১.
-হ্যালো রূপা, তুমি শিঘ্রই চলে আসো। সড়ক দূর্ঘটনায় আমি আহত হয়েছি; হয়তো বাঁচব না।
ওপাশ থেকে স্বামী আশরাফ মাহমুদের মোবাইল ফোন পেয়ে চমকে ওঠেন স্ত্রী রূপালি বেগম। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখেন ১২.১০ বাজে। উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বলেন, কোথায়?
-আমি এখন অ্যাপোলো হাসপাতালে আছি।
-আমি এক্ষুণি আসছি! স্বনন মিমোসা, তোরা কোথায়? চিৎকার করে ছেলেমেয়েকে ডাকেন তিনি। ডাক শুনে মিমোসা পড়ার রুম থেকে বের হলে ওকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে। স্বনন কই?
মিমোসা বলে, ভাইয়া তো বাড়িতে নেই।
এরপর ড্রাইভারকে ডেকে দু’জন কারে উঠে পড়েন। কার ছুটতে থাকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে।
রূপালি বেগম হাসপাতালে পৌঁছে দেখেন তার স্বামী মারা গেছেন। কর্তব্যরত একজন নার্সকে জিজ্ঞেস করতেই উত্তর দেয়, উনি ১১টার দিকে মারা গেছেন। নার্সের কথা শুনে তিনি চমকে ওঠেন- ও তো আমার কাছে ১২.১০- এ ফোন করেছিল। তাহলে ১১টার সময় মারা গেল কীভাবে? মনে মনে চিন্তা করে প্রকাশ্যে নার্সকে বলেন, আপনি ঠিক বলছেন তো?
নার্স বলে, ওনার প্রাইভেট কারটি সকাল সাড়ে দশটার দিকে একটি ট্রার্কের সাথে ধাক্কা লেগে দূর্ঘটনায় পতিত হয়। কয়েকজন শুভাকাক্সক্ষী ওনাকে সোয়া এগারোটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখার পর বলেন, উনি দশ-পনেরো মিনিট আগে মারা গেছেন। সে হিসেবে সকাল ১১টার দিকেই মারা যাবার কথা।
নার্সের কথা শুনে রূপালি বেগম আবার ভাবতে থাকেন-তাহলে ফোনটা করল কে? কিন্তু গলার স্বরটা তো তার স্বামী আশরাফ মাহমুদের- এতে কোনো ভুল নেই।
-ড্যাডি! ও ড্যাডি! কোথায় গেলে তুমি?
মিমোসার উচ্চস্বরে কান্নার শব্দে রূপালি বেগম সম্বিত ফিরে পায়। চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকে। এই অসময়ে চলে গেলে তুমি! মেয়েটি সবেমাত্র ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে। ছেলে স্বনন মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ায় তিনি গর্ব করে বলতেন, আমার মেয়েও বিজ্ঞানী হবে দেখে নিও; কিন্তু তা আর হয়ে ওঠে নি। আসলে মানুষের সব ইচ্ছায়ই পূরণ হয় না। বিদেশ-বিভূঁইয়ে এখন সে একা কী করবে? আমেরিকায় তার কোনো আত্মীয়-স্বজনও নেই। ওদিকে ছেলে স্বননের সঙ্গেও অনেক দিন যোগাযোগ নেই। ও তো গ্রহান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রূপালি বেগম আর ভাবতে পারেন না, টিস্যু পেপার দিয়ে চোখ মুছে মিমোসার মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিতে থাকেন। মিমোসা মায়ের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ডুকরে কেঁদে ওঠে।

২.
স্বনন রুমে ঢুকেই দেখে মা মিমোসাকে ড্রেস পরিয়ে দিচ্ছে। মিমোসা ওর ছোটবোন। বয়স আঠারো কি উনিশ বছরের মতো হবে। মিমোসার আহ্লাদ এখনো কমেনি! এত বড় ধিঙ্গি হয়েছে তাও মায়ের সবকিছু করে দিতে হয়। ছোটবেলা থেকেই ও খুব আহ্লাদি। স্বনন মায়ের কাছে গিয়ে বলে, মম, ক্যামন আছো তোমরা?
মা স্বননের দিকে তাকিয়ে বলে, বাবা তুই! তুই না ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়েছিলি?
-না মম, আমি হারাব ক্যানো? বিভিন্ন গ্রহে ঘুরে এখানে এলাম তাই একটু দেরি হয়ে গেলো এবার।
-তা যাই হোক, তুই ফিরে এসেছিস এটাই আমার সৌভাগ্য।
-মা, মিমোসা কথা বলছে না ক্যনো, ও কি আমার ওপর রাগ করেছে?
-ও তো কথা বলতে পারে না- বোবা।
-কী বলছো! কবে হলো এমন?
-ক্যানো তুই জানিস না? ও তো জন্ম থেকেই কথা বলতে পারে না। তাই তো ওকে ‘‘মুক ও বধির ইন্সটিটিউট’’-এ ভর্তি করে দিয়েছি। মায়ের কথা শুনে স্বনন কী যেন ভাবতে থাকে। এমন সময় বাইরে থেকে বাবা এসে রুমের ভিতরে ঢোকেন। ভিতরে ঢুকতেই বাবাকে জড়িয়ে ধরে স্বনন চিৎকার দিয়ে ওঠে, ড্যাডি তুমি! তুমি না মারা গিয়েছ?
বাবা কিছুটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। মনে মনে ভাবেন- তার ছেলে তো হারিয়ে গিয়েছিল। এত দিন পর ও…
বাবাকে চুপ থাকতে দেখে স্বনন বলে, বাবা, কিছু বলছো না যে?
বাবা একবার স্বননের দিকে তাকান আবার মায়ের দিকে তাকান কিন্তু কি বলবে বুঝতে পারেন না।
স্বনন বাবা-মা দুজনকে উদ্দেশ্য করে বলে, তোমরা কি আমাকে ভুলে গেছো?
বাবা অনেকক্ষণ নীরব থাকার পর বলেন, ভুলে যাবো ক্যানো বাবা; তুই আমাদের একমাত্র ছেলে। ফিরে এসেছিস সে তো আনন্দের কথা।
ওদিকে মা বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মিমোসা রেডি হয়েছে; ওকে কলেজে পৌঁছে দাও।
মায়ের কথায় বাবা মিমোসাকে সঙ্গে করে রুম থেকে বের হয়ে যান।

৩.
বাবার ফোন পেয়েই মা চমকে ওঠেন মিমোসা অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। বাড়ি ফেরার পথে গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। বাবা সঙ্গেই ছিল কিন্তু তার তেমন কিছু হয় নি। মিমোসা বামহাতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে, কনিষ্ট আঙুল ছিঁড়ে পড়ে গেছে।
মা উদ্বিগ্ন হয়ে স্বননকে ডাকেন কিন্তু ওর কোনো সাড়া-শব্দ নেই। মাত্র ছেলেটি এসেছে, মোবাইল নম্বরটা পর্যন্ত নেওয়া হয় নি। মা ড্রাইভারকে ডেকে একাই হাসপাতালের দিকে রওনা দেন।
হাসপাতালের রুমে ঢুকেই মা কান্না জুড়ে দেন। বাবা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ও সুস্থ আছে। তেমন কোনো ক্ষতি হয় নি। একটিমাত্র হাতের আঙুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
-আমার মেয়ের একটি আঙুল নেই তাও বলছো তেমন কিছু হয় নি। মা মিমোসার ব্যান্ডেজ করা হাত ধরে উচ্চস্বরে কাঁদতে থাকন।
মিমোসা ঘুমিয়েছিল। মায়ের কান্নার শব্দে জেগে ওঠে; মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না জুড়ে দেয়। মা ওর বুকের কাছে মুখ নিয়ে কাঁদতে থাকেন।
এমন সময় রুমের মধ্যে ডাক্তার সাহেব ঢুকে পড়েন। সবাইকে কান্নারত অবস্থায় দেখে বলেন, এভাবে কাঁদলে রুগির মন ভেঙে যাবে। আপনারা সবাই বাইরে যান।
ডাক্তার সাহেবের কথায় বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে চলে আসেন। গেস্টরুমের দিকে দুজন এগুতে থাকেন। এমন সময় বাবা দেখেন তার বন্ধু স্ট্রিম ওয়াট আসছেন। তিনি একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী। বাবা মাকে গেস্টরুমে বসিয়ে রেখে মি. স্ট্রিমের দিকে এগিয়ে যান। কুশল বিনিময়ের পর তাকে নিয়ে মিমোসার রুমে ঢোকেন।
মিমোসাকে দেখে মি. স্ট্রিম বলেন, চিন্তা করো না ফ্র্ন্ডে, ও কয়েক দিনেই ভালো হয়ে যাবে। মি. স্ট্রিম বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন বাবা তার সঙ্গে কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে বলেন, তোমার সঙ্গে কিছু কথা ছিল ফ্রেন্ড।
-কি কথা?
–না থাক, পরে বলা যাবে।
-সংক্ষেপে বলো।
-সংক্ষেপে বলা যাবে না।
-তাহলে পরেই বলো।
মি. স্ট্রিম ওয়াট চলে যান। বাবা বন্ধুকে বিদায় দিয়ে পুনরায় মায়ের কাছে চলে আসেন।

৪.
স্বনন বাড়িতে এসে দেখে বাবা-মা মন খারাপ করে মিমোসার বিছানার পাশে বসে আছে। ওকে দেখে মা বলেন, বোনের এমন দূর্ঘটনা ঘটল আর তুই কি না বাসায় নেই। কোথায় গিয়েছিলি তুই?
-অনেক দিন পর দেশে আসলাম তাই একটু ঘুরতে বেরিয়েছিলাম কিন্তু অনেক কিছুই বদলে গেছে। তা কি হয়েছে ওর?
-ও অ্যাকসিডেন্ট করেছিল, একটি আঙুল ছিঁড়ে পড়ে গেছে।
-কী বলছো! স্বনন মায়ের কথা শুনে মিমোসার কাছে এগিয়ে যায়। হাত দিয়ে মিমোসার ব্যান্ডেজ করা আঙুলের ওপর হাত বুলায়। দেখে ওর কনিষ্ট আঙুলটি একেবারে গোড়া থেকে ছিঁড়ে পড়ে গেছে। আরে! এ যে সেই বামহাতেরই কনিষ্ট আঙুল! এ আঙুল তো দু’তিন বছর আগেই অ্যাকসিডেন্টে ছিঁড়ে পড়ে গিয়েছিল। আবার সেই একই আঙুল কেটে পড়ে যায় কীভাবে? স্বননের মাথায় তালগোল পাঁকিয়ে যায়। মিমোসাকে জিজ্ঞেস করে দেখবে? কিন্তু পরক্ষণেই মনে হয় ও তো বোবা- কিছু বলতে পারবে না। কিন্তু ওর বোন তো বোবা নয়? তাহলে? এত কিছু মিলের মধ্যেও কোথায় যেন গরমিলের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
-কি ভাবছিস স্বনন? স্বননকে চুপ থাকতে দেখে মা বলেন।
-কিছু না। কিন্তু মম, ও তো এর আগেও একবার অ্যাকসিডেন্ট হয়েছিল আর ওই আঙুলটাই ছিঁড়ে পড়ে গিয়েছিল।
-কি বলছিস! ও তো এই প্রথম অ্যাকসিডেন্ট হলো।
-না-মা-নে। আচ্ছা ড্যাডি তোমার পৈত্রিক নিবাস মানে আমার দাদাবাড়ি বাংলাদেশে একটু বেড়াতে যাবো, তুমি যাবে সাথে? স্বনন অন্য প্রসঙ্গ তোলে।
-কি বলছিস এ সব! বাংলাদেশ? বাংলাদেশ বলতে তো ঔ-৩ ওয়ার্ল্ডে কোনো দেশ নেই।
-কি বললে! এটা ওয়ার্ল্ড মানে পৃথিবী নয়?
-না, এটা ঔ-৩ ওয়ার্ল্ড। পৃথিবী কি কোথায় তা আমার জানা নেই।
-পৃথিবী সৌরজগৎ মানে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির অন্তর্গত একটি গ্রহ।
-ওতো কিছু জানি না। কিন্তু তুই এত পৃথিবী পৃথিবী করছিস ক্যানো?
-আমি তো পৃথিবীরই বাসিন্দা।
-তাহলে তুই আমাদের ছেলে নস? এতক্ষণ পর মা চমকে উঠে বলেন।
স্বনন কি জবাব দিবে ভেবে পায় না।
মা বাবাকে বলেন, ওকে ভালো একজন মনো-ডাক্তার দেখাও। ওর মাথায় বোধ হয় সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বাবা মৃদু ঘাড় নেড়ে মনে মনে বলেন, ওকে ডাক্তার নয়, বিজ্ঞানীর কাছে নিয়ে যেতে হবে। আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম… কোথাও আমাদের একটা ভুল হচ্ছে।

৫.
আমরা জানি আমাদের মহাবিশ্ব বহু এবং বিশাল। এই অসংখ্য মহাবিশে^র মধ্যে রয়েছে আবার অগণিত গ্রহ-উপগ্রহ ও নক্ষত্ররাজি। অসংখ্য গ্রহের মধ্যে আবার সাদৃশ্য বা মিল রয়েছে অনেক গ্রহের; যাদেরকে বলা হয় প্যারালাল ওয়ার্ল্ড। আর আমাদের এই ঔ-৩ ওয়ার্ল্ডের টুইন বা প্রতিকপি হলো ওয়ার্ল্ড বা পৃথিবী; যার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বা বৈশিষ্ট্য প্রায় একই রকমের।
বিজ্ঞানী স্ট্রিম ওয়াট এইটুকু বলে একটু থামেন। টেবিলের পর রাখা বোতল থেকে কয়েক ঢোক পানি পান করেন। বাবা ও স্বনন এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে বিজ্ঞানীর কথা শুনছিলেন। নীরবতা ভঙ্গ করে বাবা বলেন, কিন্তু গ্রহ দুটির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য এক হলেও তার বাসিন্দা বা মানুষদের স্বভাব-চরিত্র এক হয় কী করে?
-এটা প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের সৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্য। সৃষ্টিলগ্ন থেকেই গ্রহগুলো বা এর বাসিন্দাদের বৈশিষ্ট্য প্রায় একই ভাবে গড়ে উঠেছে। হয়তো এরা এক সময় যমজ বা জোড়া লাগানো ছিল। বিগব্যাঙ কিংবা কোনো মহাজাগতিক বিপর্যয়ের কারণে গ্রহগুলো দূরে বহু দূরে ছিটকে পড়ে।
-এর বাসিন্দাদের সত্তাও কি এক?
-না, তবে বিশেষ ক্ষেত্রে একই সত্তার বৈশিষ্ট্য এসে ধরা দিতে পারে। যেমন আপনার টুইনের যদি কোনো বিপদ ঘটে তখন আপনার মষিÍস্ক বা হৃদয়তন্ত্রীতে তা সংকেত বা নাড়া দেবে তখন আপনি তার হয়ে কোনো কাজ বা সাহায্য করতে উদ্যোগী হবেন। এ রকম কিন্তু একই পরিবারের যমজ ভাই বা বোনের ক্ষেত্রেও হয়।
-পরিবারে হয় কিন্তু এতদূরের একটি গ্রহের টুইনের সাথে কীভাবে সেটা সম্ভব?
-টেলিপ্যাথির মাধ্যমে। টেলিপ্যাথি যোগাযোগ তো দূরে বা কাছের বলে কোনো কথা নেই।
-ঠিক বলেছেন! বাবা একটু উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন। এ রকম ঘটনা আমার ক্ষেত্রেও একবার হয়েছিল। কোনো প্যারালাল ওয়ার্ল্ডে আমার টুইনের অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল। টেলিপ্যাথির মাধ্যমে জানতে পারলাম সে মারা গেছে কিন্তু ফোন নম্বর না জানায় কেউ বাড়িতে খবর দিতে পারছে না। তখন আমি ওনার (টুইনের) স্ত্রীকে খবরটি জানিয়ে ছিলাম। আমার মনে হয়েছিল আমি ওখানেও গিয়েছিলাম।
-হ্যাঁ, এমনটি হওয়াই স্বাভাবিক।
স্বনন এবার বুঝতে পারে তার বাবা মারা যাওয়ার সংবাদটা মায়ের কাছে তাহলে এই টুইন বাবাই দিয়েছিলেন। -কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না প্রায় ১ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্রহ থেকে ও কীভাবে এখানে এলো?
-ও এখানে এসেছে টেলিপোর্টেশন প্রক্রিয়া কিংবা অ্যাস্ট্রাল ট্রাভেলের মাধ্যমে। ও অনেক গ্রহে ভ্রমণ করেছে কাজেই ভ্রমণের ব্যাপারে ও খুব এক্সপার্ট। ও আবার এই ভাবে ফিরে যাবে।
-না, ওকে আমি আর ফিরে যেতে দেবো না। আমার ছেলে হারিয়ে গিয়েছে, আরেকটি ছেলে আমি পেয়েছি। ওকে আমি কিছুতেই ফিরে যেতে দেবো না। বাবা আবেগে স্বননকে বুকে টেনে নেয়।
প্রায় ১০ মিনিট বুকে জড়িয়ে ধরে রাখার পর বাবা লক্ষ্য করেন তার বুকটা কেমন হালকা হালকা লাগছে। ভালো করে তাকিয়ে দেখেন আলিঙ্গনরত স্বনন তার বুকের মাঝে নেই।

Share.

মন্তব্য করুন