নাইবা থাকুক মহাকাশ যান তাতে কি হয়েছে বলো..
ঘুরে আসা যায় মহাজগতের সবশেষ অঞ্চলও।
মনে মনে ভাবো, ভেবে চোখ বোজো, চোখ বুজে ভাবো আরো..
দেখবে তোমায় ধরার সাধ্য নেই পৃথিবীর কারো।
কি করে ধরবে, তুমি তো তখন অনেক অনেক দূরে
কারমান রেখা পার হয়ে গেছ বাতাসের সুরে সুরে।
মেঘ ছুঁয়ে ছুঁয়ে ভরা জোছনার চাঁদের বাঁপাশ ঘেঁষে
হঠাৎ দেখবে তুমি চলে গেছ শত উলকার দেশে।..

ছুঁচোবাজি হয়ে শত ধূমকেতু ছুটছে তীব্র বেগে-
হয়তো তোমার চোখ ঝলকাবে আলোর পরশ লেগে।..
ভড়কে যেও না মহা আকাশের অবাক কাহিনী দেখে;
প্রয়োজনে নিও শুক্র গ্রহের স্নিগ্ধতা গায়ে মেখে।
মঙ্গলে গিয়ে ভুলেও তোমার পৃথিবী ভেবো না তাকে..
পৃথিবীই শুধু ভালোবাসা দিয়ে তোমাকে জড়িয়ে রাখে।

ভূগোলের পড়া গুগলে আবার দেখে নিয়ে ভালো করে-
মনকে পাঠাও মহাজগতের কাহিনীর প্রান্তরে।
চোখ খুলে মন শনির আজব বলয় আসুক দেখে
নেপচুন প্লুটো ইউরেনাসের আবহ আসুক মেখে
বৃহস্পতির আসল ছবিটা পারলে আনুক তুলে;
আসুক দেখে সে রাতের তারারা কিভাবে রয়েছে ঝুলে।

নক্ষত্রের বিবিধ জগতে কত গ্রহ-তারা জ্বলে
কত কি ঘটছে সপ্তর্ষী বা ভল্লুক মণ্ডলে।…
আসুক দেখে সে কুকুরতারকা, লুব্ধক, রোহিণীকে
বশিষ্ট আর অরুন্ধতীকে কেন এত লাগে ফিকে!
মরীচি, অত্রি, অঙ্গিরা, ক্রতু, বিশাখা, পুলস্ত্যতে-
আগুনের শিখা কিভাবে জ্বলছে বুঝি না পৃথিবী হতে।

নাইবা থাকুক কোনো নভোযান, মনের রকেটে চড়ে…
সহজেই তুমি চমক লাগাতে পারো ইতিহাস গড়ে।
সত্যি কথাটি বলি চুপিচুপি- সবই যে গোলকধাঁধা-
মহাজগতের মহাবিস্ময় বিধাতার হাতে বাঁধা।

Share.

মন্তব্য করুন