন্তব্য করুন