বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক
উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জাভেদ ওমর বেলিম গোল্লা। জাতীয় দলের হয়ে জাভেদ ওমরের অভিষেক হয়
১৯৯৫ সালে। এরপর ২০০১ সালে বুলাবুয়েতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয়
তাঁর। বাংলাদেশের হয়ে ৪০টি টেস্ট ও ৫৯টি ওয়ানডে খেলা জাভেদ ২০১৪ সালে খেলোয়াড়ী
জীবনের ইতি টানেন। একটা সময় বাংলাদেশের জন্য ৫০ ওভার ব্যাট করাটাই ছিলো সবচেয়ে বড়
চ্যালেঞ্জ। তখন জাভেদ ওমরের ব্যাটে চড়েই ৫০ ওভার খেলতে পারতো টাইগাররা।
ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, জাভেদ ওমর বাংলাদেশের ক্রিকেট
ইতিহাসের অন্যতম সেরা উদ্বোধনী ব্যাটম্যান। এছাড়া
দক্ষ ফিল্ডার হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে তার। বাংলাদেশের
ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান
তিনি। ক্রিকেটীয় জীবনে বাংলাদেশকে দিয়েছেন অনেক, আর বাংলাদেশ তাকে
তৈরী করেছে জাভেদ ওমর বেলিম হিসেবে এবং নিয়ে গেছে খ্যাতির
চূড়ায়। কীর্তিমান এই ক্রিকেট কিংবদন্তির সাথে এক বিকেলে সবুজ
ঘাসে ঢাকা মাঠে, হাঁটতে হাঁটতে, কখনো বসে, অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায়
মেতে ছিলেন তরুণ কবি ও সাংবাদিক সুফিয়ান রায়হান। এই আলাপনে উঠে
এসেছে ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিমের ক্রিকেটীয় জীবনের নানান
জানা অজানা কথা। উঠে এসেছে বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেটের অনেক
গুরুত্বপূর্ণ দিক। কিশোর পাতার বন্ধুদের জন্য সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো।

শুরুতেই জানতে চাই ছোটবেলার ক্রিকেট খেলার গল্পটা।
ছোটবেলায় ডেয়ারিং খেলতাম, সহজে হারতে চাইতাম না। ক্রিকেট ব্যাট থাকতো, টেনিস বল থাকতো আমার, যখন কারো বাসার কাঁচ ভেঙে বল ঢুকে যেত তখন তো বন্ধুরা সবাই ভয়ে পালিয়ে যেত। এরপর ১/২ ঘন্টা পর আবহাওয়া ঠাণ্ডা হলে আস্তে করে গিয়ে বলটা নিয়ে আসতাম। ক্লাস থ্রি-ফোর এর ঘটনা এটা।

আপনার নাম জাভেদ ওমর বেলিম গোল্লা, গোল্লা নামটা কখন থেকে হলো?
আসলে আমার নাম গুল্লু, বাসায় সবাই ভালোবেসে গুল্লু বলতো। কিন্তু টিভি-পত্রিকায় আসার পর বন্ধু-বান্ধবরা সবাই বলতে বলতে গোল্লা হয়ে গেছি! হা হা হা…।

ছোটবেলার খেলার মাঠের বন্ধুদের কথা জানতে চাই
আমরা অনেক খেলতাম, বন্ধুদের মনে পড়ছে খুব। আমি কিন্তু ছোটবেলায় ক্রিকেট, হকি, ফুটবল সব ধরনের খেলা খেলতাম। ফুটবল খেলতাম আমার লেভেল এর সাথে, কিন্তু ক্রিকেট খেলতাম বড়দের সাথে। ফোর-ফাইভে থাকতেই নাইনের সাথে খেলতাম, ছোটদের সাথে ক্রিকেট খেলতাম না।

সব খেলা ছেড়ে পুরোপুরিভাবে ক্রিকেট খেলা শুরু করলেন কখন?
এটি ১৯৮৯-এ যখন এশিয়া কাপ খেললাম তার আগে ইংল্যান্ড যাবে বাংলাদেশ। তখন ১৬০ জনকে ক্যাম্পে ডেকেছিল; আমার একটা টার্গেট ছিল দলের সাথে ইংল্যান্ড যাবার। সবার মধ্য থেকে ১৮ জন সিলেক্ট করা হয়েছিল, আমিও ছিলাম; খালেদ মাহমুদ সুজন অধিনায়ক ছিলেন। তারপর এসে আবার এশিয়া কাপ খেললাম। তখন থেকে আর অন্য খেলা হয়নি পুরো সময়টা ক্রিকেটের দিয়েছি।

ক্রিকেটার হিসেবে দেশের জন্য কিছু করার দায়িত্ব অনুভব করলেন কখন?
যখন এশিয়া কাপ খেললাম ১৯৮৯-এ, তখন পাকিস্তানের সাথে আমরা হেরে গিয়েছিলাম। আমি ৫৫ রান করেছিলাম, তারপর রান আউট হয়ে যাই। কিন্তু আমি থাকলে হয়তো ম্যাচটা জেতার সম্ভাবনা ছিল। সেদিন রাতে খাওয়া-দাওয়া করিনি, একটা জিদ চেপেছিল ভেতরে যে, বড় লেভেলে খেলব, দেশের জন্য কিছু করতেই হবে।

একেকটা জয়ের পরের অনুভূতিগুলো কেমন ছিলো?
ফ্যান্টাস্টিক! প্রতিটা জয় আমাকে একেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেত, একটা জয়ের সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকতাম।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ক্রমাগত জয়ের পর সমর্থকদের যে বাড়তি প্রত্যাশা জয়ের ব্যাপারে, সেটা খেলাতে কেমন প্রভাব ফেলে?
আমাদের সবসময় মাথায় রাখতে হবে, আমরা র‌্যাঙ্কিংয়ে সাত নাম্বার। কিন্তু আমাদের ধারণা এমন হয়ে গেছে যে, আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেবো। তবে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ চমৎকার খেলছে, সমর্থকদের এই চাপ নিতেই হবে ক্রিকেটারদের; নাহয় বড় ক্রিকেটার, বড় দল হওয়া যাবে না। এই প্রেশারটা কাজেও লাগে কখনো কখনো টার্গেট নিতে।

ক্রিকেটাররা খারাপ খেললে সমর্থকদের যে অসন্তুষ্টি তা কখনো আপনাদেরকে অসন্তুষ্ট করতো?
আসলে, একজন ক্রিকেটারের রুটি-রুজি কিন্তু এই ক্রিকেটটাই। তাই মাঠে একজন ক্রিকেটার তার সেরাটা দিয়েই খেলার চেষ্টা করে। সুতরাং কেউ কোন নেগেটিভ কথা বললে বা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলে খারাপ তো লাগবেই!

ভালো ক্রিকেটার পেতে হলে ছোট থেকে ক্রিকেটের চর্চার বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন আপনি?
আমরা স্কুল ক্রিকেট করছি কিন্তু স্কুল ক্রিকেট করলে শুধু হবে না, যেহেতু ক্রিকেট একটা টপ জায়গায় চলে গিয়েছে। আমি বলছি না বিশাল আয়োজন থাকতে হবে স্কুলে, বাচ্চাদের ছোট থেকেই হোক না একটি রুমের মধ্যে ব্যাট ধরা শেখানো, টেনিস বল দিয়ে প্র্যাকটিস করানো, এগুলো নিয়মিত চালু করতে হবে। এখন ক্রিকেট বোর্ড হেলদি ক্রিকেট বোর্ড। সরকার ও হেল্প করছে, তাই এই জায়গাটিতে আরো সচেতন হওয়া দরকার। একটা ক্লাস হওয়া উচিত প্রত্যেক স্কুলে। সপ্তাহে দুইটা ক্লাস অন্তত দরকার ক্রিকেটের ওপর।

আপনি যখন কম রানের কোন ইনিংস খেলতেন তখন নিজেকে কিভাবে পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুত করতেন?
যখন খারাপ খেলতাম তখন কোন কথা বলতাম না, চুপ থাকতাম। এরপর কঠোর পরিশ্রম করতাম, আমার তখন একটাই কথা মনে হতো আমি রান করে দলে থাকতে হবে, রান করে জবাব দিতে হবে। কারণ আমি মেধায় বিশ্বাস করি না আমি পরিশ্রমে বিশ্বাস করি।

বিশ্বকাপ ২০১৯-এ টাইগারদের পারফরম্যান্স নিয়ে কী বলবেন?
বাংলাদেশ এবার চমৎকার খেলছে। এখন পর্যন্ত অসাধারণ। সবাই কৌতূহলী হয়ে আছে যে কারা সেরা চারে থাকবে। বাংলাদেশও থাকতে পারে, বর্তমান বাংলাদেশ দলের জন্য এটা অসম্ভব না। বিশেষ করে ৫ জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আমাদের খেলছে।

বাংলাদেশ একসময় বিশ্বসেরা দল হবে । জাভেদ ওমর বেলিমবর্তমান বাংলাদেশ দল কত দূর এগিয়ে যাবে বলে আপনি মনে করেন?
বাংলাদেশ দল যেভাবে খেলছে এই নোটটা ধরে আগালে বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে একসময় বিশ্বসেরা দল হবে। এবং এই যে হুট করে কাউকে দল থেকে বাদ দিচ্ছে না, ঘুরেফিরে তাদেরকে দিয়েই খেলাচ্ছে এটাও ভালো। এই জায়গাটা ধরে রাখতে হলে, স্কুল ক্রিকেট থেকে শুরু করে জাতীয় দল খুব পরিশ্রম করতে হবে পরিকল্পনা করে আগাতে হবে।

একজন ক্রিকেটার হিসেবে আপনার মধ্যে ক্রিকেটীয় আদর্শটা কিভাবে কাজ করতো?
ক্রিকেট শুধু একটা খেলা নয়, ক্রিকেট একটি আদর্শও বটে। এটি মানুষের মানসিক একটি স্থিতির জায়গা। একজন ক্রিকেটার তখনই ভালো ক্রিকেটার হয়ে উঠবে যখন সে ক্রিকেটের আদর্শটাকে, ক্রিকেটের মূল ভিত্তিটাকে, সে নিজের মধ্যে ধারণ করবে এবং ক্রিকেটটাকে লালন করবে; তখনই সে একজন ভালো ক্রিকেটার হয়ে উঠবে।

একজন ক্রিকেটার দেশের জন্য খেলে। তাই দেশের প্রতি সম্মানের জায়গায় এবং নৈতিকতার প্রশ্নে তাকে কেমন হতে হয় বলে আপনি মনে করেন?
ক্রিকেট ১১ জনের খেলা কিন্তু দায়িত্বটা কোটি মানুষের। নৈতিকতার প্রশ্নে কোন ছাড় চলে না, তাকে ইথিক্যালি স্ট্রং থাকতে হবে। নৈতিকভাবে যতটা সচেতন সে হবে, যতটা মজবুত হবে, সে দেশের জন্য তত বেশি কাজ করতে পারবে। প্রত্যেক ক্রিকেটারের উচিত শুধু ব্যাটে-বলে নয়। ক্রিকেটটা হৃদয় থেকেও খেলতে হয়, খেলোয়াড় হওয়ার আগে দেশপ্রেমিক হতে হয়।

এখন তো আমাদের দেশে মাঠ পাওয়া যায় না। মাঠের সংকটে খেলার সুযোগ কমে যাচ্ছে, এই বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
আসলে বিশ্বের সব জায়গায় অন্য কিছু না থাক, পাড়ার মধ্যে অন্তত তাদের একটি মাঠ থাকে। কিন্তু আমাদের এই ক্রিকেট মাঠ নেই। মাঠ থাকলে বাংলাদেশের ক্রিকেট আরো বেশি বিস্তৃত হত, এক্ষেত্রে গ্রামে যদি আমাদের ক্রিকেটের চর্চাটা বেশি করে চালু করা যায়…। গ্রামে তো প্রচুর মাঠ আছে সেখান থেকে আমরা ভালো ক্রিকেটার পেতে পারি। শহরেও এতো এতো বিল্ডিং না বানিয়ে কিছু কিছু জায়গায় ভালো কিছু মাঠও বানানো উচিত।

বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলছে, আপনি নিজেও বিশ্বকাপ খেলেছেন, কিন্তু এই বিশ্বকাপ খেলা চলছে অথচ আপনি দলে নেই; এই বিষয়টি আপনার কাছে কেমন লাগে?
হা হা হা, এটি আসলে খুবই মজার। কারণ দলে থাকলে প্রচণ্ড চাপে থাকতে হয়, নিজেরা হারছি-জিতছি সমর্থকদের চাওয়া-পাওয়া এবং নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে। আসলে বিশ্বকাপ ক্রিকেট যখন হয়, একটা বড় টুর্নামেন্ট…। এখানে প্রচুর মানসিক চাপে থাকতে হয়, যে কী হচ্ছে না হচ্ছে আউট হয়ে যাচ্ছে কিনা, আমরা ভালো খেলেছি কিনা, একটা চাপে থাকতে হয়। আমি যখন ছিলাম চাপে ছিলাম। এখনতো বাসায় বসে আরাম করে চা-সিঙ্গারা খেতে খেতে খেলা দেখছি উপভোগ করছি, কিন্তু বাংলাদেশ দলের জন্য এখন ঘরে বসেই দোয়া করছি যেন তারা বিশ্বকাপের মতো বড় বড় টুর্নামেন্টগুলোতে খুব ভালো খেলতে পারে।

আপনার ক্রিকেটীয় জীবনের একটি মজার স্মৃতির কথা শুনতে চাই।
সবচেয়ে বেশি আমি যেটা মিস করি সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ দলের জার্সি গায়ে দেয়ার অনুভূতিটা। তারপর ড্রেসিং রুম মিস করি এবং সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে ড্রেসিংরুমের মজার ঘটনাগুলো। আমি সবাইকে মাতিয়ে রাখতাম সবাইকে একটু নাড়া দিতাম, বিশেষ করে আমি নকল করতাম সব সময়। যেমন আতাহার আলী খান, নানড়বু ভাই, প্রিন্স ভাই তাদের নকল করতাম। আমরা সবাই ফ্যামিলির মতো সবাই খুব ডেসপারেটলি মজা করতাম আনন্দ করতাম। ড্রেসিংরুমের এই বিষয়টা আসলে খুবই মিস করি, মনে পড়ে।

ক্রিকেট নিয়ে কী স্বপ্ন দেখেন একজন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে?
ক্রিকেট নিয়ে আমার অনেক বড় স্বপ্ন। ইচ্ছা আছে ক্রিকেটকে অনেক দূর নিয়ে যাবার। এজন্য আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে আমার স্বপেড়বর কথা জানিয়েছি, আমার চিন্তার কথা আমি জানিয়েছি। আশা করি তারা সেই আলোকে ব্যবস্থা নিবে এবং যদি নেয় সেটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য খুবই ভালো হবে। বাংলাদেশে বড় বড় ক্রিকেট একাডেমি হোক এবং সব জায়গায় ক্রিকেট তা ছড়িয়ে পড়ুক। বাংলাদেশের ক্রিকেট আরো বেশি ছড়িয়ে যাক এটাই আমার স্বপ্ন ক্রিকেট নিয়ে।

ব্যাটিংয়ে নামার সময় বা ব্যাট করে প্যাভিলিয়নে যাওয়ার সময়, গ্যালারি থেকে আপনার নাম বলে যখন সর্মকরা আওয়াজ দিত সেই সময়কার কথা মনে পড়ে?
সেটা খুবই চমৎকার অনুভূতি ছিলো। সেটা মনে করতেই আমার গায়ের লোম দাড়িয়ে যায়, এখনো গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেছে। সবাই যখন ‘জাবেদ জাবেদ’ বলে চিৎকার করত গ্যালারি থেকে সেটা এখনো আমার কানে বাজে এবং সেটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে ভালো খেলার জন্য, বাংলাদেশের হয়ে কিছু করার জন্য। বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য যে দায়িত্বটা তা কয়েকগুণ বেড়ে যেতো তখন।

আপনার ছেলেকে কী বানাতে চান? সেও কি বাবার মতো ক্রিকেট খেলবে?
হ্যাঁ, আমি চাই আমার ছেলে ক্রিকেটার হোক। তবে সবার আগে চাই ও যেন সুস্থ মনের মানুষের মতো মানুষ হয়। তারপর চাই সে ক্রিকেটার হোক, ভালো ক্রিকেট খেলুক। ক্রিকেটের আদর্শ ধারণ করে ক্রিকেটটাকে এগিয়ে নিয়ে যাক, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরুক সম্মানের সাথে।

কিশোর পাতার পাঠকদের উদ্দেশ্য কিছু বলুন।
যেহেতু কিশোররা বেশী পড়ে এই কাগজটি, তাদেরকে বলতে চাই, বড় হওয়ার জন্য সবচেয়ে যেটা জরুরী সেটা হলো সত্যবাদী হতে হবে, পরিশ্রমী হতে হবে। তাহলে তোমার সফলতা কেউ ঠেকাতে পারবে না। আর বাবা-মা’র কথা তো অবশ্যই শুনতে হবে। সবশেষে বলবো, যারা ক্রিকেটার হতে চাও তারা ক্রিকেট খেলা দেখো বেশি বেশি করে। মাঠ না থাকলে ঘরের মধ্যে প্র্যাকটিস করো। আগ্রহ আর স্থির লক্ষ্য থাকলে তুমিও হতে পারো একদিন বিশ্বসেরা ক্রিকেটার।

Share.

মন্তব্য করুন