ছন্দে মাতি র্হুরাহুরে
ইচ্ছে করে মুক্ত মনে
সৃষ্টি সুখের গল্পে মাতি
দুঃখটাকে পাশ কাটিয়ে
সুখটা নিয়ে সখ্য পাতি।
ছটফটানো তপ্ত রোদে
দিকবিদিকে একলা হাঁটি
কষ্টটাকে মুষ্টি চেপে
অট্ট হেসে ভেংচি কাটি।
জোছনা মাখা চাঁদনী রাতে
চোখ ঢুলুঢুল ঘুমকে ফাঁকি
নিদ্রাবিহীন দীপ্ত চোখে
রঙবেরঙের স্বপ্ন আঁকি।
বিষ্টিমুখর সিক্ত ভোরে
সাঁতরে সাগর যাই সুদূরে
মৃত্যুভীতি তুচ্ছ করে
ছন্দে মাতি র্হুরাহুরে।
মা
মাগো দূর প্রবাসে যখন থাকি
উদাস মনে স্বপ্ন আঁকি
বুঝতে পারি তখন মা-কী
প্রিয়!
তবু ইচ্ছে হলেই যায় না আসা
প্রকাশ করার নাই যে ভাষা
দূর থেকে তাই ভালোবাসা
নিয়ো।
পড়তে হবে বই
কই রে সাবিক কই সাফিকা
নিরমু-নিহাল কই রে কই
ঝগড়া-ঝাঁটি বাদ দিয়ে সব
দল বেঁধে আয়, পড়বি বই।
থাকবি কেন গোমড়া মুখে
হাসবি পুরো জীবনভর
মন যদি রয় অন্ধকারে
বন্ধ থাকে সৃজন ঘর।
খুলতে হলে মনের দুয়ার
ভুলতে হবে দুঃখ-লাজ
পড়তে হবে গ্রন্থরাজি
গল্প-ছড়া-কাব্য আজ।
বিষ্টি আনে কষ্ট ঢের
বাদলা দিনে বইছে ঝড়
দুলছে গাঁয়ের কুঁড়ের ঘর।
বিজলি চমক বজ্রপাত
নামছে আঁধার অকস্মাৎ।
সাঁই সাঁই সাঁই বানের জল
ডুবছে চাষির মাঠ-ফসল।
ভাঙছে পুকুর-নদীর বাঁধ
গর্ত যেন মরণ-ফাঁদ।
ভিজছে মাটির দেয়াল-বাঁশ
লাকড়ি ভিজে সর্বনাশ।
বিষ্টি আনে কষ্ট ঢের
গরিব-দুঃখী পাচ্ছে টের।
মুচকি হাসি
জন্মদিনে
আনবো কিনে
খেলনা ঘুড়ি
আলতা নূপুর।
আনবো কিনে
পয়সা বিনে
রোদ ঝলোমল
স্বচ্ছ দুপুর।
মুক্ত পাখি
নীল জোনাকি
জুঁই চামেলি
হাসনাহেনা।
আর তবে কী
আনবো ঠিকই
মুচকি হাসি
একটু দে না।