রিফাত আল মারুফ একজন কৃতি ছাত্র। জন্ম রাজশাহীতে ২৫ আগস্ট, ২০০৭ সালে। লেখাপড়া করছে সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাজশাহী শাখায়। সে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
পড়াশোনার পাশাপাশি অরিগ্যামি ও সাইক্লিং করতে ভালোবাসে। ইতোমধ্যে অরিগ্যামি করে অর্জন করেছে জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার। মঞ্চ অভিনয়ের প্রতিও রয়েছে প্রবল আগ্রহ। অবাক জলপান এর মত জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছে সে। বাবা শিশু সাহিত্যিক ও ব্যাংকার আব্দুল্লাহ-আল-মামুর। মা আয়েশা খাতুন একজন গৃহিণী। এসো বন্ধুরা, আমরা তার সাথে আলাপ করি।

মারুফ, কেমন আছো?
আলহামদুলিল্লাহ। খুব ভালো আছি।

জেএসসি-তে তো এ-প্লাস পেয়েছো, কেমন লাগছে?
ভালো লাগছে। এটা প্রত্যাশিতও ছিলো।

আচ্ছা, তোমার পিইসি পরীক্ষার ফলাফল কী ছিল?
পিইসিতেও আমার জিপিএ-৫ ছিলো।

তোমার ভালো ফলাফলের কৃতিত্ব কাকে দেবে?
ভালো ফলাফলের জন্য আমার বাবা-মা’র ভূমিকা মুখ্য মনে করি। এছাড়া ক্লাসের শিক্ষকদের মধ্যে বিশেষ করে আমার শ্রেণি শিক্ষক প্রিয় জাহাঙ্গীর স্যারের কথা স্মরণ করতে চাই। তাঁর আমার প্রতি যে দায়িত্ববোধ তা অুলনীয় ছিলো। সর্বোপরি আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া, তিনি আমাকে সুস্থ্য রেখে এই ভালো রেজাল্ট করার তৌফিক দিয়েছেন।

অবসর সময়গুলো কিভাবে কাটাও?
মূলত কাগজের হস্তশিল্প (অরিগ্যামি) তৈরী করি, পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধুলা করি। এছাড়াও গল্পের বই, বিশেষ করে সায়েন্স ফিকশন বই পড়ে আমার অবসর সময় কাটে। কখনো বন্ধুদের সাথে সাইকেল নিয়ে ঘুরতে যাই।

তুমি তো বেশ ভালো অরিগ্যামি করো। তো, অরিগ্যামির জন্য কোনো পুরস্কার পেয়েছ?
হ্যাঁ, পেয়েছি। ফুলকুঁড়ি আয়োজিত লিডারশিপ ক্যাম্প ২০১৯ এ হস্তশিল্প প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জন করে সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছি। এছাড়াও সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল থেকেও পুরস্কার পেয়েছি।

অরিগ্যামি ছাড়া আর কী করতে ভালো লাগে?
অরিগ্যামি ছাড়া সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট করতে ও পিসি গেমস খেলতে পছন্দ করি। তবে সাইকেল নিয়ে বেড়াতেই বেশি ভালো লাগে।

তুমি অভিনয় করেছো। অভিনয়ের প্রতি তোমার আগ্রহ তৈরি হল কখন থেকে, কিভাবে?
বিভিন্ন লেখকের কিশোর নাটক পড়ে এবং টেলিভিশনে দেখে আমার নাটকে অভিনয় করার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদের নাটক।

তুমি কি কি নাটকে অভিনয় করেছো?
আমি অবাক জলপান নাটকে অভিনয় করেছি। আর কৌতুক অভিনয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

তোমার বাবা একজন শিশু-সাহিত্যিক। তার বইগুলো তোমার কেমন লাগে?
আব্বুর লেখা বইগুলো কিশোর উপযোগী এবং আমার খুব পছন্দের। এমনকি বই প্রকাশিত হবার আগেই তার লেখা ছড়া-কবিতা আমি পড়ে ফেলি।

বাহ, দারুণ। তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও?
আমি বড়ো হয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় আত্মনিয়োগ করতে চাই। সর্বোপরি একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে চাই।

তোমার মতো অনেক কিশোর রয়েছে যারা পড়াশোনার সুযোগ পায় না। তুমি সফল ইঞ্জিনিয়ার হলে এই সকল শিশু-কিশোরদের জন্য কী করবে?
আমি সফল ইঞ্জিনিয়ার হলে সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই। সেখানে তাদের বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ থাকবে।

কিশোর বন্ধুদের উদ্দেশ্যে তুমি কী বলতে চাও?
আমি আমার কিশোর বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলবো- এসো বন্ধুরা, আমরা সততার সাথে পরিশ্রম করি, নিজেকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলি এবং মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকি। সবশেষে, আমি সবার কাছে দোয়া চাই।
গ্রন্থনা : শাহাদাৎ সরকার

Share.

মন্তব্য করুন