আজ স্কুলে কি একটা কাণ্ডই না হলো! বিজ্ঞান স্যার সাফিনকে প্রশ্ন করল যে, চাঁদ একটি কী? সাফিন কিছু সময় চুপ থেকে বলল, চাঁদ একটি নক্ষত্র। আর সাথে সাথে পুরো ক্লাসে হাসির রোল পড়ে গেল। সবার সাথে বিজ্ঞান স্যারও হাসি আটকে রাখতে পারলেন না। তিনিও হো হো করে হেসে উঠলেন। তারপর রাগ ভাব নিয়ে সাফিনক বললেন, তুমি আস্ত একটা গাধা। একে তো পড়াশোনা কর না। তার উপরে ঠিকঠাক প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারো না। আসলে সাফিন একটু ভোলা টাইপের ছেলে। রাতে কোন বিষয় পড়লে সকালেই তা গুলিয়ে ফেলে। কোন বিষয় তার মাথায় বেশিক্ষণ থাকে না। বিজ্ঞান স্যার ক্লাস থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সবাইকে বলে গেলেন, কাল সবার থেকে গ্রহ ও উপগ্রহের বর্ণনা শুনবেন। বিজ্ঞান স্যারের কথা শুনে সবার মাথায় বাজ পড়ে গেল। কিভাবে আটটা গ্রহ, সূর্য ও চাঁদের বর্ণনা দেবে। এগুলো তো মাথায় থাকবেই না। সবাই সাফিনের উপর দোষ চাপিয়ে দিল। আর বলল, তোর ভুলের মাশুল এখন আমাদের দিতে হবে। গাধা কোথাকার চাঁদ কি এটাও জানে না।
২.
সাফিনের সম্পর্কে তোমাদের তো বলাই হলো না। সাফিন এবার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। সাফিনের বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী। মা বাসাতেই থাকেন। সাফিনের একটা চার বছরের মিষ্টি বোন আছে। ওর নাম রাইসা। ও এখনও কোন স্কুলে যায় না। সারাক্ষণ মায়ের সাথে বাসাতেই থাকে।
সাফিন স্কুল থেকে মন খারাপ করে বাসায় চলে এলো। মন খারাপ করে ঘরে বসে রইল। এমন সময় সাফিনের মা সেখানে আসলেন। সাফিনের মন খারাপ দেখে জিজ্ঞেস করলেন…
– সোনা আমার, কী হয়েছে তোমার? মন খারাপ করে বসে আছো কেন? স্কুলে কেউ কি বকেছে?
– আম্মু আমি কি একেবারে বোকা?
– কে বলেছে তুমি বোকা?
– আমার বিজ্ঞান স্যার আর ক্লাসের সবাই আমাকে গাধা বলে। তুমি তো জানো আম্মু আমার স্মৃতিশক্তি একটু কম। এখন পড়লে রাতেই সেটা হারিয়ে ফেলব।
– হ্যাঁ, সোনা। তোমার এই সমস্যার জন্য আমরাই দায়ী?
– তোমরা কেন আমার সমস্যার জন্য দায়ী থাকবে আম্মু?
– হ্যাঁ, সোনা। আমরাই দায়ী। তোমার বয়স যখন চার তখন একটা দুর্ঘটনায় তোমার মাথায় আঘাত পায়। অনেক চিকিৎসার পর তুমি যখন সুস্থ হলে তখন আগের মতো আর তোমার স্মৃতিশক্তি কাজ করে না। যেই বিষয় নিয়ে তুমি ভাবতে কিছুক্ষণ পর সেটা ভুলে যেতে। এর জন্য আমরা আরো অনেক চিকিৎসা করেছি কিন্তু কোন কাজেই আসেনি। আর এভাবেই চলছে তোমার জীবন।
বলতে বলতে সাফিনের মা হাউ মাউ করে কেঁদে উঠল। সাফিনকে বুকে জড়িয়ে ধরলো। আর বলল…
– আজ আমাদের জন্যই তোমাকে অন্যের কথা শুনতে হচ্ছে।
– না, মামা। তোমাদের তো কোনো দোষ নেই। যা হয়েছে সব দুর্ঘটনা। আর আমি আমার সমস্যার জন্য তোমাদের দায়ী করতে পারি না। কারণ তোমরা আমার মা-বাবা।
সাফিনের কথা শুনে সাফিনের মা আরও কাঁদতে লাগলেন। তারপর সাফিনের কপালে চুমু এঁকে দিলেন। আর বলল…
– সোনা আমার। তুমিও পারবে। তুমি মন দিয়ে পড়াশোনা করবে, একটা পড়া বারবার পড়বে তাহলেই তোমারও সব পড়া মনে থাকবে। আর একটা কথা শোনো, শুধু মুখস্থ রাখলে হবে না। স্মৃতিতে ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে তোমাকে। আমি জানি তুমি তা পারবে।
– সত্যিই আমি পারব আম্মু?
– তোমাকে যে পারতেই হবে সোনা। আমার বিশ্বাস তুমি পারবে।
– আজ থেকে আমি আরও মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করব আম্মু।
– ঠিক আছে সোনা। এখন চল একটু বাগানটা ঘুরে আসি। গাছেদের পরিচর্যা করি।
– আচ্ছা, চল।
সাফিন, সাফিনের মা আর তার মিষ্টি বোন রাইসা বাগানে গেল। বাগানে গাছেদের পরিচর্যা করল তিনজনে।

৩.
রাতেরবেলা। সাফিন তার পড়ার টেবিলে বসে গ্রহ, উপগ্রহের বর্ণনা পড়ছে। বারবার মুখস্থ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছুতেই মুখস্থ হচ্ছে না। মনে মনে ভাবলো, আমাকে দিয়ে মনে হয় পড়াশোনা হবে না। আমি বোকা তা বোকাই থেকে যাবো। কিন্তু মাকে কি জবাব দেবো। আমাকে যে পড়তেই হবে। পড়তে পড়তে সাফিন কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে বুঝতেই পারেনি।
সাফিন গভীর ঘুমে ডুবে আছে। এমন সময় কে যেন জানালার ওপার থেকে সাফিন, সাফিন বলে ডাকছে। ডাকতে ডাকতে ও জানালার কাছাকাছি চলে এলো। সাফিন ঘুমঘুম চোখে বলল…
– কে তুমি ?
– আমি তোমার বন্ধু।
– কোন বন্ধু? তোমাকে তো আগে কখনো দেখেনি।
– আমি তোমার নতুন বন্ধু।
– তোমার নাম কী?
– আমার নাম মেরিনো।
মেরিনো নাম শুনে সাফিন একটু চমকে গেল। মেরিনো আবার কারও নাম হয় না-কি? এবার সাফিন চোখ কচলিয়ে বলল…
– তোমার গায়ের রং ধূসর কেন?
– আমি হলাম এলিয়েন। তাই আমার গায়ের রং ধূসর।
– তোমার বাড়ি কোথায়?
– আমার বাড়ি অনেক অনেক দূরে। এখান থেকে কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে জিমটন ছায়াপথে আমার গ্রহ। আমার গ্রহের না মেরিন।
– তুমি এখানে কেন এসেছ?
– তোমাকে সাহায্য করতে।
– আমাকে সাহায্য করতে? কি সাহায্য করতে এসেছ?
– আমি জানি তোমার স্মরণশক্তি কম। তার জন্য স্কুলে সবাই তোমাকে বোকা বলে।
– হ্যাঁ, তাই তো। তুমি কি করে জানলে?
– আমি সবার খবর রাখি। যারা ভালো ছেলে, মা-বাবার কথা শোনে আমি তাদের বন্ধু হই। তাই তোমার কাছেও চলে এলাম। আমি জানি তোমার গ্রহ, উপগ্রহের বর্ণনাগুলো এখনো হয়নি। ওগুলো সম্পর্কে ধারণা দিতে এসেছি। তুমি আমার সাথে যাবে?
– কোথায়?
– মহাকাশে। তোমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের গ্রহ, উপগ্রহগুলো তোমাকে দেখাব।
– আমি যেতে চাই। তবে….
– কোন ভয় কর না তুমি। আমার স্পেসশিপে চড়ে নিরাপদে মহাকাশে ভ্রমণ করা যায়। তাহলে চল।
– আচ্ছা, চল তবে।
দু’জনে স্পেসশিপে উঠে পড়ল। কিছুক্ষণের মধ্যে স্পেসশিপ পৃথিবীর বাইরে চলে এলো। মেরিনো এক জায়গায় স্পেসশিপ দাঁড় করালো। তারপর বলল …
– ঐ যে একটা হলুদ বর্ণের নক্ষত্র দেখতে পাচ্ছো, ওর নাম সূর্য। এই সূর্যকেই কেন্দ্র করে বাকি আটটি গ্রহ পরিভ্রমণ করে। সূর্য একটি নক্ষত্র। এর ব্যাস প্রায় ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার এবং এর ভর প্রায় ১.৯৯দ্ধ১০.১৩ কিলোগ্রাম। সূর্যের উপরিভাগের উষ্ণতা ৫৭,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

– তোমাকে যা যা বললাম তুমি কি বুঝেছ সাফিন?
– হ্যাঁ, আমি সব বুঝে গেছি।
– এখন যদি জিজ্ঞেস করি বলতে পারবে না?
– পারব।
– আচ্ছা, খুব ভালো।
ঐ যে দেখতে পাচ্ছো সূর্যের কাছাকাছি একটা গ্রহ। ওর নাম হলো বুধ বা মারকারি। বুধ সৌরজগতের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম এবং সূর্যের নিকটবর্তী গ্রহ। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব ৫.৮ কোটি কিলোমিটার এবং এর ব্যাস প্রায় ৪,৮৫০ কিলোমিটার। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৮৮ দিন। মানে বুধ গ্রহে ৮৮ দিনে এক বছর। মনে থাকবে তো ?
– হ্যাঁ, খুব মনে থাকবে।
– ঐ যে বুধ গ্রহের পাশে যে গ্রহটা দেখতে পাচ্ছো ওটা হলো শুক্র বা ভেনাস। যা তোমরা পৃথিবীবাসীরা ভোরে এটাকে বল শুকতারা আর সন্ধ্যায় বল সন্ধ্যাতারা। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব ১০.৮ কোটি কিলোমিটার এবং এর ব্যাস ১২,১০৪ কিলোমিটার। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ২২৫ দিন। মানে ২২৫ দিনে শুক্র গ্রহের এক বছর।
আমরা কিন্তু পৃথিবী থেকে অনেক দূরে এসেছি। এবার তোমাদের পৃথিবীকে নিয়ে বলি। পৃথিবী বা আর্থ হলো সৌরজগতের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ। সূর্য থেকে গড় দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার। এর ব্যাস ১২,৬৬৭ কিলোমিটার। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। তাই ৩৬৫ দিনে এক বছর। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, নাইট্রোজেন রয়েছে। পৃথিবীর একটা উপগ্রহ আছে। ওই যে দেখতে পাচ্ছো। ওর নাম চাঁদ। যা তুমি ক্লাসে বলতে পারোনি। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩,৮১,৫০০ বর্গকিলোমিটার। ২৯ দিন ১২ ঘণ্টায় পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে।
– তুমি আমাদের গ্রহ সম্পর্কে কত কিছুই জানো। আর আমি চাঁদ একটা উপগ্রহ এটাই বলতে পারি না।
– চিন্তা করো না সাফিন। এখন তো ভালো করে শিখে ফেললে তাহলে এবার মনে রাখতে পারবে না?
– জানি না। তবে আমাকে পারতেই হবে।
– মানুষের দ্বারা কোনকিছুই অসম্ভব নয় সাফিন। তুমিও পারবে।
– তাই যেন হয়।
– ঐ যে একটা লাল রঙের গ্রহ দেখতে পাচ্ছো। ওর নাম মঙ্গল বা মার্স। খালি চোখে মঙ্গল গ্রহকে লাল দেখা যায়। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব ২২.৮ কোটি কিলোমিটার এবং এর ব্যাস ৬,৭৮৭ কিলোমিটার। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৬৮৭ দিন। মঙ্গল গ্রহের দুইটি উপগ্রহ আছে এগুলো ফোবস ও ডিমোস।
– ঐ যে একটা বিশাল আকারের গ্রহ দেখতে পাচ্ছো। ওর নাম হলো বৃহস্পতি বা জুপিটার। বৃহস্পতি গ্রহকে গ্রহরাজ বলা হয়। এর ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। সূর্য থেকে গড় দূরত্ব ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৪,৩৩১ দিন। বৃহস্পতির ৬৭টি উপগ্রহ আছে।
– আর ঐ যে দেখতে পাচ্ছো উজ্জ্বল বলয় দ্বারা বেষ্টিত একটা গ্রহ। ওর নাম শনি বা সাটার্ন। সূর্য থেকে গড় দূরত্ব ১৪৩ কোটি কিলোমিটার। এর ব্যাস ১,২০,০০০ কিলোমিটার। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ২৯.৫ বছর। শনির ৬২টি উপগ্রহ আছে।
– ঐ যে শেষে একটা গ্রহ দেখতে পাচ্ছো। ওর নাম ইউরেনাস। সৌরজগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য থেকে গড় দূরত্ব ২৮৭ কোটি কিলোমিটার। এর ব্যাস ৪৯,০০০ কিলোমিটার। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৮৪ বছর। ইউরেনাসের ২৭টি উপগ্রহ আছে।
– ঐ যে ইউরেনাসের পর একটা গ্রহ দেখা যাচ্ছে ওটাই সৌরজগতের সর্বশেষ গ্রহ। ওর নাম হলো নেপচুন। সূর্য থেকে গড় দূরত্ব ৪৫০ কোটি কিলোমিটার এবং এর ব্যাস ৪৮,৪০০ কিলোমিটার। নেপচুনে সূর্যের আলো ও তাপ খুবই কম বলে নেপচুনে কখনো কখনো তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকে। নেপচুনের ১৪টি উপগ্রহ আছে।
– সাফিন সব বুঝতে পেরেছ তো?
– হ্যাঁ, সবকিছু বুঝতে পেরেছি। তবে সকাল পর্যন্ত মনে থাকবে কি-না সেটাই সমস্যা?
– অবশ্যই মনে থাকবে সাফিন। তোমাকে যেভাবে স্বচক্ষে সৌরজগতের বর্ণনা দিলাম তাতে মনে হয় কোনদিন ভুলে যাবে না।
– তুমি তো জানোই আমার স্মৃতিশক্তি দুর্বল।
– হ্যাঁ, জানি। তবে শোনো, মানুষ সব পারে। আর তোমাকেও পারতে হবে। একই পড়া বারবার মনোযোগ দিয়ে পড়বে। রাতে পড়লে সকালেও আর একবার পড়বে। দেখবে আর সবকিছু তোমার মনে থাকবে।
– আজ থেকে আমি তাই করব।
– এবার আমাদের পৃথিবীতে ফিরতে হবে। চল তাহলে পৃথিবীতে যাই।
কিছুক্ষণ পর দু’জনে পৃথিবীতে চলে এলো। সাফিনকে তার ঘরে নামিয়ে দিয়ে মেরিনো তার স্পেসশিপে উঠে পড়ল। আর বলল…
– সাফিন তুমি খুব ভালো ছেলে। আমাদের আবার দেখা হবে।
– তুমিও খুব ভালো। তোমার সাথে ঘুরে আমি অনেক কিছু শিখে ফেললাম।
– আমি জানি তুমি পারবে। মন দিয়ে পড়। তাহলে পারবে। আজকে আমি মেরিন গ্রহে ফিরে যাচ্ছি তবে আবার আসব তোমার কাছে।
– আচ্ছা যাও, তবে তাড়াতাড়ি এসো।
মেরিনো নিমেষেই মহাকাশে উড়ে গেল। সাফিনের ভীষণ ঘুম পাচ্ছে এখন। কিছুসময় পর সাফিন ঘুমিয়ে পড়ল।

৪.
সকালে পাখির ডাকে ঘুম ভেঙে গেল তার। উঠেই ফ্রেশ হয়ে সৌরজগতের গ্রহ ও উপগ্রহের বর্ণনা পড়তে লাগল। বেশিক্ষণ তাকে পড়তে হলো না। কারণ কালকের মেরিনোর বর্ণনাগুলো এখনো মনে আছে তার।
নয়টায় স্কুলে গেল। আজ সাফিন স্কুলের সবাইকে চমকে দিলো। বিজ্ঞান ক্লাসে কেউ সৌরজগতের বর্ণনা ঠিকমতো দিতে পারল না কেবল সাফিন ছাড়া। সাফিনের বর্ণনা শুনে বিজ্ঞান স্যারসহ ক্লাসের সবাই অবাক হয়ে গেল। বিজ্ঞান স্যার সাফিনকে মাথা নেড়ে দোয়া দিলেন। এভাবে প্রতিটা ক্লাসে সাফিন সব প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর দিলো।
এখন প্রতিদিন সাফিন ক্লাসের পড়া স্যারকে বুঝিয়ে দেয়। এখন আর কেউ তাকে গাধা বলে না। মজার কথা হচ্ছে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় সাফিন সব বিষয়ে ৯৯% মার্কস নিয়ে ফার্স্ট হলো। স্কুলের সবাই সাফিনের উপর ভীষণ খুশি। সাফিনও অনেক খুশি।
আজ রাতে সাফিন মেরিনোর জন্য অপেক্ষা করছে। কিছুসময় পর মেরিনো চলে আসে। মেরিনোকে তার ফার্স্ট হওয়ার কথা বলল। শুনে মেরিনো বলল…
– আমি বলেছিলাম তুমি পারবে। তুমি তা করে দেখিয়েছ। তুমি সত্যি বুদ্ধিমান ছেলে।
– আমার পুরো কৃতিত্বই তো তোমার।
– আরে না, আমি শুধু তোমাকে ঠিকমতো পড়তে বলেছি। আর তুমি তা করেছে। তার মানে সবকিছু তোমার কৃতিত্ব। চল না আজ মহাকাশ ঘুরে আসি?
– হ্যাঁ, আমিও ভাবছি মহাকাশে যাবো।
– চল তাহলে।
দু’জনে স্পেসশিপে চড়ে মহাকাশে উড়াল
দিলো।

Share.

মন্তব্য করুন