দু’হাত দিয়ে শিশির ভেজা
প্রভাতটারে ছানি,
স্বপ্ন রাঙা সূর্যটারে
কে দিলো রে আনি!
দু’চোখ খুলে যেই গিয়েছি
বিশাল মাঠের দিক,
হেমন্ত মাঠ সোনা রোদে
করে রে চিক চিক।
আঁকাবাঁকা আলের পথে
গ্রাম্য কবি হাঁটে,
রাখাল ছেলের কণ্ঠেতে গান,
ধানের ছড়া গাঁটে।
খেকশিয়ালে বলল ডেকে-
এই যে গাঁয়ের ছেলে,
এতদিনের পরে বাপু
এই গাঁয়েতে এলে!
আলতো করে শিশির বিন্দু
পড়ছে দেখো চুয়ে,
মাঠের বুকে সোনার শিষে
আছে মাথা নুয়ে।
দু’হাত বাড়াও, নাও তুলে নাও
সোনার আমন ধান,
এই ধানেতেই লুকিয়ে আছে
তোমার সকল গান।
কণ্ঠে তুলে গাইতে নিলাম
পুলকিত সুর,
হেমন্ত মাঠ হাওয়ায় নাচে
পায়েতে নূপুর।
মাঠের পাশে শাপলা দীঘি
শান্ত জলের ঢেউ,
শাপলাগুলো যত্ন করে
সাজিয়ে গেছেন কেউ;
কালচে পানি সোনা রোদে
হাওয়াতে ঝিলমিল,
দীঘির পাড়ে পদ্য আমার
হাসে যে খিলখিল।
বলল দীঘি-বসো বাপু
আমার কোলে এসে,
ধানের মেয়ে দুলিয়ে মাথা
উঠছে দেখো হেসে।
হেমন্ত মাঠ হাসতে থাকে
দীঘির জলও হাসে,
বাংলা মেয়ের শ্যামলা চোখে
ধানের গোলা ভাসে।
সোনালি রং হেমন্ত সুর,
জাগে গেরাম পাড়া,
দুলিয়ে মাথা ধান গাছে দেয়
নবান্নের ইশারা।