জগতে যত আনন্দ আছে ঈদ তার ব্যতিক্রম। ঈদের আনন্দ সব সময়ই একটু ভিন্ন। একটু অন্যরকম। ঈদ মানেই তো আনন্দ! ঈদ মানে খুশি! তাই এ নিয়ে বিশদ আলোচনা আর কী হবে! কিন্তু আলোচনা হয়। হবেও। কারণ আনন্দ সবসময় মানুষের কাক্সিক্ষত। সবসময় মানুষের চাওয়ার। মানুষ আনন্দ পেতে চায়। আনন্দে থাকতে চায়। একইভাবে আনন্দ দিতে এবং নিতেও চায়।

তবে আমার শৈশব কৈশোরের আনন্দ এখনকার মতো ছিলো না। আর এটা হয়ও না। কারণ এক একটা শৈশব এক এক রকম। একেকজনের একেক পরিবেশ। পারিবারিক সামাজিক এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশ প্রত্যেকেরই আলাদা। ফলে সবার অনুভূতিও এক নয়। আনন্দ গ্রহণের ক্ষমতাও একরকম থাকে না। থাকবেও না।
আমাদের কিশোরকালে এখনকার মতো এতো দালান কোঠা এবং আলিশান ভবন তো ছিলো না। আমাদের ছিলো সরল মেঠোপথ। ধানক্ষেত। পাটক্ষেত এবং মশুরীর ক্ষেত। গ্রাম আর সবুজে ঘেরা ছিলো চারপাশ। মজার এক শৈশব কাটিয়েছি আমরা।

শৈশবের ঈদের আনন্দ ছিলো একেবারই স্বাদ আর আনন্দে ঘেরা। নতুন জামা পেলে কি যে আনন্দ পেতাম তা বলে বোঝাতে পারবো না। একটি কথাই বলবো সুন্দর একটি সময় ফেলে এসেছি। চাইলেও সে সময়ে যাওয়া সম্ভব না। খুব মনে পড়ে আমার প্রিয় শৈশবকে, শৈশবের আনন্দকে। মনে হয় সব মানুষেরই মনে পড়ে ফেলে আসা পথগুলো!

Share.

মন্তব্য করুন