নদী আর প্রকৃতি রবির খুব প্রিয়! নদী দেখতে ভালো লাগে, নদীর ছবি আঁকতেও লাগে দারুণ! বাড়ির পাশেই ছোট্ট নদী। শুভ্র সকাল, শান্ত প্রকৃতি! নদীর মৃদু ঢেউ, বাহ! কত দারুণ দৃশ্য! নদীর জল, পাল তোলা নাও, বুনোহাঁসের ছানা, পানকৌড় এবং বকের সারি। নদীর তীরেই যেনো সবার মিলনমেলা! রবি একা একা দেখে, ছবি আঁকে, ছড়া লেখে আরও কত্ত কি! রবির মনে প্রশ্ন জাগে, এই সুন্দর পৃথিবী, নদী, আকাশ, আমি এবং প্রকৃতিটা কে গড়েছে? দাদুর কাছে জানতে হবে। রবির দাদু সরকারি উকিল। এলাকাজুড়ে বেশ সুনাম! কতজনার কথার উত্তর দিয়ে থাকেন! আমার উত্তরও হয়তো জানেন! পড়ন্তু বিকেল, বাসার ছাদে রবি ও তার দাদু গল্প করছেন! এক ফাঁকে রবি বলল, দাদু এই সুন্দর পৃথিবী, আকাশ-বাতাস, নদী-নালা, পশু-পাখি এবং আমাদের কে সৃষ্টি করেছেন? রবির বয়স পাঁচ বছর! কিন্তু কত্ত বিশালাকার তার চিন্তাভাবনা! দাদু একটু অবাক হলেন বটে। মুচকি হেসে উত্তর দিলেন, বললেন দাদু আমাদের দেখা-অদেখা, দৃশ্য-অদৃশ্য সবকিছু মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। রবির মনে আবারো প্রশ্ন জাগে, আচ্ছা দাদু পাখিরা গান গায়, সূর্য এক নিয়মে ওঠে-ডুবে, নদী নিরবধি ছুটে এই নিয়ম-কানুন কে শিখিয়েছে? দাদু আবারো মুচকি হাসেন! মৃদুসরে বলেন, এই নিয়ম-কানুনও আল্লাহ তাদের শিখিয়েছেন। রবি বুঝতে পারে আল্লাহ সবার সৃষ্টিকর্তা, সবার শিক্ষক। দুরন্ত রবি তবুও প্রশ্নই করে, দাদু তবে কি আমার আম্মুও আমার শিক্ষক? দাদু বলেন কেন নয়? অবশ্যই তোমার আম্মু তোমার শিক্ষক! কেননা তোমার প্রথম হাতে-খড়ি, বর্ণমালা, ধারাপাত মায়ের কাছেই শেখা! সুতরাং তোমার আম্মুও তোমার শিক্ষক। রবির প্রশ্নগুলো দাদুকে অবাক করে! অতঃপর রবি তার দাদুকে আবার প্রশ্ন করে! আচ্ছা দাদু আমরা মুসলিম, তবে আমাদেরত পথপ্রদর্শক কে? দাদু মৃদুসরে বলেন দাদু ভাই, আল্লাহ মানুষের পথপ্রদর্শক হিসেবে অনেক নবী-রাসূল দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। আর আমাদের পথপ্রদর্শক হজরত মোহাম্মদ (সা.)। তিনিই মুসলিম তথা সারা বিশ্বের সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল। আর তিনি আমাদের সবার শিক্ষক! যিনি শিক্ষা দিয়েছেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ! অতঃপর রবি বুঝতে পারে এ জন্যই শিক্ষকতা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পেশা! দাদু আমিও বড় হয়ে একজন আদর্শবান শিক্ষক হবো!

Share.

মন্তব্য করুন