আমার কাছে আমার শৈশব ও কৈশোর বেশ মূল্যবান ও আনন্দের। সময়টিকে আমি গুরুত্বের সাথে স্মরণ করি। মনে করি খুব। কেননা শৈশব এবং কৈশোর জীবনের এক নির্মল আনন্দের সময়। স্বপ্ন দেখার সময়। কল্পনার রাজ্যে বিচরণের সময়।

ফলে কিশোর বেলার ঈদের আনন্দও ভিন্নরকম ছিলো। এখনকার সাথে যার মিল নেই বললেই চলে। কিশোরকালের ঈদ আমাকে যেরকম আনন্দ দিতো, সেটি হচ্ছে, ‘ঈদের চাঁদ দেখা’। আমিসহ আমার সমপাঠীরা মিলে চাঁদ দেখার জন্য মুুখিয়ে থাকতাম। বছরে দু’টি চাঁদ দেখার জন্য আমরা বাড়ির আশপাশে উঁকি দিতাম। কখনো খোলা মাঠে কখনো উঁচু জায়গায়। এমনকি কখনো গাছে উঠে যেতাম। চাঁদ দেখার প্রতিযোগিতা চলতো। কে আগে দেখলো।

দেখা গেলো তো আর কথা নেই। ঈদ মোবারক বলে হইহুল্লোড় শুরু করতাম। সবাই নেচে উঠতো আনন্দে। অন্য দিকে ঈদের নতুন জামাকাপড় আর সেলামির বিষয়টিও আমাকে খুব আনন্দ দিতো। বর্তমানে এ তিনটি বিষয় লক্ষ্য করা যায় না। আমাদের সময়ের ঐতিহ্যগুলো মনে হচ্ছে হারিয়ে যেতে শুরু করলো, এসব ভাবলে খুব কষ্ট হয়। কি সুন্দর একটি কৈশোর কাটিয়ে এলাম আমরা! আহা! খুব মনে পড়ে। খুব মিস করি। মন চায় ফিরে যেতে সেই আনন্দের কৈশোরে। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আর ফেরা সম্ভব না ফেলে আসা দিনগুলোতে। এখন মনে মনে ফিরে যাই সেখানে। সেই আনন্দঘন দিনে। সেই আমার প্রিয় কৈশোরে।

Share.

মন্তব্য করুন