একটি সুনসান সুখের সংসারে হঠাৎ যেন সাত সাতটি বাজ পড়ল। কারোর মুখে হাসি নেই। শেখ মুজিবকে মিলিটারিরা ধরে নিয়ে গেছে। কোথায় নিয়ে গেছে কেউ কিছু বলতে পারে না। রাস্তায় রাস্তায় বন্দুক উঁচু করে মিলিটারিরা চক্কর দিচ্ছে। মিলিটারিদের ‘হাম হাম’ ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। চট্টগ্রাম কাঁচারাস্তার মোড়ের সংঘর্ষের খবরটা বিবিসি প্রচার করে দিয়েছে। হতাহতের সংখ্যাও জানিয়েছে তারা। এই সংঘর্ষে ইপিআর জোয়ানসহ মারা গেছে অসংখ্যা পাকিস্তানি মিলিটারি।

আতংক ঢুকেছে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে। আতংক ছড়িয়ে গেছে সাততলায় আর একতলায়ও। নিউটন মামা রেডিও’র নব ঘুরাচ্ছে। পৌনে আটটা বেজে আরো দুই মিনিট পার হয়ে গেছে। গতকাল যে জায়গায় বিবিসি ধরেছিল আজ কেন ধরতে পারছে তা মামার মাথায় এল না।
অপু নিউটন মামার কাছে এসে বলল, বিবিসি কি আজ লুকিয়ে গেছে ?
নিউটন মামা অপুর কথার জবাব না দিয়ে নব ঘুরাতেই থাকল।
হাতটাকে আরো নরম করো। বুড়ো মানুষের হাতগুলো সাধারণত একটু শক্তই হয়।
এ কথায়ও নিউটন মামা অপুর দিকে এক চোখ তাকাল।
মামা নবের ওপর মনোযোগটা আরো বাড়িয়ে দিল।
অপু মামার আরো একটু কাছাকাছি হয়ে বলল, আমাকে দাও, কাজ ফিনিশ করে দেবো।
নিউটন মামা নিজের মাথায় রাগের হাঁড়ি ভেঙে বলল, ধর, না পারলে খবর আছে।
নবটা ছোঁয়ামাত্রই একটা পরিচিত গলা। মার্ক টালির গলা। এক সাহসী বীর পুরুষ মার্ক টালি।
নিউটন মামার চোখেমুখে হাসি ফুটে উঠল। অন্য সময় হলে মামা অপুকে জড়িয়ে ধরত। মামা দু’কান খাড়া করে খবর শ্রবণ করতে থাকল।
অপুর আম্মু নীলুফার জামান নিউটন মামার পাশে এসে দেয়ালে ঠেসান দিয়ে দাঁড়ালেন। খবরের পরে দেশের বিষয়-আশয় তিনি মামাকে জিজ্ঞেস করেন। কোথায় কোথায় মিছিল-আন্দোলন হচ্ছে তারও খবরাখবর নেন। আজ চুপচাপ একইভাবে দেওয়ালে ঠেসান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন।
নিউটন মামা নীলুফার জামানের মুখে নরম দৃষ্টি ফেলে বলল, কিছু বলবে আপা ?
তোর দুলাভাইয়ের জন্য টেনশন বাড়ছে।
দুলাভাইয়ের কী হয়েছে?
সবসময় চুপচাপ থাকছে, কম কথা বলছে।
এখন তো কম কথা বলার সময়।
পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে বলতে পারিস?
সিরিয়াসের দিকে।
সিরিয়াসের দিকে মানে ?
সিরিয়াস তো বাংলা শব্দের মতো, না বোঝার কোন কারণ নেই।
তুই কি আমার সাথে ইয়ার্কি করিস?
তোমরা বাড়ি চলে যাও। ওখানে মিলিটারি পৌঁছাতে সময় লাগবে।
তোর দুলাভাইকে বলেছিলাম। রাজি হচ্ছে না।
আমি বলে দেখব।
আচ্ছা দেখিস।
গুল্লুটা এসে মামার পায়ের আশপাশে ঘুরঘুর করতে থাকে। নিউটন মামা যেদিন খলবলে থাকে, গুল্লু সেদিন চারদিকে তোলপাড় করে।
নিউটন মামা গুল্লুকে কোলে তুলে বলল, কিছু কি খেয়েছিস ?
মিউ।
যুদ্ধে যাবি?
মিউ।
দেশের বাড়িতে যাবি?
মিউ মিউ।
এখানেই থাকবি?
মিউ।
নিউটন মামার সাথে গুল্লুর কথোপকথন ঝিম মেরে শুনে গেল অপু। মামার চেহারাটা এখনো বিষাদে ছেয়ে আছে। বিষাদের ছায়াটা ধীরে ধীরে অরো ঘন হতে থাকল।
গুল্লুর কথা কি তুমি বোঝ মামা?
হ্যাঁ, বুঝি।
কীভাবে বোঝ?
মাথার মগজ দিয়ে।
আমারও তো মগজ আছে, আমি বুঝি না কেন মামা?
তুই ওকে আরো ভালোবাসতে শিখ, তারপর বুঝবি।
নীলুফার জামান হায় হায় চেহারা নিয়ে নিউটন মামার কামরায় ঢুকলেন। ভয় আতংক তাঁর গোটা শরীরে ভর করেছে। তিনি গলাটা নামিয়ে ফিসফিস করে বললেন, আফাজ সাহেবের বড় ছেলেকে মিলিটারিরা কাল রাতে ধরে নিয়ে গেছে। তোর জন্য আমার অনেক ভয় লাগছে। তোকে যদি…।
কিছুই হবে না আপা। সাড়ে সাত কোটি মানুষকে জেলে দেওয়ার মতো ক্ষমতা ওদের নেই।
ওরা তো সবাইকে ধরবে না। দেখে দেখে ধরবে, বেছে বেছে ধরবে। তুই কি গ্রামের বাড়ি চলে যাবি?
না।
এখানে থাকাটাও নিরাপদ না। ভয়ংকর এক পরিস্থিতির আলামত পাচ্ছি।
তুমি চাও না দেশ স্বাধীন হোক?
সেটা তো সবাই চায়, আমিও চাই।
তাহলে ভয়ংকর, ভয়াবহ এসব বিষয়গুলোকে স্বাভাবিক মনে করো। এখন যতই টেনশনমুক্ত থাকা যায়, ততই লাভ।
গুল্লু দুই দুইবার মিউ মিউ করে উঠল।
অপু বলল, মামা গুল্লু দুইবার মিউ মিউ করল। এর মানেটা কী?
গুল্লু আমার কথা সমর্থন করেছে। বলেছে ‘ঠিক ঠিক।’
‘মিউ মিউ’ শব্দের অর্থ কি ‘ঠিক ঠিক?’
সব মিউ শব্দের অর্থ এক না। মিউ শব্দের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ আছে।
ও আচ্ছা।
পরের দিন অপুর মেজো মামা এলেন। মেজো মামা বিদেশি একটি কোম্পানির বড় কর্মকর্তা। ঘন ঘন দেশের বাইরে ট্যুর দেন। মাসে বিশাল অংকের বেতন পান। মেজো মামা দুই হাতে টাকা পয়সাও খরচ করেন।
মেজো মামা সবাইকে এক জায়গায় করলেন। দেশের পরিস্থিতির কথা বোঝালেন। আগামির দিনগুলোর একটা ছোটখাটো বর্ণনা দিলেন।
মেজো মামা বললেন, তোমরা বাড়ি চলে যাও। নদীর কারণে ওদিককার জায়গাটা কিছুটা নিরাপদ।
মিলিটারিরা পানিকে বড়ই ভয় পায়। তোমাদের সাথে নিটুও যাবে।
নিউটন মামা বলল, আমি যাব না ভাইয়া। আমাকে নিয়ে তোমরা টেনশন করো না।
তোকে নিয়েই তো যত টেনশন। ওদের টার্গেট তরুণ-যুবক।
ওরা যাবে যাক, আমাকে ভাবতে দাও।
অপু বলল, গুল্লুও কি আমাদের সাথে যাবে মামা?
মেজো মামা বলল, গুল্লুটা কে?
ছোট মামার বিড়াল। ওর নাম গুল্লু।
মেজো মামা বললেন, গুল্লুকে নিয়ে চিন্তার এখন সময় নেই। বিড়াল-কুকুরের বাঁচার জায়গা আছে, মানুষের জায়গা নেই।
মেজো মামার কথায় সবাই চুপ হয়ে গেল। বাড়ি যাওয়ার একটা প্রস্তুতি নীলুফার জামানের মনের ভিতর গেঁথে গেল। নিউটন মামা ভোরের আজানের সাথে জেগে গেল। ওজু করল। পর পর চার রাকাত নামাজ পড়ল। মামা আজই প্রথম সকালের নামাজটা পড়ল।
নিউটন মামাকে আজ অন্যরকম মনে হতে শুরু করল। নিউটন মামা একটা ব্যাগে কিছু কাপড় ঢুকাল। লুংগি, প্যান্ট, শার্ট আরো কতো কী। ব্যাগে চেইন টেনে একটা ছোট তালা লাগাল। খাটে চোখ ছোট করে এসব দেখে যাচ্ছিল অপু।
দুই মিনিট পর অপু লাফ দিয়ে নিচে নেমে এল।
মামার বাম হাত ছুঁয়ে বলল, কোথায় যাচ্ছ মামা?
ইন্ডিয়ায়।
ইন্ডিয়ায় যাচ্ছ কেন?
ট্রেনিং নিতে।
কিসের ট্রেনিং?
অস্ত্রের।
তোমার সাথে আমিও যাব।
তুই এখনো ছোট, বড় হলে যাস।
যুদ্ধ কি এতোদিন থাকবে?
থাকতে পারে। স্বাধীনতার যুদ্ধ অনেক লম্বা হয়।
গুল্লুও কি তোমার সাথে যাবে?
না। গুল্লুকে দেখেটেখে রাখবি। ও মাছের কাঁটা অনেক পছন্দ করে। দুধ পছন্দ করে। ওগুলো খাওয়াবি।
পারবি তো?
পারব।
তোর মাকে বলে গেলাম না। খামোকা কান্নাকাটি করবে। এখন কান্নাকাটি করার সময় না। এখন শক্ত হওয়ার সময়।
নিউটন মামা রাস্তায় নেমে পড়লে গুল্লুও বিষাদমুখে ওদিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকল।
নানুর বাড়িটা প্রথম প্রথম খারাপ লাগলেও ধীরে ধীরে ভালো লাগতে শুরু করে অপুর। নানুর অঢেল জমিজমা। তিনটে বিরাট বিরাট পুকুর। পুকুরে সারাদিন মাছের দৌড়াদৌড়ি। অপুর একজন বড় মামা আছে। বড় মামা দিনরাত সবকিছুর সামাল দেয়। কামলা দেখাশোনা করে। এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে। মহিলা-পুরুষে গমগম করছে পুরো বাড়ি। ধান ভানছে আর গোলায় ভরছে। এতো বড় বড় গোলা অপু আর কখনো দেখেনি।
নানুর শরীর স্বাস্থ্য এখনো প্রায় মজবুত। নানুর বয়স নিশ্চয় সত্তরের কম হবে না। এই বয়সেও নানু লাঠি নেন না। হাত নেড়ে নেড়ে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ান।
নানু খোশ মেজাজে ইজিচেয়ারে বসে আছেন। অপুরা আসার পর থেকে তাঁর চেহারায় নেমেছে পূর্ণিমার জোছনা। এই জোছনায় আরো খলবলে হয়ে উঠছেন নানু।
নানু।
বলো।
তোমার গাছের একটি পেয়ারা খেলাম। পেয়ারাটার ভিতরে পুরোটাই লাল। আজব না?
দুনিয়ার যা কিছু সৃষ্টি সবটাই আজব ভাই।
তুমি কি মিলিটারি দেখেছ নানু?
হ্যাঁ, দেখেছি।
এদিকে কি মিলিটারি আসে?
না, এখনো আসেনি।
সবাই মুক্তিযুদ্ধে যাচ্ছে, তুমি যাচ্ছ না কেন?
আমার তো অনেক বয়স। এই বয়সটা দোয়া করার বয়স। নামাজ পড়ে দোয়া করছি।
আমি বড় হলে মুক্তিযুদ্ধে যাব। নিউটন মামার মতো।
ঠিক আছে, যেও।
বড় মামা মুক্তিযুদ্ধে যায়নি। বড় মামার কি বয়স কম?
ছোটকাল থেকেই ও একটু ভীতু টাইপের। ভীতুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ আসেনি। বীর পুরুষরাই মুক্তিযুদ্ধ করে। তোমার নিউটন মামার মতো। তোমার নিউটন মামাও একজন বীর পুরুষ।
বড় মামা কোত্থেকে একগাদা মাছ নিয়ে হাজির।
মাছগুলো লেজে ভর দিয়ে উপরে উঠতে চাইছে, কিন্তু পারছে না।
নানু বললেন, কোন পুকুরের মাছ?
শাপলা পুকুর।
অপুর মাকে দেখা। ও দেখলে খুশি হবে।
জি বাবা।
বড় মামা চলে গেলে নানু বললেন, শহরে এমন মাছ পাওয়া মুশকিল। আমরা ভালোটা বুঝি না, মন্দটা নিয়ে টানাটানি করি। তোমার এখানে কেমন লাগছে?
ভালো লাগছে না।
ভালো লাগছে না কেন?
গুল্লুর জন্য।
গুল্লু তোমার বন্ধু? তোমার সাথে পড়ে?
গুল্লুতো বিড়াল নানু, নিউটন মামার বিড়াল। আমাকে দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছিল। আমি পারিনি।
নিয়ে আসোনি কেন? এখানে কি মাছের অভাব? দুধের অভাব?
আমরা যেদিন আসবো সেদিন সকাল থেকেই হাওয়া, মেজো মামা তাড়াহুড়োও করছিল বেশ।
জোহরের আজান শুরু হলো। নানু ইজিচেয়ার থেকে উঠে পড়লেন।
নানু বললেন, তুমি ভিতরে যাও। আমি ওদের জন্য দোয়া করে আসি।
আচ্ছা।
নানু দু’হাত নেড়ে নেড়ে মসজিদের দিকে হাঁটতে থাকলেন।
তিন মাস পরে একটি চিঠি এল অপুর নানুর কাছে।
চিঠি লিখেছে নিউটন মামা। নিউটন মামা দেশে আছে। কোন জায়গায় আছে ওটা উল্লেখ করেনি। চিঠিটা নানু বুকে চেপে ধরল কিছুক্ষণ। সারা বাড়িতে খুশির বন্যা নেমে গেল। একদিন পরই নানু তিন পুকুর থেকে আট-দশ মণ মাছ তুলল। আশপাশে দুই তিনটে করে বিলিয়ে দিল। এই খুশির কারণ নানু আশপাশের কাউকে জানতে দিল না।
অপুর নানুর কানের কাছে এসে বলল, আমার কথা কিছু লিখেছে?
দুই লাইনের চিঠিতে তোমার কথা লেখার জায়গা কোথায়?
গুল্লুর কথা কিছু লিখেনি?
গুল্লু আবার কে?
সেদিন বলেছিলাম না, গুল্লু হলো মামার প্রিয় বিড়াল।
ও আচ্ছা আচ্ছা, ভুলে গিয়েছিলাম।
তুমি আসলেই বুড়ো হয়ে গেছ নানু, কিছু মনে থাকে না।
নিজের দোষটা অন্যের ওপর চাপাচ্ছ কেন? তোমার সবকিছু মনে থাকলে তো ইশকুলে রোল নম্বর একই থাকত। দুই হতো না।
আমার রোল নম্বরের হিসাবও রাখো নানু? ইশকুলটা খুলুক, আবার একের লড়াইয়ে নেমে যাবো।
দেখব।
দেখিও।
অপু তিন লাফে বড় পেয়ারা গাছটার কাছে চলে গেল। ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ যুদ্ধের চিত্র পালটে যেতে থাকল। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে থেকে আনন্দের সংবাদ সবার কানে আসতে থাকল। গ্রামগঞ্জ থেকে পাকিস্তানি মিলিটারিরা শহরের ক্যাম্পের দিকে পালাতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও মিলিটারিদের নাস্তানাবুদের খবরও বিদেশি প্রচার মাধ্যমগুলো জোর প্রচার করতে থাকল।
নানু বিবিসির খবরটা শুনলেন। রাত দশটায় ভয়েজ আমেরিকাও শুনলেন। দুটো মাধ্যমই একই কথা বলল। পাকিস্তানিরা পরাজয় মেনে নিয়েছে। তারা আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই খবরে গোটা দেশ উল্লাসে ফেটে পড়ল।
নানু ইজিচেয়ারটা উঠোনের মাঝখানে এনে রাখলেন। তিনি বারে বারে এদিক-ওদিক পায়চারি করছেন। একবার রাস্তার মোড়ে যাচ্ছেন, আবার চুপচাপ ফিরে আসছেন।
১৬ ডিসেম্বর আনন্দে উত্তাল হলো দেশ। দর্জিদের রাতের ঘুমও হারাম হয়ে গেল। চোখে সর্ষের তেল লাগিয়ে তাদের পতাকা সেলাইয়ের কাজ চলতে থাকল।
১৭ ডিসেম্বর। দুপুর বেলা। আকাশে মেঘ আর রোদের খেলা। নানু ইজিচেয়ারে বসে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছেন। একটা বড় জটলা বেঁধে কিছু লোকজন আসছে। নানুর চোখ ওদিকে স্থির হয়ে গেল।
সাত-আটজন তরুণ-যুবকের হাতে অস্ত্র। সামনের জনও তরুণ। দাড়ি-মোচে একাকার। তার হাতে একটি বিড়াল। বিড়ালটি মিউ মিউ করে উঠল। দাড়ি-মোচঅলা তরুণটি নানুকে কদমবুচি করল।
একে একে সবাই কদমবুচি করল।
নানুর দু’চোখ বেয়ে পানি নামতেই থাকল। একজন মানুষের চোখে যে এতো পানি থাকে নানুর আগে জানা ছিল না।
অপুর কোথাও থেকে সাঁ করে এসে পড়ল।
নিউটন মামা এখনো গুল্লুকে কোলে চেপে রেখেছে।
অপুকে দেখে গুল্লুকে ছেড়ে দিল নিউটন মামা। গুল্লু অপুর দু’পায়ে মিউ মিউ করতে থাকল।
অপু বলল, গুল্লু কী বলছে মামা?
মিউ মিউ কয় বার বলেছে?
চার বার।
গুল্লু অপু অপু বলে চার বার ডেকে উঠেছে। নিউটন মামার কথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে উঠল।

Share.

মন্তব্য করুন