মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর আমেরিকা মহাদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত একটি দেশ। ইংরেজিতে পুরো নাম ইউনাইটেড্ স্টেইট্স্ অফ্ আমেরিকা। সংক্ষেপে দেশটিকে ইউনাইটেড স্টেটস অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র বা ইউএসএ বা ইউএস বা শধুই আমেরিকা বলা হয়। এর উত্তরে কানাডা এবং দক্ষিণে সংযুক্ত মেক্সিকান রাষ্ট্রসমূহ অবস্থিত। পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর এবং পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত এই দেশ।

হোয়াইট হাউজ : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কাার্যালয়

পঞ্চাশটি রাজ্য, একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলা, পাঁচটি প্রধান স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিচ্ছিন্ন ভূমি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গঠিত। এই দেশটি মূলত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি এবং বৃহত্তম শহর নিউ ইয়র্ক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আয়তন প্রায় ৯৮.৩ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার (৩৭.৯ লক্ষ বর্গ মাইল)। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৩৩ কোটি ২৬ লক্ষ ৩৯ হাজার ১০২ জন। সামগ্রিক আয়তনের হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় অথবা চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র। আবার স্থলভূমির আয়তন ও জনসংখ্যার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বৈচিত্রময় ও বহুজাতিক। বহু দেশ থেকে বিভিন্ন জাতির মানুষের অভিবাসনের ফলে যুক্তরাষ্ট্র আজ একটি বহুসংস্কৃতি সমৃদ্ধ দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃত জাতীয় ভাষা ইংরেজি। এছাড়া স্বীকৃত অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে রয়েছে স্পেনীয়, হাওয়াইয়ান, সামোয়ান, চামেরো, ক্যারোলিনিয়ান ও চেরোকি।

ইউনাইটেড স্টেটস ক্যাপিটল : এখানেই মার্কিন সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের বৈঠক বসে

যুক্তরাষ্ট্রে জাতিগত গ্রুপের মধ্যে রয়েছে শেতাঙ্গ ৭৬.৫ শতাংশ, কৃষ্ণাঙ্গ ১৩.৪ শতংশ, এশিয়ান ৫.৯ শতাংশ, স্থানীয় আমেরিকান ১.৩ শতাংশ, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসী ০.২ শতাংশ। প্রধান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে রয়েছে খৃষ্টান ৭৩ শতাংশ, অধার্মিক ২১.৩ শতাংশ, ইহুদী ২.১ শতাংশ, মুসলিম ০.৮ শতাংশ এবং অন্যান্য ২.৯ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ, বিশ্ব ব্যাংক, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল, আমেরিকান রাষ্ট্র সংস্থা (ওএএস), ন্যাটো এবং অন্যান্য বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ সদরদফতর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিশ্বের বৃহত্তম জাতীয় অর্থনীতি।

এম্পায়ার এস্টেট বিল্ডিং

এদেশের মুদ্রার নাম মার্কিন ডলার। আমেরিকার আদিম অধিবাসীরা সম্ভবত এশীয় বংশোদ্ভুত। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে এরা কয়েক হাজার বছর ধরে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনের পর থেকে মহামারী ও যুদ্ধবিগ্রহের প্রকোপে তাদের সংখ্যা ব্যাপক হ্রাস পায়। প্রাথমিক পর্যায়ে আটলান্টিক মহাসাগর তীরস্থ উত্তর আমেরিকার তেরোটি ব্রিটিশ উপনিবেশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই এই উপনিবেশগুলি একটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে। এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে উপনিবেশগুলি তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ঘোষণা করে এবং একটি সমবায় সংঘের প্রতিষ্ঠা করে।
আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে এই বিদ্রোহী রাজ্যগুলি গ্রেট ব্রিটেনকে পরাস্ত করে। এই যুদ্ধ ছিল ঔপনিবেশিকতার ইতিহাসে প্রথম সফল উপনিবেশিক স্বাধীনতা যুদ্ধ।
১৭৮৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়া কনভেনশনে বর্তমান মার্কিন সংবিধান গৃহীত হয়। পরের বছর এই সংবিধান সাক্ষরিত হলে যুক্তরাষ্ট্র একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার সহ একক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
১৭৯১ সালে সাক্ষরিত এবং দশটি সংবিধান সংশোধনী সম্বলিত বিল অফ রাইটস একাধিক মৌলিক নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করে।

ডেনালি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ

ঊনবিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাজ্য, মেক্সিকো ও রাশিয়ার কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে এবং টেক্সাস প্রজাতন্ত্র ও হাওয়াই প্রজাতন্ত্র অধিকার করে নেয়। ১৮৬০-এর দশকে রাজ্যসমূহের অধিকার ও দাসপ্রথার বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামীণ দক্ষিণাঞ্চল ও শিল্পোন্নত উত্তরাঞ্চলের মধ্যকার বিবাদ এক গৃহযুদ্ধের জন্ম দেয়। উত্তরাঞ্চলের বিজয়ের ফলে দেশের চিরস্থায়ী বিভাজন রোধ করা সম্ভব হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথা আইনত রদ করা হয়।

জাতিসংঘ সদর দফতর

১৮৭০-এর দশকেই মার্কিন অর্থনীতি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির শিরোপা পায়। স্পেন-মার্কিন যুদ্ধ এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সামরিক শক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই দেশ প্রথম পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে। ঠাণ্ডা যুদ্ধের শেষভাগে এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একমাত্র মহাশক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের দুই-পঞ্চমাংশ খরচ করে এই দেশ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শক্তিধর রাষ্ট্র।

১৯৬৯ সালে চাঁদে বাজ অলড্রিন

যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূমি এবং আলাস্কায় বর্তমানে যে আদিবাসীরা বাস করে তারা এশিয়া থেকে অভিবাসী হয়ে এ অঞ্চলে এসেছিল। তারা আজ থেকে প্রায় ৪০,০০০ বছর আগে থেকে আসা শুরু করেছিল বলে ধারণা করা হয়। কমপক্ষে ১২,০০০ বছর আগে তাদের আসার ব্যাপারটি প্রায় নিশ্চিত। প্রাক-কলাম্বীয় যুগের অনেক আদিবাসী সম্প্রদায়ই অগ্রসর কৃষি, স্থাপত্য এবং রাজ্য-সদৃশ সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। ইউরোপীয় অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস ১৪৯৩ সালের ১৯ নভেম্বর আমেরিকা অঞ্চলের পুয়ের্তো রিকোতে এসেছিলেন। এর মাধ্যমে আদিবাসী আমেরিকানদের সাথে ইউরোপীয়দের প্রথম পরিচয় হয়। এর পর অধিকাংশ আমেরিকান আদিবাসী ইউরেশিয়া অঞ্চলের মহামারী রোগে মারা যায়।
সে সময় আমেরিকায় ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনাকারীদের বাসস্থান ছিল মূলত ফ্লোরিডায়। সেই উপনিবেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে কেবল ১৫৬৫ সালে স্থাপিত সেন্ট অগাস্টিই উপনিবেশটিই টিকে আছে। এছাড়া ফরাসি পশুর লোম ব্যবসায়ীরা গ্রেট লেক্সের নিকটে নিউ ফ্রান্স নামক একটি বাসস্থান গড়ে তুলেছিল। এর পরে স্পেনীয়রা বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বিস্তৃত উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করে। এই অঞ্চল বর্তমান মেক্সিকোর অন্তর্গত। প্রথম সফল ইংরেজ উপনিবেশ ছিল ১৬০৭ সালে জেম্সটাউনে প্রতিষ্ঠিত ভার্জিনিয়া উপনিবেশ এবং ১৬২০ সালে প্রতিষ্ঠিত প্লিমাউথ উপনিবেশ। ১৬২৮ সালে ম্যাসাচুসেট্স বে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি অর্থায়নের পর ইংরেজদের মধ্যে অভিবাসনের জোয়ার বয়ে যায়। ১৬৩৪ সালের মধ্যে নিউ ইংল্যান্ডে প্রায় ১০,০০০ পিউরিটান বাসস্থান গড়ে তোলে। ১৬১০-এর দশকের শেষ দিকে ব্রিটিশ সেদেশের বিপ্লবীদের মধ্যে ৫০,০০০ জনকে আমেরিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশসমূহে স্থানান্তর করে। ১৬১৪ সাল থেকে নেদারল্যান্ডের উপনিবেশিকরা হাডসন নদীর নিম্নভূমি জুড়ে এবং ম্যানহাটন দ্বীপ ও নিউ আমস্টারডামে বসতি গড়ে তুলেছিল। ১৬৩৮ সালে সুইডিশরা ডেলওয়্যার নদীর পাশ জুড়ে ছোট একটি উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল যার নাম ছিল নিউ সুইডেন। কিন্তু ১৬৫৫ সালে ডাচরা তা অধিকার করে নেয়।

টেকো ঈগল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পাখি

ফরাসি এবং ভারতীয় যুদ্ধের মাধ্যমে প্রায় ৭ বছর ধরে ঔপনিবেশিক সম্প্রসারণ চলতে থাকে। ব্রিটেন ফ্রান্সের কাছ থেকে কানাডা দখল করে নেয়। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলীয় উপনিবেশসমূহ থেকে ফ্রাঙ্কোফোনের জনগণ রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন ছিল। ১৬৭৪ সালে ইঙ্গ-ডেনীয় যুদ্ধে ডাচদেরকে পরাজিত করে ব্রিটেন প্রাক্তন ডাচ উপনিবেশসমূহ দখল করে নেয়। এর পর প্রাক্তন নিউ নেদারল্যান্ডের নাম রাখা হয় নিউ ইয়র্ক।
১৭২৯ সালে ক্যারোলিনাসমূহের বিভাজন এবং ১৭৩২ সালে জর্জিয়ার উপনিবেশিকীকরণের পর ১৩টি পৃথক পৃথক ব্রিটিশ উপনিবেশ সৃষ্টি হয়। এই ১৩টি উপনিবেশ মিলেই পরবর্তীকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করেছিল। সবগুলো রাজ্যেই আফ্রিকান দাসদের নিয়ে বাণিজ্য করা বৈধতা পেয়েছিল। উচ্চ জন্ম হার, নিম্ন মৃত্যু হার এবং চিরস্থায়ী অভিবাসনের কারণে উপনিবেশগুলোর জনসংখ্যা প্রতি ২৫ বছরে দ্বিগুণ হয়ে যেতে থাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল বা যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান। প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল আর পেন্স। আইনসভা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট। নিম্নকক্ষের নাম হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ্স (প্রতিনিধি পরিষদ) এবং এর সদস্যসংখ্যা ৪৩৫। উচ্চকক্ষের নাম সিনেট এবং এর সদস্য সংখ্যা ১০০।

যুক্তরাষ্ট্রের ধন্যবাদ জ্ঞাপন দিবসে
ঐতিহ্যবাহী খাবার টার্কির রোস্ট

আয়তনের ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর তৃতীয় অথবা চতুর্থ বৃহৎ জাতি। এর আগে বা পরে চীনের অবস্থান। কিন্তু একটি অঞ্চল নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে মতবিরোধ থাকায় এই বিষয়ের সুরাহা করা সম্ভব হয়নি। কেবল স্থলভাগের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর তৃতীয় বৃহৎ যার আগে কেবল রাশিয়া ও চীন আর পরে রয়েছে কানাডা।
মহাদেশীয় যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা অতি বিস্তৃত, আটলান্টিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত, উত্তরে কানাডা থেকে দক্ষিণে মেক্সিকো ও মেক্সিকো উপসাগর পর্যন্ত এর সীমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। আয়তনের ভিত্তিতে এর বৃহত্তম অঙ্গরাজ্য হচ্ছে আলাস্কা। কানাডার মাধ্যমে পৃথকীকৃত এই রাজ্যটি প্রশান্ত ও আর্কটিক মহাসাগরকে স্পর্শ করেছে। উত্তর আমেরিকার দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে অবস্থিত হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ এই দেশেরই অন্তর্ভুক্ত। দেশটির বৃহত্তম এবং সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল পুয়ের্তো রিকো ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত।

নব নির্মিত বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলে পাওয়া যায় সবুজ ভূমি ও কৃষি ফসল আবাদের উর্বর অঞ্চল, পাথুরে পাহাড়, তৃণাচ্ছাদিত সামান্য ঢেউ খেলানো বিস্তীর্ণ ভূমি, উনডই বায়ুর সাথে সামঞ্জস্যশীল বনভূমি দ্বারা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হচ্ছে পশ্চিমাঞ্চল, আর দক্ষিণ-পশ্চিমে কেবল বিরান মরুভূমি। উত্তর-পশ্চিমে আটলান্টিকের কোল ঘেঁষে অবস্থিত বৃহৎ হ্রদ এলাকায়ই দেশটির অধিকাংশ মানুষের বসতি। গুয়াম অঞ্চল এবং আলাস্কার সবচেয়ে পশ্চিম প্রান্তের কিছু অঞ্চল ছাড়া পুরো দেশটাই উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত।
পরিমাপ পদ্ধতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ একক ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। তারা ব্রিটিশদের পরিমাপ একক মাইল, গজ, ফারেনহাইট ইত্যাদি ব্যবহার করে না। এর পরিবর্তে ইউএস গ্যালন এবং ইউএস পাইন্ট পরিমাণের একক হিসেবে ব্যবহার করে। এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর তিনটি দেশের মধ্যে একটি, যারা আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি ব্যবহার করে না। তবে দেশটি বর্তমানে বিজ্ঞান, চিকিৎসা এবং অনেক শিল্পখাতে মেট্রিক পদ্ধতির একক ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করছে।

Share.

মন্তব্য করুন