এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং পৃথিবীর অন্যতম গগনচুম্বী অট্টালিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ফিফথ এভিনিউ ও ওয়েস্ট থার্টিফোর্থ স্ট্রিটের মধ্যস্থলে অবস্থিত এ ভবনটির উচ্চতা ৩৮১ মিটার বা ১,২৫০ ফুট এবং এতে ১০২টি তলা রয়েছে। ৪১ বছর যাবৎ এ অট্টালিকাটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসেবে স্বীকৃত ছিল। ভবনটির নামকরণ হয়েছে নিউ ইয়র্কের ডাকনাম দি এম্পায়ার স্টেট থেকে।
১৯৩১ সালে নির্মাণের পর দীর্ঘ ৪০ বছর এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনের মর্যাদা পেয়েছিল। এর ফলে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় স্থাপনা ও মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত। ১৯৭১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নর্থ টাওয়ার নির্মাণান্তে এর মর্যাদা খর্ব হয়। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলা পরবর্তীকালে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং পুনরায় নিউ ইয়র্কের সবচেয়ে বড় ভবন হিসেবে নিজ স্থানে ফিরে যায়। কিন্তু, ২০১৩ সালে নতুন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নির্মাণের পর এটির জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়।
শিকাগোতে অবস্থিত উইলিস টাওয়ার এবং ট্রাম্ফ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ারের পর বর্তমানে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম উচ্চ ভবন। দুবাইয়ে অবস্থিত বুর্জ খলিফার পর এটি বিশ্বের ১৫তম গগনচুম্বী অট্টালিকা হিসেবে মর্যাদায় আসীন।
শ্রিভ, ল্যাম্ব অ্যান্ড হার্মন অ্যাসোসিয়েটস এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের নকশা প্রণয়ন করে। এটি এমন এক সময়ে তৈরি করা হয়েছিল যখন বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে উঁচু আকাশচুম্বী অট্টালিকা তৈরিতে সকলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। পরিশেষে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং সর্বোচ্চ অট্টালিকার মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছিল। ৪১০ দিনে এর নির্মাণকার্য সমাপ্ত হয়েছিল। ১৯৩১ সালের ১ মে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হার্বার্ট হুভার বিল্ডিংটির উদ্বোধন করেছিলেন।
১০২ তলা শেষে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিয়ের উচ্চতা দাঁড়ায় ১,২৫০ ফুট (৩৮১ মিটার) এবং শৃঙ্গ বা চূড়ার দৈর্ঘ্য ছিল ২০৩ ফুট (৬২ মিটার) যা শেষে এর সম্পূর্ণ উচ্চতা দাঁড়ায় ১,৪৫৪ ফুট (৪৪৩.২ মিটার)। ৮৫ তলায় ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অফিস পরিচালনায় ২১,৫৮,০০০ বর্গ ফুট (২,০০,৫০০ বর্গমিটার) ব্যবহৃত হয়। ৮৬তম তলায় অভ্যন্তরীণ এবং বহিঃস্থ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে। বাদ-বাকি ১৬ তলায় আর্ট ডেকোর টাওয়ার রয়েছে। ১০২ তলা থেকে চতুর্দিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। ২০৩ ফুট (৬২ মিটার) শীর্ষ চূড়াটি সম্প্রচার কার্যের জন্য এন্টেনা ব্যবহার করা হয় ও শীর্ষে আলোকসজ্জা করা হয়।

এম্পায়ার এস্টেট বিল্ডিং । মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলামবিশ্বের প্রথম গগনচুম্বী অট্টালিকা হিসেবে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ে একশতেরও অধিক তলা রয়েছে। এতে, ৬,৫০০ জানালা এবং ৭৩টি এলিভেটর বা লিফট রয়েছে। এ ছাড়া, রাস্তার সমান্তরাল থেকে ১০২তম তলা পর্যন্ত ১,৮৬০টি সোপান রয়েছে। এর সর্বমোট মেঝের আয়তন ২৭,৬৮,৫৯১ বর্গফুট (২,৫৭,২১১ বর্গমিটার)। প্রায় ২ একর (৮,০৯৪ বর্গমিটার) জমির ওপর এটি অবস্থিত। এক হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এতে। ১০১১৮ জিপ কোডও নিজ নামে সংরক্ষণ করেছে ভবনটি। ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রায় একুশ হাজার শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে এই ভবনে। এর ফলে আমেরিকার এই বিল্ডিংটি পেন্টাগনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম অফিস কমপ্লেক্স হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
সম্পূর্ণ ভবনটি নির্মাণে এক বছর ৪৫ দিন সময় ব্যয় হয়। ৬৪টি লিফট কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। বর্তমানে সেবার লক্ষ্যে লিফটসহ ৭৩টি লিফট রয়েছে। ৮০তম তলা পর্যন্ত লিফটের মাধ্যমে উঠতে এক মিনিটেরও কম সময় লাগে। সেখানে থেকে ৮৬তম তলায় যাবার জন্য অন্য আরেকটি লিফট ব্যবহার করতে হয়। ভবনটিতে ৭০ মাইল (১১৩ কিমি) পাইপসহ বৈদ্যুতিক তার রয়েছে ২৫,০০,০০০ ফুট (৭,৬০,০০০ মিটার)।
দুর্ঘটনাসমূহ : নির্মাণের পর থেকে ভবনের ওপর থেকে এ পর্যন্ত ত্রিশজনেরও অধিক আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। প্রথম আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে নির্মাণকার্য সমাপনের পূর্বে একজন শ্রমিকের শুয়ে থাকার প্রেক্ষাপটে। ১৯৪৭ সালে পাঁচ ব্যক্তি লাফানোর চেষ্টা চালায়।
১৯৪৫ সালের ২৮ জুলাই সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে লেফটেন্যান্ট কর্নেল উইলিয়াম ফ্রাঙ্কলিন স্মিথ জুনিয়র বি-২৫ মিচেল বোমারু বিমান নিয়ে ঘন কুয়াশার মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যান। এর ফলে বিমানটি এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের উত্তরাংশে ৭৯ ও ৮০তম তলায় আঘাত হানে। সেখানে ন্যাশনাল ক্যাথলিক ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের কার্যালয়ের অবস্থান ছিল। সংঘর্ষের কারণে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয় ও ৪০ মিনিট স্থায়ী হয়। এ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হন। বেটি লো অলিভার নামীয় লিফট পরিচালনাকারী ব্যক্তি ৭৫ তলায় দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকেন। এর ফলে তিনি লিফট দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে সর্বোচ্চ সময়ের জন্য আটক হয়ে যাবার ঘটনায় গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে স্থান করে নেন। বিশাল ক্ষয়ক্ষতি এবং জীবনহানির পরও ব্যবসায়িক কারণে এ অট্টালিকার অনেকগুলো তলা অবিলম্বে খুলে দেয়া হয়।
১৯৯৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি একজন সশস্ত্র বন্দুকধারী পর্যবেক্ষণ চূড়ায় আরোহণ করে একজনকে গুলি করে হত্যা করে। পরবর্তীতে সে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে গুরুতর আহত হয়।

এম্পায়ার এস্টেট বিল্ডিং । মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলামআরোহণ প্রতিযোগিতা : ১৯৭৮ সাল থেকে ৮৬তম তলায় অবস্থিত পর্যবেক্ষণ টাওয়ার পর্যন্ত হেঁটে আরোহণ প্রতিযোগিতা সাংবার্ষিক ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীগণ দৌড়বিদ ও আরোহণকারী- উভয় নামেই আখ্যায়িত হন। প্রায়শই তারা অত্যন্ত আগ্রহী টাওয়ার দৌড়বিদ নামে পরিচিত হয়ে থাকেন। এ প্রতিযোগিতায় খাড়া বা উলম্বভাবে ১,০৫০ ফুট (৩২০ মিটার) দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। এ জন্যে প্রতিযোগীকে ১,৫৭৬ সোপান অতিক্রম করে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে হয়। ২০০৩ সালের প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার পেশাদার সাইক্লিষ্ট পল ক্র্যাক সর্বনিম্ন ৯ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড গড়েন। এ সময় উপরে ওঠার হার ছিল ঘণ্টায় ৬,৫৯৩ ফুট (২,০১০ মিটার)।
নিউ ইয়র্ক শহরে টুইন টাওয়ার বা আজকের ফ্রিডম টাওয়ারের নাম সর্বোচ্চ ভবন হিসেবে যতই উচ্চারিত হোক না কেন, এ শহরের আভিজাত্য মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই ভবন। ফিফথ অ্যাভিনিউয়ের মধ্য ম্যানহাটনে গিয়ে চারিদিক থেকে তাকালে দেখা যাবে কোন না কোন কোণ থেকে পর্যটকদের ক্যামেরা সেদিকে তাক করেই ক্লিক করছে। সাবওয়ে থেকে বের হয়ে যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, পথচারীকে বাধ্য করে মাথা উঁচিয়ে এই আকাশছোঁয়া ভবন দেখে নিতে। আলো-আঁধারি রঙের খেলা এর অনন্য এক বৈশিষ্ট্য, যা অনেক কিছুকে ধারণ করে।
দ্য এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং গড়ে ওঠার কাহিনী যেমন চমকপ্রদ, তেমন মজার। বাচ্চাদের প্রতিযোগিতার মতো, ‘তুমি আমার থেকে বেশি লম্বা হতে পারবে না, আমি লম্বা অনেকটা এ রকম। বিভিন্ন সময় রাতে  ভবনের যে রং বদলায়, তাও খুব তাৎপর্যময়। না জানলে তা বোঝা যাবে না। তবে না জানলেও বোকার মতো দূর থেকে অপলক চেয়ে থাকার মধ্যেও আনন্দ আছে। পৃথিবীর প্রতিটি সুন্দর সৃষ্টির পেছনে রয়েছে কারও অশ্রু, কারও মৃত্যু, কারও ব্যর্থতা, কারও সাফল্য, কারও ঘৃণা, অথবা কারও ভালোবাসা। তবে ভালোবাসাই বেশি, নতুবা এমন সাম্রাজ্য গড়া যেত না।
মূলত ১০২ তলার আকাশচুম্বী ভবনটি গড়ে উঠেছিল উচ্চতর ভবনের প্রতিযোগিতা নিয়ে। ১৯২০ এর দশকের শেষ দিকে নিউ ইয়র্কের অর্থনীতি তখনো তেমন ভালো নয়, ভবন নির্মাতারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভবন স্থাপন করতে পাগলপ্রায়। মূলত ৪০ ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাংক অব ম্যানহাটন বিল্ডিং ও ক্রিসলার বিল্ডিংয়ের সঙ্গে ছিল তখন এই প্রতিযোগিতা। এর মধ্যে যেমন ছিল একটি প্রধান আর্টডিকো গঠন, যা মূলত মোগুল ওয়াল্টার ক্রিসলার দ্বারা ‘আমার স্মৃতিস্তম্ভ’ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। প্রধানত এই দু’টি ভবন প্রতিযোগিতামূলকভাবে তাদের নকশাতে আরও মেঝে যোগ করে একে অপরের চেয়ে সেরা করার চেষ্টা করেছিল এবং ১৯২৯ সালের আগস্ট মাসে এই ভবনের মালিকেরা রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল, যখন জেনারেল মোটরসের নির্বাহী জন জে রস্কব এবং নিউ ইয়র্কের গভর্নর আল স্মিথ এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন।
এম্পায়ার স্টেট ভবন ১০০০ ফুট উঁচু হবে শোনার পর ক্রিসলার তার চূড়ান্ত পরিকল্পনা পরিবর্তন করে তার শীর্ষস্থানে প্যাঁচানো স্টেইনলেস স্টিল সংযুক্ত করেন। উপরন্তু, ক্রিসলার বিল্ডিং ১ হাজার ৪৮ ফুট রেকর্ডে উঠেছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ক্রিসলার, রস্কব ও স্মিথ সহজেই এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের জন্য লম্বা নকশা নিয়ে আবার ফিরে আসেন। ১৯৩১ সালে সম্পন্ন হয় কলসাস মিড টাউন ম্যানহাটনের রাস্তায় ১ হাজার ২৫ ফুট উঁচু ভবন। ১৯৭৯ সালে প্রম বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র টাওয়ার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি প্রায় ৪০ বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা বিল্ডিং ছিল। আবার যখন ২০০১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র ভেঙে পড়ে তখন এটিই ছিল ২০১২ পর্যন্ত নিউ ইয়র্কের সর্বোচ্চ আকাশচুম্বী অট্টালিকা।

এম্পায়ার এস্টেট বিল্ডিং । মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম
প্রকল্পের বিশাল আকার সত্ত্বেও এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের নকশা, পরিকল্পনা ও নির্মাণ শুরু হতে মাত্র ২০ মাস লেগেছিল। শ্রিভ, ল্যাম্ব এবং হার্মন মিলে এটির নকশা করেন। এর উচ্চতা ১ হাজার ২৫০ ফুট (৩৮০ মিটার) এবং অ্যানটেনাসহ মোট উচ্চতা ১ হাজার ৪৪৫ ফুট (৪৪৩.২ মিটার)। ২০১৭ সালের মধ্যে এই ভবন আমেরিকার পঞ্চম উঁচু ভবন, বিশ্বের ২৮তম উঁচু ভবন হিসেবে খ্যাতি পায়। ওয়ালডর্ফ-অ্যাস্টোরিয়া হোটেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্লটটির ঠিকাদার স্টারেট ব্রাদার্স এবং একেন ৪১০ দিনের মধ্যে এই ভবন নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা করেন এবং প্রতিদিন ৩ হাজার ৪০০ পুরুষ কর্মী নিয়োগ করে রেকর্ড গতিতে কাজ করান। ভূমি মেঝের কিছু বিবরণ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই প্রথম ৩০ তলা শেষ হয়। ভবনটি সময়ের আগে এবং নির্ধারিত বাজেটে শেষ হয়েছিল। এই ভবন নির্মাণকালে কমপক্ষে পাঁচজন শ্রমিক নিহত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন সিনেমা নির্মাণকাজে এ ভবনটি ব্যবহৃত হয়। প্রায় ৯০টি সিনেমার মধ্য কিং কং সিনেমায় এর ব্যবহার ও সাফল্য ছিল উল্লেখ্যযোগ্য। ফিল্মের ৫০তম বার্ষিকীতে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের সঙ্গে একটি নকল কিং কং সংযুক্ত করা হয়েছিল। প্রতিদিন লাখো পর্যটকের কাছে এটি এখনো এক বিস্ময়। এতে প্রতিফলিত আলোকচ্ছটার রং বদল আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিষয়ের প্রতিনিধিত্ব করে। যেমন ডা: মার্টিন লুার কিং জুনিয়রের সম্মানে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি রং হয় লাল, কালো এবং সবুজ। প্রাথমিক অবস্থায় এটি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্প হিসেবে থাকলেও পরে এটি হয়ে ওঠে একটা বাণিজ্যিকভাবে সফল প্রকল্প এবং এখনো প্রতিদিন এটির আয় লাখো ডলার ছাড়িয়ে যায়।

Share.

মন্তব্য করুন