বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তীকালে যারা কিশোর সাহিত্য রচনা করে সুনাম কুড়িয়েছেন মোশাররফ হোসেন খান তাঁদের অন্যতম। তিনি প্রধানত কবি। তবে শুধু কবিতা সৃজনে নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি। পাশাপাশি রচনা করেছেন ছোটগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কিশোর সাহিত্য। এছাড়াও বাংলা কথাসাহিত্যে ‘সাহসী মানুষের গল্প’ তার অসামান্য সৃষ্টি। তার সৃজিত সাহিত্যমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘সাগর ভাঙার দিন’ কিশোর উপন্যাসটি। এই উপন্যাসে জীবনকে দেখেছেন নিবিড়ভাবে। যে জীবনে রয়েছে দারিদ্র্যতার কষাঘাত, রয়েছে অভাব অনটনের নগ্ন ছবি। তবে জীবন জয়ের অনুপ্রেরণায় ভরপুর। যে জীবন হার মানে না। নিজেকে গড়ার ও পৃথিবীকে সাজাবার স্বপ্নে এগিয়ে চলে দারিদ্র্যের পাগলা ঘোড়ার মুখে লাগাম দিয়ে। জীবনের প্রয়োজনীয় বস্তুর অভাব থাকলেও সে জীবনে নেই ভালোবাসার কমতি। পুরো উপন্যাসে আছে কিশোর মনের কল্পনার ছোট ছোট আখ্যান। সেই আখ্যান পড়তে গিয়ে মনে হবে, এ তো আমার দেখা জীবন।
মোশাররফ হোসেন খান কিশোর উপন্যাস লিখতে বসেন যখন তখন তার মনে শৈশবের স্মৃতি যেনো ভেসে উঠে। শৈশবের স্মৃতি মন্থনের বিষয়ে পাঠক মাত্রই খুব সহজে অবহিত হতে পারবেন যে তার উপন্যাসের ভূগোল কপোতাক্ষের কূল ঘেষা বাঁকড়া, কলরোয়া ও সাতক্ষীরা শহর। এর বাইরে তিনি পা রাখেননি। কারণ তিনি তার অভিজ্ঞতার পরিধির মধ্যে থেকেই লিখতে চান। কল্পনা বিলাসী কোন স্থানের চিত্র আঁকতে তিনি চান না। এটা যে এক ধরনের বিশেষ সততা তা সচেতন পাঠক ভালো মতোই বুঝবেন। এ প্রসঙ্গে আমার একটি গল্প মনে পড়ে গেলো। আমার অর্নাসের ক্লাসে একবার আমার প্রিয় এক শিক্ষক বলছিলেন, একজন লেখক তার গল্পে লিখেছেন নায়ক ইউক্যালিপ্টাসের গাছ মাড়িয়ে চলে গেছে নায়িকার কাছে। তো চতুর পাঠক গল্পটি পাঠ করে প্রশ্ন করেছে লেখককে, কীভাবে নায়ক এত বড় ইউক্যালিপ্টাস মাড়িয়ে গেলো? লেখক ছিলেন বেশ সুচতুর। তিনিও কায়দা করে উত্তর দিয়েছিলেন, সেটা চারাগাছ ছিলো। এই ধরনের কোন চালাকির সুযোগ নিতে মোশাররফ হোসেন খান রাজি নন। কারণ এটা পাঠকের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। তবে হ্যাঁ, যদি ভূগোল পাঠ করে লিখে থাকেন সেটা অন্য প্রসঙ্গ। যেমন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় ‘চাঁদের পাহাড়’ লিখেছেন আফ্রিকার জঙ্গলে না গিয়ে। কিন্তু তাঁর ভূগোল জ্ঞান ছিলো প্রখর। পাঠক যখন মোশাররফ হোসেন খানের ‘সাহসী মানুষের গল্প’ পাঠে মগ্ন থাকবেন তখন দেখতে পাবেন তারও সেই ভৌগোলিক জ্ঞানের উৎকর্ষতা। কিভাবে তিনি ৭ম শতকের আরবের চিত্র এঁকেছেন তার গল্পে। যা হোক সে প্রসঙ্গ এখানে জরুরী কিছু নয়। বরং আমরা তার সদ্যপ্রকাশিত উপন্যাস ‘সাগর ভাঙার দিন’ এর ভেতর প্রবেশ করি।
‘সাগর ভাঙার দিন’ প্রথম প্রকাশিত হয় কিশোরকণ্ঠ ঈদ সংখ্যায়। বই আকারে প্রকাশিত হয় ২০০২ সালে। প্রকাশক দ্রাবিড়। এরপর দীর্ঘদিন উপন্যাসটি পাঠকের নাগালের বাইরে ছিলো। দ্বিতীয় প্রকাশের আগ পর্যন্ত পাঠক প্রয়োজন মিটিয়েছে কিশোরকণ্ঠ উপন্যাস সমগ্র-১ থেকে। সেটিও অপ্রতুল প্রায়। আর সেকারণেই হয়তো পাঠকের কথা মাথায় নিয়ে সুসজ্জিত করে উপন্যাসটি প্রকাশের দায়িত্ব নিয়েছে সরলরেখা প্রকাশনা সংস্থা। উপন্যাসের ভেতরে ঢোকার আগে তাই সরলরেখার সাথে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।
‘সাঙার ভাঙার দিন’ উপন্যাসের সূচনা বৃষ্টিঘেরা দিনে। দিন ধরে টানা বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন ঔপন্যাসিক।
টানা তিনদিনের বৃষ্টি-বাদলের মধ্য দিয়ে উপন্যাসের সূচনা। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আনোয়ার। সে বয়সে কিশোর। ক্লাস এইটে পড়ে। বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। মা গৃহিণী। আনোয়ারের বড় ভাই সানোয়ার পড়ে কলেজে। এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের পরিবারের সন্তানের অভাব-অনটনের মধ্যে বেড়া ওঠার গল্প এটি। আনোয়ার আর সানোয়ার ছাড়াও আরেকটি সন্তান ছিলো এই পরিবারে। নাম আইউব। তবে সে এখন মৃত। ছোট বেলাতে মারা গেছে। কেন্দ্রীয় চরিত্র আনোয়ার ও তার বড় ভাই সানোয়ার না খেয়ে লেখাপড়া করে। এমনকি বই পর্যন্ত ধার করে পড়তে হয়। তবু স্বপ্ন দেখে একদিন তারা বড় হবে। দুঃখের সাগর ভাঙতে ভাঙতে পৌছে যাবে আলোকিত উপকূলে।
আগেই বলেছি কেন্দ্রীয় চরিত্র আনোয়ার। খুব কষ্টে কাটে তার দিন। বাবা তিনদিন হলো কলারোয়া গিয়েছেন। এদিকে বাদলের বৃষ্টি। বাড়িতে খাবার নেই। মা আনোয়ারকে একা রেখে গিয়েছে খাবারের সন্ধানে। আনোয়ার বসে আছে বাড়ির বারান্দায়। সে বাড়ি জীর্ণ। চালায় খড়কুটো নেই বললেই চলে। ফলে আনোয়ার আয়েশ করে বসতেও পারছে না। তার ভাষায়, ‘ইস! কী যে কষ্ট তা বলে শেষ করার মতো নয়।’ বৃষ্টির পানির অত্যাচারের সাথে পেটও ক্ষুধায় চো চো করতে থাকে। ক্ষুধাকে ভুলতে সে বৃষ্টির ছন্দে ছন্দে ছড়া কাটে। আবার আনমনে নারকেল গাছে বসে থাকা শালিকের সাথে কথা বলে। সেই কথার মধ্যে উঠে আসে তাদের দু’জনের কষ্টের সাদৃশ্য।
‘তুমি গাছে বসে ভিজছো আর এই দেখো, আমি ঘরে বসে ভিজছি। দেখছো না, আমাদের ঘরের চালে কুটো নেই।’ তাদের কথা এভাবেই আগাচ্ছিলো। সে যে পাখির কথা বুঝতে পারছে তার ব্যাখ্যাও দিচ্ছে বেশ চমৎকারভাবে : ‘আমি স্কুলে যাই। বই পড়ি।…বই পড়ি বলেই তো আমি তোমাকে বুঝতে শিখেছি। তুমি আবার পড়তে জানো না। পড়তে না জানলে আমাকে চিনবে কেমন করে?’ শেষের প্রশ্নটি যেনো বাংলাদেশের সকল কিশোরকে উদ্দেশ্য করে বলছে আনোয়ার। শালিক এখানে একটা প্রতীক মাত্র। নতুন কিছু জানতে বুঝতে যে শিক্ষার প্রয়োজন তা কিন্তু আনোয়ারের এই কথা থেকেই জানতে পারি।
আনোয়ার বাবাকেও খুব ভালোবাসে আর তাই তো পাঁচদিন পর বাবা বাড়ি ফিরলে সে বাবাকে পান তৈরি করে নিয়ে দেয়। আর সেই পান খেতে খেতে বাবা তাকে ‘মুরব্বি আমার, যেন রহিম বকস।’ বলে সম্বোধন করে। এই রহিম বকস হলেন আনোয়ারের দাদা। তিনিও ছিলেন শিক্ষক। আনোয়ার শুধু যে বাবাকে ভালোবাসে তা নয়। সে তার ভাইকেও ভালোবাসে। আর তাই তো সে ছোট থেকেই ভাইকে নানা কাজে সাহায্য করে। প্রচ- শীতে ম্যাভাইয়ের সাথে চলে যায় আমন ধান কুড়াতে। সে ধান বেচে ভাইয়ের বই কিনবে সে জন্য। উপন্যাসের শেষ পর্যন্ত আনোয়ার চরিত্রটি বিকশিত হয়েছে নানাভাবে। তাঁর বয়সের কিশোরদের মধ্যে যে ধরনের জীবনবোধ গড়ে ওঠা দরকার তার প্রকাশ এখানে ঘটিয়েছেন ঔপন্যাসিক।
আনোয়ারের মা বিষয়ে আমরা জানতে পারি, ‘মা! এই একটা মানুষ সংসারে। ঝড় আসুক বৃষ্টি আসুক, গরম কিংবা প্রচ- শীত। না, মায়ের কোনো অবসর নেই। নেই এতটুকু বিশ্রাম। হাড় কাঁপানো শীত যখন, আমরা সবাই যখন লেপের মধ্যে তুর তুর করে কেবলই কাঁপছি, তখনও মা, একমাত্র মা বাইরে। এটা-সেটা কাজ করেই যাচ্ছেন। গভীর রাত পর্যন্ত। মা শুধু যে কাজ করছে, তা নয়। যদি কখনো ঝড় আসে তাহলে নড়বড়ে ঘর পড়ে ক্ষতি হতে পারে ভেবে মা বাবাকে বলেন, ‘আপনি আনুকে নিয়ে চলে যান। আমি যাব না। মরতে হয় এখানেই মরবো।’ মা আদর্শ গৃহিণীর মত আগলে রাখতে চান বাড়িটাকে। আর তাই তিনি সেখানেই মরতে রাজি। কিন্তু বাড়ি ছেড়ে যাবেন না।
মা শুধু সংসার রক্ষার কাজ করে এমন নয়। আনোয়ারকে আদর করে ডাকেন আক্কাস শেখ বলে। আক্কাস শেখ আনোয়ারের নানা। এই নামের সাথে দরদটা উথলে ওঠে। কারণ মা যখন খুব ছোট, তখনি নানি মারা গেছেন। নানাই মাকে মা-বাপের আদর দিয়ে মানুষ করেছেন। তবে কখনো ভেঙে পড়েনি মা। মায়ের সেই বর্ণনা দিচ্ছে আনোয়ার :
‘মা আমার-জনম দুখিনী এক মা। শত কষ্ট, শত বেদনার মধ্যেও তিনি দাঁড়িয়ে আছেন টানটান। কী এক আত্মবিশ^াস আর অপরিসীম স্বপ্ন এবং আশা নিয়ে তিনি এখনো, এই বয়সে সংসারের হাল ধরে আছেন।’
আর এই স্বপ্নের কেন্দ্র আনু ও সানু। সানু পড়ে কলারোয়া কলেজে। সে বৃত্তি পেয়েছে। তার খুব পড়ার চাপ, তাই বাড়িতে তেমন আসতে পারে না। আনু সানু খুব মিস করে। দুই ভাইয়ের খুনসুটি আর ভাব অনেক। সানুর সাথে আনুর সব মাখামাখি। আর তাই সানুকে ছাড়া আনুর সময় বিষণœ কাটে। তাই আনু চলে যায় সানুর সাথে দেখা করতে। তারপর বৃষ্টি মাথায় কপোতাক্ষ পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরে দুই ভাই। সানুও আনুকে ছাড়া দিন গুজরান করতে পারে না।
রহিম বকস ছিলেন স্কুল শিক্ষক। তার ছেলে বাবাও স্কুল শিক্ষক। চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু রিটায়েডের টাকা পাননি। সে টাকা নিতে ঘুষ দিতেও তিনি রাজি না। যদিও কষ্টে দিন কাটে তাদের। শত কষ্টের মধ্যে ছেলেদের প্রতি যত্মবান। পাঁচদিন পর বাবা বাড়ি ফিরেছেন। তখনো আনোয়ারের পড়ার খোঁজ নেন। পড়তে বসান। বেশ মজা করে পড়ান। আবার বাবাকে সানোয়ার স্কলারশিপের টাকা দিতে গেলে বাবা নিতে চান না।
উপন্যাসটিতে রয়েছে চারটি চরিত্র। প্রতিটি চরিত্রকে পূর্ণ বিকশিত করে ফুটিয়ে তুলেছেন ঔপন্যাসিক। স্থান-কাল-পাত্রের সমন্বয় ঘটিয়েছেন নিখুঁতভাবে। তবে আনোয়ার বিষয়ে প্রথম পরিচ্ছদে একটু খটকা যে নেই তা বলা উচিত হবে না। তবে পুরো উপন্যাসটি পড়লে সেই ক্ষুদ্র ত্রুটি দৃষ্টির অগোচরে চরে যায়।
এই উপন্যাসের প্রতিটি পরিচ্ছেদ শুরু হয়েছে কবিতা দিয়ে। উপন্যাসের ভেতরেও রয়েছে বেশ কিছু কবিতা ও গান। যেগুলো বিষয়ের সাথে যুতসই। আর এর ভাষা খুব সাধারণ। যা কিশোর পাঠকদের আকৃষ্ট করবে। কেননা, আমাদের দেশে কিশোর উপন্যাস অনেকেই লিখেন। তবে তার ঘটনা আর কাহিনী বিন্যাস কিশোর উপযোগী থাকে না। সেদিক থেকে এটির ভাষাগত সৌন্দর্যের হানি করেননি ঔপন্যাসিক। তার মাথায় গেঁথে ছিলো যে এটি একটি কিশোর উপন্যাস।
উপন্যাস সম্পর্কে তরুণ প্রাবন্ধিক ও নজরুল গবেষক নির্ঝর আহমেদ প্লাবণ প্রায়শই বলে থাকেন, এটি বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে ছোট সার্থক উপন্যাস। সে প্রসঙ্গে একটি চমৎকার ঘটনাও তার কাছে শুনেছি। যা তিনি তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন। লেখাটি হবহু তুলে দিচ্ছি :
এ উপন্যাস নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য শিরিন ম্যাডামের সঙ্গে বাংলা বিভাগে তুমুল হট্টগোল লাগিয়ে দিয়েছিলাম। তখন ম্যাডাম আমাদের ‘মফিজন’ উপন্যাস পড়াতেন। আমরা ছিলাম ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। ম্যাডাম বলেছিলেন, বাংলা সাহিত্যে সবচেয়ে ছোট সফল উপন্যাস মাহবুবুল আলমের ‘মফিজন’। আমি বলেছি ‘সাগর ভাঙার দিন’। ম্যাডাম বললেন, কোথাকার বাচ্চাকাচ্চা ঔপন্যাসিকের উপন্যাসের নাম বলো? আমি বললাম, রবীন্দ্রনাথও এক সময় বাচ্চা ছিলো। ম্যাডাম বললেন, তুমি কয়টি উপন্যাস পড়েছো? আমি বললাম ১ হাজার থেকে ১২শ এর মতো হবে। ম্যাডাম বললেন, তোমার কথাই সঠিক। তুমি উপন্যাসটি আমাকে পড়তে দিও। আমার বই মেরে দেয়ার অভ্যাস নাই। এরপর থেকে আমাকে ভালোবাসা শুরু করে দিলেন ম্যাডাম। সেদিন ঘোষণা করে দিলেন আমাদের কবি তুমি।

ছেলেবেলার ভালোবাসা এ উপন্যাস। এখানে যৌনতা নেই, উদ্দীপনা আছে। স্বপ্ন আছে, কল্পনা আছে, বাস্তবতার নিগূঢ় নির্যাস আছে। আছে এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র। ভাঙা পাল আর ছেঁড়া হাল নিয়ে দুর্বল নৌকায় উদ্দাম সমুদ্র পাড়ি দেয়ার মূলমন্ত্র আছে। নিরাশার বালুচরে আশার ঘর বসতি করার যথেষ্ট উপাদান আছে। প্রচ- নেশা ধরে যায় এ উপন্যাসে। কাব্যধর্মী উপন্যাস হিসেবে তারাশঙ্করের ‘কবি’ আমার কাছে শ্রেষ্ঠ। তারপরে যদি আরেকটির নাম নেই তবে সেটি হলো মোশাররফ হোসেন খানের ‘সাগর ভাঙার দিন’। এই উপন্যাসের প্রত্যেকটি কবিতা আমি মুখস্ত করে ফেলেছিলাম। ম্যাডাম আমার এ অবস্থা দেখে বুঝতে পেরেছিলেন আমি কতটা সিরিয়াস উপন্যাস নিয়ে। তিনি বললেন, বাবা আমি মাত্র ৪০০ উপন্যাস পড়েছি। সুতরাং আপাতত তুমি যেটা বলেছো সেটাই সঠিক বলে ধরে নিচ্ছি।

উপন্যাসটি পাঠে আমারও তাই মনে হয়েছে। মাত্র ৪৮ পৃষ্টার একটি উপন্যাসে প্রতিটি চরিত্রের রয়েছে বিস্তৃত বিবরণ। বিকশিত হয়েছে প্রতিটি চরিত্র ঘটনার সাথে মিল রেখে। কোথাও কোন খামতি নেই।

Share.

মন্তব্য করুন