তাওসিফ ইসলাম

তাওসিফ ইসলাম, দশম শ্রেণি (বিজ্ঞান), বিএএফ শাহীন স্কুল এবং কলেজ ঢাকা

পরীক্ষার আগে একটি সুন্দর পরিকল্পনা করেছি

পঞ্চম শ্রেণির শুরুতে গণিতে ফেল করেও পরবর্তীতে সেই ফেল এর জবাবে পিইসি পরীক্ষায়ই এ-প্লাস এনেছিল তাওসিফ। সাফল্যের এই ধারাবাহিকতা সে ধরে রেখেছিল জেএসসি পরীক্ষায়ও, পেয়েছিলো গোল্ডেন এ-প্লাস। কথা বলছি বিএএফ শাহীন স্কুল এবং কলেজ ঢাকার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাওসিফ ইসলামের কথা। বরাবরের মতো ভালো ছাত্র না হওয়ায় এবং অপরদিকে সারাদিন খেলাধুলা নিয়ে থাকায় তাওসীফের পড়ার পদ্ধতিটা ভিন্ন এবং অল্প সময়ে ভালো রেজাল্ট করার উপযোগী। ক্লাস ফাইভে থাকতে প্রথম দিকের একটি পরীক্ষার গণিতে ফেল করে তাওসিফ এবং এর জন্যই ওর আম্মুকে স্কুলে ডেকে নানা ধরণের কথা শোনানো হয়। যা ছিল ওর জন্য বিব্রতকর। আর উক্ত অপমানের বদলা নিতেই তাওসিফ সারা রাত-দিন পড়ালেখা শুরু করে এবং ফলাফল হিসাবে পিইসি পরীক্ষায় এ-প্লাস পায়। গণিত ছিল ওর জন্য সব থেকে ভয়ঙ্কর বিষয়, তবে উক্ত বিষয়ে প্রচুর প্র্যাক্টিসের মাধ্যমে সে হয়ে ওঠে পারদর্শী। অপর দিকে জেএসসি’র সময় যত কাছাকাছি আসছিলো, ওর প্রস্তুতিও তত পরিকল্পিত ও গোছালো হচ্ছিলো। শেষ দিকে এসে সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগানো এবং মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করায় জেএসসিতেও ওর গোল্ডেন এ-প্লাস আসে। গণিত আর বিজ্ঞানে সে ছিল দুর্বল, তবে পরিকল্পিত প্রস্তুতির কারণে তা পুষিয়ে গেছে। পরীক্ষায় সে রেজাল্ট আশানুরূপ করার পরে নাকি প্রচুর আনন্দ, হৈ-হুল্লোড় করেছে এবং বাসার নিচে গ্যারাজে গান ছেড়ে নেচেছে। তার মতে সারা বছর যেমন পড়াশোনা করা দরকার, তেমনি পরীক্ষার আগেও দরকার একটি সুন্দর পরিকল্পনা এবং সেই মোতাবেক প্রস্তুতি। তাহলে এ-প্লাস পাওয়া কঠিন কিছু নয়। উল্লেখ্য যে তাওসিফ ফুটবল, হ্যান্ডবল এবং ক্রিকেটে দক্ষ একজন খেলোয়াড়। ফুটবল খেলায় সুযোগ পেয়ে ইন্ডিয়া থেকেও সে খেলে এসেছে।

আহমেদ মুহতাদ চপল নবম শ্রেণি (বিজ্ঞান), বিএএফ শাহীন স্কুল এবং কলেজ ঢাকা

আহমেদ মুহতাদ চপল নবম শ্রেণি (বিজ্ঞান), বিএএফ শাহীন স্কুল এবং কলেজ ঢাকা

সব বিষয়ে সমান গুরুত্ব দিয়েছি

কিছুটা কষ্ট তাকে করতেই হয়েছিল। চপল শেষ দিকে পড়ে এটিই প্রমাণ করে যে অল্প দিনেও ভালো করে মনোযোগ দিয়ে পড়লে ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব। এখন সে তার ফুটবল ক্যারিয়ার এবং নবম শ্রেণির পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করছে। দুরন্ত ফুটবলার এবং হকি প্লেয়ার হয়েও পড়াশোনায় ভালো রেজাল্ট ছিনিয়ে আনতে ভুল করেনি চপল। পিইসি পরীক্ষায় শেষ মুহূর্তে ঠিকভাবে পড়ে যে এ-প্লাস এবং জেএসসি-তেও শেষ মুহূর্তে ভালোভাবে পড়ে গোল্ডেন এ-প্লাস পেয়ে সে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলো। গণিত ও বিজ্ঞানসহ আরো কয়েকটা বিষয়ে চপল ছিল খুবই দুর্বল। তবে শেষ কয়েক মাস পড়েই সে ভালো রেজাল্ট করে। শাহীন কলেজের হকি মাঠে প্রায়ই দেখা যায় চপলকে। চপলের মতে তার খেলাধুলা এবং কুদ্দুস স্যারের দেওয়া সাহসই তাকে পরীক্ষায় অল্পদিনে ভালো রেজাল্ট করতে সহায়তা করেছে। সব বিষয়ে সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে সে। জিজ্ঞেস করলে সে বলে, ‘পরীক্ষার আগে অনেকেই শুধু কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে পড়ে থাকে। পরে দেখা যায়, যে বিষয়গুলোকে সে খুব সহজ ভাবতো সেগুলোতেই খারাপ করেছে। এজন্য সব বিষয়ে আমি সমান গুরুত্ব দিয়েছি।’ মজার বিষয় হচ্ছে চপলের কোনো পছন্দের সাবজেক্ট পিইসি এবং জেএসসি-তে ছিলো না। তবে গণিত এবং বিজ্ঞানকে তার আয়ত্তে আনতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। এখন এই দু’টি সাবজেক্টই ওর প্রিয়।

গ্রন্থনা : সাফ-ওয়ান ইবনে হক সাব্বির

Share.

মন্তব্য করুন