যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগ্যান অঙ্গরাজ্যে আছে অনেকগুলো পাহাড়। তাদের মধ্যে ওয়ালোওয়া পাহাড়টি সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। তার ঢালে আছে সবুজ বনানী ও পাথুরে চূড়াটি ঢাকা সাদা তুষারে। ওয়ালোওয়া পাহাড়ের ওপর ভেসে বেড়ায় দীর্ঘ ডানার বিশাল সব ঈগল পাখি। এজন্য পাহাড়টির তুষার ছাওয়া চূড়ার নাম ‘ঈগল ক্যাপ’। উপত্যকায় আছে একটি এক্সকারশন ট্রেন। এ ট্রেনটিরও নাম রাখা হয়েছে ‘ঈগল ক্যাপ ট্রেন’। এদিকে কোন জনবসতি নেই। নেই গ্রাম বা শহর। সুতরাং ট্রেনে চড়ে কোন প্যাসেনজার কোন গন্তব্যে যায় না। এক্সকারশন হচ্ছে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ানো। এদিকে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে প্রচুর টিলা-টক্কর, শিলা পাথরের দেয়াল, গিরিখাত, নদী ও সরোবর। পাহাড়গুলোতে আছে হাজার হাজার পাইন ও স্প্রুস গাছ। তার ছায়ায় চরে বেড়ায় শিংগাল হরিণ, বুনো বাইসন, ভালুক ও হিংস্র জাগুয়ার। নদীতে মাছের সাথে পাল্লা দিয়ে ভাসে নানা প্রকারের বেলে হাঁস। এলাকাটি পাহাড়ি বলে মোটর গাড়ি চালিয়ে ঘুরে বেড়ানো মুশকিল। এখানে ভ্রমণ করতে হলে উপায় দুটি। ঘোড়ায় চড়ে নদীর তীরে তীরে পাহাড়ের ঢালে টগবগিয়ে চলাফেরা করা। অন্য উপায় হচ্ছে, এক্সকারশন ট্রেনে চড়া। এক্সকারশন ট্রেনে মূলত পর্যটকরা মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায়।
জাসুয়া, জারমিলা ও আমি আজ এক্সকারশন ট্রেনে মিসেস এডউইনার সাথে ঘুরতে যাচ্ছি। জাসুয়া হচ্ছে বারো বছরের একটি ছেলে। তার সাথে আছে তার ক্লাসমেট মেয়েটি। তার নাম জারমিলা, বয়সে একটু বড়। তার তেরো হতে চললো। দুজনেই ওরিগ্যান অঙ্গরাজ্যের বেকার সিটির একটি স্কুলে সেভেনথ্ গ্রেডে পড়ছে। জাসুয়ার চুলের রঙ লাল, তাপ নিটেনল করে বাঁধা। সে গান শুনতে ভালোবাসে। সারাদিন কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনে সে সময় কাটায়। সে জাতিতে আমেরিকান, তবে তার ক্লাসমেট জারমিলা চেক রিপাবলিক এর মেয়ে। সে স্টুডেন্ট একচেঞ্জ প্রগামে বৃত্তি পেয়ে দু বছরের জন্য আমেরিকায় এসেছে। তার চুলের রঙ সোনালি, চোখ দুটি মেঘহীন আকাশের মতোই নীলাভ। জারমিলা ইংরেজী বলতে পারে, তবে তা উচ্চারণ করতে তার কষ্ট হয়। সে হার্সির চকোলেট বার খেতে খুব পছন্দ করে।
আমাদের সাথে চলেছেন মিসেস এডউইনা। তাঁর পায়ে সমস্যা থাকায় ডাক্তাররা তা অপারেশনে কেটে বাদ দিয়েছেন। তিনি হুইল চেয়ারে করে চলাফেরা করেন। এক সময় তিনি জাসুয়া ও জারমিলার স্কুলে লাইব্রেরিয়ানের কাজ করতেন। পা হারানোর পর তিনি কাজ থেকে অবসর নিয়েছেন। তাঁর সংসারে আর কেউ নেই। জাসুয়া ও জারমিলা মাঝে মাঝে তাঁর বাসায় গিয়ে গল্পগাছা করে তাঁকে সঙ্গ দেয়। তিনিও তাদের খুব ভালোবাসেন। মিসেস এডউইনা আমাদের জন্য এক্সকারশন ট্রেনের টিকিট কাটতে গেছেন। ট্রেনের স্টেশনটিতে দেখার মতো কোন জাঁকজমক নেই। সাদামাটা একটি টালির চারচালা ঘর। জায়গাটির নাম ‘এলগিন ট্রেনডিপো’। তবে চারদিকে পাইন গাছের ঘন জংগল আছে। তাই বাতাসে ভেসে আসছে পাইন সুঁচালো পাতার সুন্দর গন্ধ। দাঁড়িয়ে থাকতে খুব ভালো লাগে। রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে আছে পাঁচ বগির ছোট্ট একটি ট্রেন। ১৮৮৪ সালে এ রেলসড়কটি তৈরী করা হয়। সে আমলে যারা বন্যপ্রাণী শিকার করতে আসতো, অথবা গভীর বনের ভেতর খনিতে কাজ করতো, তাদেও জন্য এ রেলপথ তৈরী করা হয়। অনেক বছর পর বন্যপ্রাণী শিকার করা নিষিদ্ধ করা হয়। খনিজ পদার্থ তুলে ফেলার পর খনিগুলো পরিত্যক্ত হয়। তারপর এদিকে মানুষের আসা-যাওয়া এত কম ছিলো যে-রেললাইন বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে এ এলাকাটি প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য খুব সুন্দর। শিকার নিষিদ্ধ করে দেয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রচুর বন্যপ্রাণী। অনেক পর্যটক এদিকে আসতে চায়। তো তাদের কথা চিন্তা করে এ রেললাইনটি আবার খুলে দেয়া হয়েছে। শুধু পর্যটকদের জন্য চালু করা হয়েছে এই এক্সকারশন ট্রেন।
মিসেস এডউইনা স্টেশনের ছাউনি থেকে আমাদের জন্য টিকিট কিনে নিয়ে আসেন। তাঁর হুইল চেয়ারে এক্সকারশন ট্রেনের ছবিওয়ালা একটি স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। তাঁর বয়স মাসখানেক আগে পঁয়ষট্টিতে পড়েছে। আমেরিকাতে যাদের বয়স পঁয়ষট্টি হয়েছে, তাঁদের বলা হয় ‘সিনিওর সিটিজেন’। সিনিওর সিটিজেন হিসাবে মিসেস এডউইনাকে টিকিটে ছাড় দেয়া হয়েছে। আসল দামের চেয়ে খানিকটা কম দামে টিকিট কিনতে পেরেছেন বলে তিনি খুশি। জাসুয়া আর জারমিলা দুজনে সেভেনথ্ গ্রেডে পড়ছে। তাদের বয়স ষোল বছরের নিচে, তাই তাদের দুজনের টিকেটের দাম পড়েছে আসল দামের অর্ধেক। স্টেশন মাস্টার শুধু আমার টিকেটের পুরো দাম নিয়েছেন। কারণ আমার বয়স পঁয়ষট্টি বছরের চেয়ে কম। সুতরাং এখনো সিনিওর সিটিজেন হইনি। আর এদিকে ষোল বছরের অনেক বেশী বলে আমার জন্য টিকিটের পুরো দাম দিতে হয়েছে। টিকেটের দামে ছাড় পেলে আমি খুশি হতাম। কিন্তু কি আর করা যাবে। মানুষের বয়স হচ্ছে এমন এক জিনিস যা কমানোও যায় না বাড়ানোও যায় না।
ট্রেনের কন্ডাকটার লাল ও সবুজ দুখানা নিশান হাতে শক্ত করে ধরে আমাদের ট্রেনে উঠতে ইশারা দেন। অন্য পর্যটকরা বগিতে উঠে বসে আছে। এদিকে ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে আসলো। জাসুয়া ও জারমিলা ব্যাকপ্যাক পিঠে নিয়ে ট্রেনের কামরার সিঁড়ির দিকে আগায়। মিসেস এডউইনা আমাদের জন্য আজ এতো করেছেন। ট্রেনের টিকিট পর্যন্ত নিজের টাকা দিয়ে কেটেছেন। বেচারি হুইল চেয়ারে বসে আছেন। কিন্তু তাঁর শরীরের ওজন অনেক বেশী। দুশ্চিন্তার মাঝে পড়ি। মহিলাকে হুইল চেয়ারসুদ্ধ কীভাবে ট্রেনে তুলি? ট্রেনের কন্ডাকটার এসে বলেন, ‘তুমি চট-জলদি ওঠে পড়ো ট্রেনে। আমরা মিসেস এডউইনাকে হেল্পকরছি।’ রেলের বগিতে উঠতে গিয়ে দেখি, অন্য বগি থেকে সয়ংক্রিয়ভাবে নেমে আসছে লোহার র‌্যাম্প। মিসেস এডউইনা তার উপর দিয়ে দিব্যি হুইল চেয়ার ড্রাইভ করে উঠে পড়ছেন ট্রেনের বগিতে। আমরা সকলে মুখোমুখি সিটে একটু আরাম করে বসতে না বসতেই ‘কু উ উ উ’ আওয়াজ করে ট্রেন ছাড়ে। যেতে যেতে সত্যি সত্যি ধ্বনিত হতে থাকে- ‘ঝিকঝিক-তা-ঝিকঝিক’।
মিসেস এডউইনাকে ক্লান্ত দেখায়। তিনি সিটে বসে উসখুস করে বলেন, ‘ফিলিং ভেরী থারস্টি।’ বেচারি কোকাকোলা খেতে খুব পছন্দ করেন। আজ সকাল থেকে এক বোতলও কোক তিনি পান করেননি। তাঁর তো তৃষ্ণা লাগারই কথা। আমি উঠে কামরায় হেঁটে হেঁটে পানির খোঁজ করি। দেখা হয় একটি মেয়ের সাথে। তার বয়স হবে চৌদ্দ বা পনেরো। সে মাথায় পাখির লাল পালক দিয়ে তৈরী একটি টায়রা পরে আছে। মেয়েটির নাম ডারথি। সে জানতে চায়, ‘হাউ মে আই হেল্প ইউ?’ পানির কথা বলতেই সে ছুটে গিয়ে নিয়ে আসে ঠাণ্ডা এক বোতল মিনারেল ওয়াটার। জানতে চাই, ‘তুমি কি ট্রেনে কাজ করো ডারথি?’ সে জবাব দেয়, ‘আমি স্বেচ্চাসেবক হিসাবে প্রতি শনিবারে তিন-চার ঘন্টা এ ট্রেনে কাজ করি। প্যাসিনজারদের হেল্প করতে আমার খুব ভালো লাগে। পড়াশুনা শেষ করে আমি ট্রেনের কন্ডাকটার হবো, তাই কাজ শিখে নিচ্ছি।’ মিসেস এডউইনা ঠাণ্ডা পানি পেয়ে খুশি হন। পান করে বলেন, ‘এ মিনারেল ওয়াটার স্বাদে চমৎকার। কোকের চেয়েও অনেক বেশী তৃপ্তি পেলাম।’ তিনি একটি ম্যাগাজিনের পাতায় চোখ রাখলে জাসুয়া গজ গজ করে বলে, ‘একটু টেকনোমিউজিক শুনতে পারলে ট্রেন জার্নিটা এনজয় করতে পারতাম। মিউজিক ছাড়া বসে থাকতে বোরিং লাগছে।’ জারমিলা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে, ‘ধার মাত্র কয়েক ঘন্টা তোমাকে মিউজিক না শুনে কাটাতে হবে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখো কি সুন্দর পাহাড়! নিচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নদী। জানলার বাইরে মাথা রাখলে তোমার বোরিং ভাব কেটে যাবে।’ জাসুয়া বিরক্ত হয়ে বলে, ‘আমার জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতে ভালো লাগছে না।’ সে চোখ বন্ধ করে আমসি মুখে মাথা দোলাতে শুরু করে। সে এবার নিঃশব্দে আঙ্গুলে তুড়ি দিয়ে জোরে জোরে কাঁধ ঝাঁকাচ্ছে। আমি ও জারমিলা চোখে চোখে ইশারা বিনিময় করি। মনে হয়, জাসুয়া টেকনো-মিউজিকের ধ্বনি কল্পনা করে কাঁধ ও মাথা ঝাঁকিয়ে ড্যান্স করছে। এদিকে মিসেস এডউইনা ম্যাগাজিন রেখে দিয়েছেন। তাঁর চোখ ঘুমে ঢুলে পড়ছে। ডারথি হেঁটে যেতে যেতে বিষয়টি লক্ষ্য করে। সে একটি বালিশ নিয়ে এসে তা রাখে মিসেস এডউইনার ঘাড়ের নিচে।
ওয়ালোওয়া পাহাড়ের দিকে । মঈনুস সুলতানসিটে বেশ আরাম করে বসেছি। ইচ্ছা হয় একটি রহস্য গল্পের বই পড়তে। ব্যাকপ্যাকে খুঁজলে হয়তো একখানা বই ও চশমা পাওয়া যাবে। কিন্তু আজকে যে ঠিক করেছি- বইটই না পড়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে কাটাবো। জারমিলা স্কেচের খাতা বের করে তাতে আঁকতে শুরু করেছে। আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকাই। রেললাইনের পাশে একটি নদী। ওয়ালোওয়া পাহাড়ের ঠিক নিচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বলে এ নদীটির নাম‘ ওয়ালোওয়া রিভার’। এতে স্রোত বলে কিছু নেই। হ্রদের জলের মতো পানি যেন স্থির হয়ে আছে। তাতে ভাসছে কালচে সবুজ শ্যাওলা। মাঝেমাঝে একটি-দুটি রূপালি মাছ লাফিয়ে উঠছে। স্রোত-ট্রোত কিছু নেই তো, তাই মাছগুলোর হয়তো বোরিং লাগছে। বিরক্ত হয়ে হয়তো তারা লাফিয়ে উঠছে মাঝে মাঝে। এ এলাকা এত নির্জন, কোন মানুষজনও নেই যে মাছগুলো ধরে ভেজেটেজে খাবে।
ট্রেনটি খুব আস্তে চলছে। আর অবাক হয়ে দেখি, তার পাশেপাশে পাল্লা দিয়ে উড়ছে কয়েকটি বড়সড় বেলেহাঁস। এ ধরনের হাঁসকে বলা হয় ‘কানাডিয়ানগিজ’। তারা ইংরেজী ভি অক্ষরের মতো আকৃতি তৈরী করে উড়ছে। আমি গুনে দেখি মোট পনেরোটি হাঁস। ট্রেনের এতো কাছ দিয়ে উড়ছে যে, তাদের কোয়াক কোয়াক ধ্বনি পরিষ্কার শোনা যায়। জারমিলা স্কেচ খাতায় পেন্সিল দিয়ে দ্রুত ভি অক্ষরের মতো আকৃতি এঁকে নিচ্ছে। উড়ন্ত হাঁসগুলোর পেছনে ঝকঝক করছে নীল আকাশ। তার নিচে হাল্কা গোলাপি রঙের মেঘ। সম্পূর্ণ দৃশ্যটি আমারও জলরঙে এঁকে ফেলতে ইচ্ছা হয়। জারমিলা কি সুন্দর করে আঁকছে! আমি আঁকতে পারি না, তাই তার প্রতি একটু হিংসাও হয়। কিন্তু চেষ্টা করলে কি আমি একেবারে কিছু আঁকতে পারবো না? কারো প্রতিহিংসা হওয়াটা ভালো না। আমার উচিত আঁকতে পারি কিনা-তা চেষ্টা করে দেখা। আমি তো কখনো আঁকার চেষ্টা করিনি। চেষ্টা করলে যে পারবো না এমন নাও হতে পারে। চাইলে আমি তো আঁকা শিখতেও পারি। আঁকার কিছু কলাকৌশল হয়তো জারমিলা আমাকে দেখিয়ে দেবে। মনে মনে ঠিক করি, বাসায় ফিরে গিয়ে রঙপেন্সিল জোগাড় করে চেষ্টা করবো হাঁসগুলোর ভি আকৃতি আঁকতে। চোখ মুদে দৃশ্যটা মনে গেঁথে নেই। হাঁসগুলোর রঙ সাদা আর কালোয় মেশানো, তাদের ঠোঁট হলুদ। আর পেছনে গাঢ় নীল রঙের আকাশ। তার তলায় ভাসছে গোলাপি রঙের থোকা থোকা মেঘ। চোখ খুলতেই দেখি, ট্রেনের গতি আরো কমে এসেছে। ঠিক যেন থেমে থেমে ক্যাচক্যাচ করে রেললাইনে চাকা ঘষে ঘষে চলছে। জারমিলা ইশারায় আমাকে জানালা দিয়ে তাকাতে বলে। দেখি নদীপাড়ে পড়ে আছে কয়েকটি বড় বড় পাখরের খণ্ড। তারপাশে পানিতে নেমে দুটি শিংগাল হরিণ। তারা এমনভাবে ট্রেনের দিকে তাকিয়ে আছে যে, মনে হয় হরিণ দুটি মনে মনে বলছে, এদিকে তো বাড়িঘর-গ্রাম-শহর কিছু নেই, তা বাপুরা রেলগাড়িতে চড়ে চললে কোথায়? ‘তা-ঝিক-তা-ঝিক’ করে ট্রেনের গতি আবার বাড়ে। জাসুয়া আবার বিরক্ত হয়ে বলে, ‘এই ট্রেন জার্নি এতো বোরিং। এরা মাইক্রোফোনে একটু মিউজিক বাজালেও তো পারতো।’ তার কথাবার্তায় মিসেস এডউইনা জেগে উঠেছেন। তিনি ম্যাগাজিন হাতে নিতে নিতে বলেন, ‘জাসুয়া, এতটু ধৈর্য্য ধরো না বাপু। এটা এক্সকারশন ট্রেন। একটু জানালার বাইরে তাকাও।
জাসুয়া জানাল দিয়ে তাকিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে কাচ টেনে তুলে। সে বাইরে ঘাড় বের করে কী যেন দেখছে। ব্যাপার কী? আমিও জানালা দিয়ে বাইরে তাকাই। আর দেখি, আশ্চর্য এক দৃশ্য! পাহাড়ের ঢালে ফলেছে সবুজ ঘাস। আর ওখানে চরছে তিরিশ-চল্লিশটি বুনোবাইসন। তাদের পেছনে দেখা যাচ্ছে তুষারময় পাথুরে ঢেউ খেলানো পাহাড়। রেলগাড়িটি ঝিকঝিক করে ওয়ালোওয়া পাহাড়ের দিকে আগাতে থাকে।

Share.

মন্তব্য করুন