সাগরের সৌন্দর্য প্রকৃতির সাথে নিবিড়ভাবে মিশে আছে। সাগরের নিচেও যে আছে অজানা এক রহস্যপুরী, বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে সেই অজানা রহস্যপুরীর নানা রহস্য। সাগর আসলেই অপার রহস্যময়। আর তার দিগন্ত অবধি ছড়ানো সৌন্দর্য আমাদের সবাইকে ভীষণ আনন্দ দেয়। সাগরের নিচে ছড়িয়ে আছে কত অজানা রহস্যের ভা-ার। এই রহস্য সম্পর্কে আমরা কতটুকুইবা জানি। প্রবালের নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। এর রং লাল। ভাগ্য বদলানোর আশায় অনেকে শরীরে ধারণ করেন ‘পলা’ নামে। মৃত প্রবালের শক্ত শরীর জমে জমে যে স্তূপ, তাকে বলা হয় কোরাল রিফ। বাংলায় যাকে বলে প্রবাল প্রাচীর। আর এই সাগরের প্রাণীর মৃতদেহ যদি এক জায়গায় প্রচুর জমতে শুরু করে, তখন তৈরি হয় প্রবাল দ্বীপ। দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অস্ট্রেলিয়া কুইন্সল্যান্ড ভূখ-ের গায়ে প্রবাল সাগরে এমন অসংখ্য প্রবাল দ্বীপ ছড়িয়ে আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানচিত্রের দিকে তাকালে অনেক বড় খুব চেনা দ্বীপকেও এমন প্রবালের তৈরি ভেবে চমকে যেতে হয়। সাগরের বিজ্ঞানীরা সাগরের প্রাণ নিয়ে রীতিমতো গবেষণাও করছেন নানা জায়গায়। উল্লে¬খ্য, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের মস্তবড়ো প্রদেশ। তার পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর। সানফ্রানসিসকো শহরটি এই উপকূলে। এর দক্ষিণে প্রায় চল্লি¬শ মাইল তটরেখাজুড়ে এখানে রয়েছে মনটেরে উপসাগর। মানচিত্রে দেখলে ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলের মাঝামাঝি জায়গায়। এই উপসাগরটিকে অ্যাকোরিয়াম হিসেবে চালু করা হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। সেখানে স্থাপিত হয়েছে ‘মনটেরে বে’। মনটেরে উপসাগরে রয়েছে অজস্র বিস্ময়। শীতকালে অপেক্ষাকৃত গরম পানির আশায় সেই উত্তর থেকে এখানে আসে হাজারে হাজারে ‘মোলামোলা’। উল্লে¬খ্য, ‘মোলা শব্দের লাতিন অর্থ জাঁতার পাথর।’ ওজনে ভীষণ ভারী বলেই ‘মোলা’ নামকরণ হয়েছে। এরা ওজনে অনায়াসে তিন হাজার পাউন্ড অবধি হতে পারে। তাদের গা খুঁটে পরজীবী পোকা খায় শার্ক পার্চ মাছেরা। অতল সাগরে মোলার লেজ দিকনির্দেশক রাডারের কাজ করে। তা ছাড়া মনটেরে উপসাগরে রয়েছে প্রচুর জেলি ফিশ। হরেক তাদের গায়ের রং। বেগুনি ডোরাকাটা একফুট চওড়া এক ধরনের জেলি ফিশ, মোলার প্রিয় খাবার। এ ধরনের জেলি ফিশের বেঁচে থাকা নির্ভর করে তাদের মারাত্মক হুল আর নরম থলথলে হাতের ওপর। হাত ছাড়া খাবার মুখে তোলার ক্ষমতা নেই এদের। আরেক ধরনের জেলি ফিশের নাম মুন জেলি। আকারে চাঁদের মতো। হুলবিহীন। তাই পেটের খোলে অনায়াসে অন্য মাছেরা বাসা বাঁধে। সি-স্টার বা তারা মাছও কম দর্শনীয় নয়। সূর্যমুখী অবশ্য বিখ্যাত, তার দ্রুতগতির জন্য। বৈজ্ঞানিক নাম পিকনোপোডিয়া হেলিয়ান থোইডেস। প্রায় দু’ফুট চওড়া এই তারা মাছের গায়ে অন্তত পনেরো হাজার শোষক পদ রয়েছে। তা দিয়ে সাগরের নিচে মাটি ও জলজ উদ্ভিদের ওপর বেয়ে ছুটে চলে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির এই তারা মাছ। উল্লেখ্য, সূর্যমুখীর গতি ঘণ্টায় ষাট ফুটের বেশি। তার গায়ে রয়েছে বিশেষ ধরনের গন্ধ। তা শুঁকে টের পেয়ে যায়, আশপাশের জলজ প্রাণী। কাঁকড়া, শামুক, গুগলিরা এদের দেখে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এরা সত্যিই পালাতে পারে কি? সূর্যমুখীর ক্ষিদে প্রচুর। খোলাসমেত পুরো একটা বড়ো সাইজের কাঁকড়া বা শামুক অনায়াসেই সে গিলে ফেলে। আরো রয়েছে ‘পিসাস্টার জায়গানটিয়াস’। এই তারা মাছেরাও আকারে বিশাল। প্রায় এক ফুট চওড়া। পিকনোপোডিয়ার মতোই এর সারা গায়ে ছোট ছোট কাঁটা রয়েছে। তাই তাড়াতাড়ি কোন পরজীবী বা লার্ভা গায়ে এঁটে যেতে পারে না। পিসাস্টারের ক্ষমতা কম নয়। সূর্যমুখীর মতো সেও খোলাসুদ্ধ শামুক গিলে হজম করে ফেলে। তবে কখনো সখনো খুব পিছল শামুকের পাল¬ায় পড়লে, জব্দ হতে হয় তাদের। তাছাড়া গভীর সমুদ্রে বহুরূপীও আছে। এরা গাঢ় লাল ও সবুজের ছোপমাখা ব্যাঙাচি ধরনের মাছ। তাই প্রবাল আর শ্যাওলার মাছে মিশে থাকলে, এদের চেনা মুশকিল। রঙই তার আত্মরক্ষা। প্রায় পাঁচ ইঞ্চি শরীরে এক বড় চোয়ালওয়ালা মুখ। ওই শক্ত চোয়ালে নিজের চেয়ে বড় আকৃতির মাছও এরা আড়াআড়িভাবে ধরতে পারে। গভীরতা যত বাড়তে থাকে, পানির চাপ ততই বাড়ে। হাজার মিটারের নিচে সূর্যের আলো পৌঁছায় না। সেখানে ব্যাকটেরিয়ারা সক্রিয়। তাদের গায়ে নীল জ্যোতি। এ জগৎ বেশ আলাদা। জলজ উদ্ভদ, শ্যাওলা, জেলি, লার্ভা, মিউকাস, বিচিত্র মাছ সবকিছুর গায়েই আলো। খাবার ভীষণ কম। তাই কম ইন্ধনে বেশি কাজ চালানোর ক্ষমতার ওপরে জীবন নির্ভর করে। মাছেরা এই গভীরতায় ধীর গতিসম্পন্ন হয়।

বেশির ভাগের মুখ শরীরের চেয়ে বড় এবং প্রসারণক্ষম। যাতে নিজের চেয়ে বড় আকারের জীব খেয়ে হজম করতে পারে। বড় জীব মানেই বেশি শক্তিধর। এদের বিপাকক্রিয়া অত্যন্ত ধীরে হয়। ফলে অল্প শক্তি খরচ করে অনেকক্ষণ সময় কাটানো এদের পক্ষে সম্ভব। সাগরের অতলে জৈব প্রভা ছাড়া আর কোন আলো নেই। তাই অনেক প্রাণীর চোখ বিশেষ ধরনের। কারো চোখ বড়ো। কারো বা চোখ অত্যন্ত সংবেদনশীল। হ্যাচেট জাতীয় মাছের চোখ টিউবের মতো। এতে বেশি ফেটন কণিকা সংগ্রহ করা যায়। তাই খুব অল্প আলোতেও কাজ চলে। অতল সাগরে লার্ভাসিয়ানরা এক সহস্যময় প্রাণী। এরা আঙুলখানেক লম্বা হয়। দেখতে অনেকটা ব্যাঙাচির মতো। এদের খবর বেশ কিছুকাল আগেও জানা ছিল না। সাগরে জাল ফেললে, মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া প্রভৃতি শক্ত দেহের প্রাণী উঠে আসে। তার সঙ্গে উঠে আসে জালিযুক্ত শ্লে¬ষ্মার মতো এক ধরনের আঠালো স্বচ্ছ পদার্থ। সেটা কোন এক বা একাধিক প্রাণীর, নাকি জলজ উদ্ভদ থেকে এসেছে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের সুস্পষ্ট ধারণা ছিল না। কিন্তু কয়েক বছর আগে লার্ভাসিয়ানদের এই প্রজাতিকে সাগরের পাঁচ শ’ মিটার গভীরে প্রথম চিহ্নিত করা হয়। দেখতে ইঞ্চিখানিক হলে কী হবে, অনেকটা গুটি পোকার মতো লালা আর শ্লে¬ষ্মা জড়িয়ে লার্ভাসিয়ানরা প্রায় মানুষ সমান ঘর বানায়। এই সক্রিয় স্পন্দনশীল শ্লেস্মাজালিতে তাদের খাবার ধরা পড়ে। প্রত্যেকের নিজস্ব এলাকা রয়েছে। কেবল মারা গেলে বা ঘর ছাড়লে, এই থলথলে স্বচ্ছ পদার্থগুলো সাগরের নিচে তলিয়ে যায়। আলোর জালসমেত লার্ভাসিয়ানদের দেখলে মনে হবে বোধ হয় কোন ভিনগ্রহের স্বচ্ছ প্রাণী। ভেতরে ধুকপুক করে আঙুল প্রমাণ জীবন। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, পৃথিবীর বিভন্ন উন্নত দেশসমূহে সাগরের নিচের এই অজানা রহস্যপুরীর সঙ্গে জনসাধারণকে স্বচক্ষে পরিচিত করার জন্য নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। সেসব দেশসমূহে তাদের সাগরকূল থেকে প্রতিদিন এমন একটি সাবমেরিন সাগরের নিচের বিস্ময় দেখানোর জন্য নামে। লেন্সের আকৃতির বিরাট বিরাট গোল কাচের জানালায় বসে দর্শকরা বাইরের জলের জীবন্ত জগৎ দেখে অবাক হয়ে যান। আর তাদের তথ্য জোগাতে শোনানো হয় রেকর্ড করা ধারাভাষ্য। সাগরের নিচের অজানা জগৎকে ওপরের মাটিতে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় সিরোভার। এই গবেষণায় প্রতি মুহূর্তে রয়েছে নতুনতর বিস্ময়, নতুন কিছু জানার আনন্দ। সৃষ্টির সেই শুরু থেকে বেঁচে থাকার পাশাপাশি মনের ক্ষুধা মেটাতেও পানির ওপরে নির্ভর করে আসছে মানুষ। আর সেটা যদি হয় সাগরের নীলচে লবণাক্ত পানি তবে তো কোনো কথাই নেই! পানের উপযোগী না হলেও মনকে সতেজ করে তুলতে যুগের পর যুগ সাহায্য করে এসেছে সাগর। অসাধারণ সব সৌন্দর্যের ভা-ার সাজিয়ে রেখেছে নিজের গভীর বুকের মাঝে। শুধু সৌন্দর্যই নয়, সাগরের অতল গভীরতার ভেতরে লুকিয়ে আছে অনেক অনেক রহস্যও! এমন কিছু অমীমাংসিত রহস্য চুপটি করে লুকিয়ে আছে সাগরের মাঝে যেগুলোর কোনো ধরনের সমাধান আজ অব্দি পাওয়া যায়নি। সাগরের এমনই কিছু অদ্ভুত রহস্যের কথা এখন পড়ে জানতে পারবে। পৃথিবীতে মোট ১২টি এমন স্থান রয়েছে বলে মনে করা হয় যেখানে এর চৌম্বকীয় আকর্ষণ প্রচ- বেশি। আর এমনই এক স্থান হচ্ছে ‘ডেভিলস’ সি বা শয়তানের সাগরের ভেতরে অবস্থিত ‘ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল’। জাপান আর বোনিন দ্বীপের মাঝখানে সাগরের মাঝে অবস্থিত এই স্থানটিকে জাপানিরা সবসময়ই ড্রাগনের আস্তানা বলে ভেবে এসেছেন। জাপানিজ পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, এখানে এক ভয়ঙ্কর ড্রাগন বাস করে যার ক্ষুধা দূর করা একেবারেই সম্ভব না। আর তাই প্রায়ই সেটা নিজের কাছে আসা জাহাজ আর মানুষকে খেয়ে ফেলে নিজের ক্ষুধা মেটায়। সেই থেকে এর নাম হয়ে গিয়েছে ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল। ১২০০ শতাব্দীর দিকে কুবলাই খান বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছেন জাপানকে দখলে নিতে। এগোতে চেয়েছেন শয়তানের সাগরের মাঝ দিয়ে। প্রতিবারেই ব্যাপক সংখ্যক মানুষ আর জাহাজ হারাতে হয়েছে তাকে। শুধু তিনিই নন, আজ অব্দি অগণিত জাহাজ আর উড়োজাহাজ ¯্রফে হাওয়া হয়ে গিয়েছে এখানটায় এসে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের বিপরীতে অবস্থিত হলেও ঠিক ওটার মতই রহস্য জমা হয়ে আছে ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেলকে ঘিরেও। ১৯৫০ সালে ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেলকে অনিরাপদ বলে ঘোষণা দিলেও এরপর অনেকেই চেষ্টা করেছেন এখানকার রহস্য ভাঙতে। আর তাদের ভেতরে একজন ল্যারি কুছে নিজের বইয়ে জানান, ওখানে আর কিছুই না, রয়েছে এক বিশাল আগ্নেয়গিরি। আর যতসব রহস্যময় উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে আজ অব্দি সবগুলোর পেছনে হাত রয়েছে একমাত্র ঐ সাগর আগ্নেয়গিরিরই! তবে আগ্নেয়গিরিই বা কিভাবে জাহাজ গ্রাস করে সে ব্যাখ্যাও কল্পনার বাইরে। আসল রহস্যটা থেকেই গেল। ব্যাপারটা অনেকটা একই রকম। ঠিক গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের মতই আরেকটা ট্রায়াঙ্গেল খুঁজে পাওয়া যায় সাগরের ভেতরে। যেখানটায় একের পর এক ঘটে যেতে থাকে অদ্ভুত সব ঘটনা। হাওয়া হয়ে যেতে থাকে এক এক করে অনেক মানুষ, বিমান, জাহাজ- সবকিছু! কী এমন আছে ওখানে? কি ওটার রহস্য? আজও জানতে পারেনি কেউ। শয়তানের ট্রায়াঙ্গেল নামে পরিচিত রহস্যময় স্থানটিতে ভিনগ্রহবাসীদের হাত আছে বলে মনে করেন অনেকে। নির্দিষ্ট করে কোন স্থানটিতে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল আছে সেটা বলা যায় না। তবে আটলান্টিক মহাসাগরের ভেতরেই কোনো একটা জায়গায় আছে সেটা। অনেকের অনেক মত আছে একে নিয়ে। তবে অনুসন্ধানকারী লেখক কুছে জানান, কোনো একটা মাত্র কারণকেই ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের’ রহস্য বলে মনে করাটা বোকামি। এর চাইতেও বড় বোকামি হচ্ছে যতগুলো জাহাজ হারিয়েছে সেগুলোর সবগুলোকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের শিকার বলে ধরে নেয়া। হতেও তো পারে সেটা অন্য কোনো কারণে হারিয়ে গেছে বা ধ্বংস হয়েছে। তবে যে যাই বলুক, এখন পর্যন্ত ব্যাপারটা ঠিক সেখানটাতেই আটকে আছে যেখান থেকে একদিন এটার শুরু হয়েছিল। জাহাজ আর মানুষকে উধাও করে দেওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে আছে যে তৃতীয় সাগরটি সেটা হচ্ছে ‘আর্কটিক সাগর’। প্রায়ই কোনো না কোনো কারণে হুট করে উধাও হয়ে যাচ্ছে এর ওপর দিয়ে ভাসতে থাকা জাহাজগুলো। তবে মাঝে মাঝে জাহাজগুলো বেঁচে গেলেও রক্ষা পাচ্ছে না এর ভেতরের মানুষ।

১৮৭২ সালে সাগরের ওপর হঠাৎ মেরি ক্যালেস্টে জাহাজটিকে দেখতে পাওয়া যায়। সওদাগরি জাহাজটিতে প্রচুর খাবার আর ঠিক স্থানে ঠিক জিনিসপত্র বজায় থাকলেও কেবল ছিল না ভেতরের মানুষগুলো। সবকিছু ফেলে মাঝ সাগরে কোথায় গেল তারা? প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি আজও। সেই শুরু। এরপর এইচএমএস সাপ্পোহ, ইউএসএস সাইক্লোপস, এমভি জয়তা, ফ্লাইং ডাচম্যান, বেচিমো, ক্যারোল এ. ডেরিং, লেডি লোভিবন্ড ও অক্টাভিয়াসের মত বিখ্যাত সব ভুতুড়ে জাহাজের জন্ম দিয়েছে সাগরটি। কখনো মানুষ উধাও, কখনো মানুষসহ জাহাজ। কখনো ছায়াময় ভুতুড়ে জাহাজের উৎপত্তি আবার কখনো পাগল কিছু মানুষকে উপহার দেওয়া- এভাবেই এখন পর্যন্ত নিজের রহস্যকে বজায় রেখেছে ‘আর্কটিক সাগর’। যেগুলোর উত্তর এখনো জানে না কেউ! তাই অতল সাগরের অজানা রহস্যপুরী নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সবার। বিজ্ঞানীরা এর রহস্য উদঘাটনে তৎপর রয়েছেন সর্বদা। আমরা আশা করি একদিন সাগরের রহস্য উৎঘাটনে বিজ্ঞানীরা সক্ষম হবেন। ফলে, আমরা অতল সাগরের অজানা রহস্য সম্পর্কে সহজেই জানতে পারো। তবে, এর জন্য হয়তো আমাদের অনেককাল অপেক্ষায় থাকতে হবে।

Share.

মন্তব্য করুন