‘ঈদ’ মানে খুশি বা আনন্দ। আমাদের জীবনে যেমন আনন্দ আছে, তেমনি আছে দুঃখ-কষ্ট। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা দিয়ে গড়া এ জীবন। ব্যক্তিজীবনে যেমন সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনার সমাহার ঘটে, সমষ্টিগত বা জাতীয় জীবনেও তেমনি এগুলো ঘুরে-ফিরে আসে। আনন্দে যেমন আমরা উদ্বেল হই, দুঃখ-বেদনায়ও তেমনি মুষড়ে পড়ি। তবে সব অবস্থায় নিজেদেরকে মানিয়ে চলতে হয়। সুখের সময় আমরা যেমন আমাদের আনন্দ অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নেবো, দুঃখের সময়ও তেমনি আমরা সকলে পরস্পর সহানুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে দুঃখকে সহনীয় করে তুলবো। তাহলে জীবন দুর্বহ হবে না। পরস্পর সহানুভূতিপূর্ণ এক ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সমাজ গঠন সহজ হবে।
ব্যক্তিজীবনে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা কখন আসবে তা কেউ জানে না। কিন্তু জাতীয় জীবনে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার দিনগুলো কিন্তু অনেকটা আগে থেকেই নির্দিষ্ট করা আছে। তবে বিভিন্ন জাতির এ আনন্দ-বেদনার দিনগুলো একই দিনে আসে না। বিভিন্ন জাতির বিভিন্ন ধরনের আনন্দ-বেদনার দিন নির্দিষ্ট রয়েছে। সাধারণত আদিকাল থেকে জাতীয় জীবনের এ আনন্দ-বেদনার দিনগুলো কোন বিশেষ ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কেন্দ্র করে পালন করা হয়। যেমন মুসলিম জাতির নিকট জুম্মাবার একটি আনন্দঘন দিন। এদিন আমরা সকলে জামাতবদ্ধভাবে জুম্মার নামায আদায় করে আল্লাহর নিকট দোয়া করি, পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ, ভাবের আদান-প্রদান ও গরীবদের দান-খয়রাত করে থাকি। রোযা উপলক্ষে আমরা একমাস সিয়াম পালন করি। রমযানের পুরা মাস আমাদের নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রমযানে সারাদিন রোযা রাখা, সূর্যাস্তের পর ইফতার করা, তারাবীহ্র নামায পড়া, শেষরাতে সাহ্রী খাওয়া ইত্যাদি নির্দিষ্ট কাজগুলো করে থাকি।
রমযানের শেষে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন আমরা ঈদগাহে গিয়ে জামাতবদ্ধ হয়ে নামায আদায় করি, মুসলিম মিল্লাতের জন্য দোয়া করে পরস্পর কোলাকুলি ও মুসাফাহ্ করি। এতে এক সর্বজনীন উদার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়। এদিন নতুন জামা-কাপড় পরে প্রতিবেশি, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করি। বাড়িতে পোলাও-কোর্মা-পায়েস-ফিরনি-জর্দা ইত্যাদি নানা রকম ভাল ভাল খাবার তৈরি করে নিজেরা খাই, অন্যদের খাওয়াই এবং গরীবদের বিলাই। কুরবানীর ঈদের সময়ও আমরা এভাবেই আনন্দ-উৎসব করি। তবে সেদিন মুসলিম মিল্লাতের পিতা ইব্রাহিম আ. এর সুন্নাহ্ হিসাবে আমরা আল্লাহ’র ওয়াস্তে পশু কুরবানী করে থাকি।
এছাড়া আমাদের জাতীয় জীবনে যেসব দুঃখময় স্মৃতি বিজড়িত রয়েছে, তারমধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হলো কারবালার মর্মন্তুদ ঘটনা। এ দিনটি মুসলিম মিল্লাতের নিকট একটি শোকাবহ দিন। ঐদিন মানবতার শ্রেষ্ঠতম আদর্শ রাসূলে করিম স.-এর প্রিয়তম দৌহিত্র ইমাম হুসাইনকে রা. কারবালার ময়দানে ইয়াজিদ বাহিনী নির্মমভাবে শহীদ করে। সত্য-মিথ্যার লড়াইয়ে সেদিন ইমাম হুসাইন জীবন দিয়েছিলেন, কিন্তু মিথ্যার সাথে আপোষ করেননি। এ শোকাবহ ঘটনা সমগ্র মুসলিম জাতির জন্য তাই এক অনুপ্রেরণাদায়ক ও অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
পৃথিবীতে অনেক দেশ অনেক জাতি ও অনেক ধর্ম রয়েছে। ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দ্বীন বা জীবন-বিধান। ইসলামে রাসূল স. আল্লাহর পক্ষ থেকে দু’টি দিনকে আনন্দের দিন হিসাবে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এ দু’টি দিন হলো ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আয্হা। এ সম্পর্কে একটি সহি হাদীসের উদ্ধৃতি দিচ্ছি।
হাদীসটি এরূপ- “হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেন- ‘রাসূলুলাহ স. যখন মদীনায় উপস্থিত হলেন, তখন তিনি দেখতে পেলেন, মদীনাবাসীরা (যাদের মধ্যে অনেকে ইতঃপূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেছিল) দু’টি জাতীয় উৎসব পালন করে। আর এ জাতীয় উৎসব পালনে তারা খেল-তামাসা ও আনন্দানুষ্ঠানের আয়োজন করতো।’ রাসূলুলাহ স. তাদের জিজ্ঞাসা করলেন ঃ ‘তোমরা এ যে দু’টি দিন জাতীয় উৎসব পালন কর এর মূল উৎস ও তাৎপর্য কী?’ তারা বললঃ ‘ইসলামের পূর্বে জাহিলিয়াতের যুগে আমরা এ উৎসব এমনি হাসি-খেলা ও আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমেই উদ্যাপন করেছি, এখন পর্যন্ত সেটাই চলে আসছে।’ একথা শুনে রাসূলুলাহ স. বলেনঃ ‘আল্লাহ তায়ালা তোমাদের এ দু’টি উৎসব দিনের পরিবর্তে এরচেয়ে উত্তম দু’টি দিন ঈদ-উল ফিতর ও ঈদ-উল আযহা দান করেছেন। অতএব, পূর্বের উৎসব বাদ দিয়ে এ দু’টি দিনের নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানাদি পালন করতে শুরু কর।” (আবু দাউদ ও মুসনাদে আহমদ)।
ঈদ-উল ফিতর রমযানের রোযার শেষে সওয়াল মাসের এক তারিখে উদ্যাপিত হয়। অন্যদিকে, জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখে পবিত্র হজ্ব উদ্যাপনের পরের দিন কুরবানী ও ঈদ-উল আযহা উদ্যাপিত হয়ে থাকে। এ দু’টি অনুষ্ঠানই মুসলিম জাতির জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর ধর্মীয় পবিত্র ভাব-গাম্ভীর্য ও উৎসব-আনন্দের সাথে আমরা এ দু’টি
অনুষ্ঠান পালন করে থাকি। এ দু’টি উৎসব ইসলামি সংস্কৃতির মূলভিত্তি। মুসলিম মিল্লাতের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে এ দু’টি উৎসবকে কেন্দ্র করে। তাই ঈদ উৎসব শুধুমাত্র আনন্দ উৎসব নয়, এর ধর্মীয় তাৎপর্যও সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ উৎসব একদিকে ইবাদত, অন্যদিকে ইসলামি জীবন-চেতনা ও মুসলিম জীবনধারার এক উৎকৃষ্ট ও অত্যুজ্জ্বল নিদর্শন।
মানুষের জীবনে আনন্দ-উৎসবের প্রয়োজন রয়েছে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, জাতীয় বা রাষ্ট্রীয়ভাবেও যুগে যুগে সব দেশে উৎসব-আনন্দের আয়োজন চলে আসছে। তবে ব্যক্তি-জীবনে আনন্দ-উৎসব কখন কার জীবনে কীভাবে আসে, তা বলা যায় না। কিন্তু পরিবার, সমাজ, জাতি বা রাষ্ট্রীয় উৎসব-আনন্দের আয়োজন সাধারণত কোন বিশেষ উপলক্ষ বা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা বিষয়কে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদ উৎসব সামাজিক বা সামষ্ঠিক চেতনা ও দায়বদ্ধতা থেকে প্রতিপালিত হলেও এতে ব্যক্তিগত চেতনা ও প্রেরণার বিষয়টিও গুরত্বপূর্ণ। কারণ এ উৎসব কোন সাধারণ উৎসব নয়, ধর্মীয় বিধান ও আবেগ এর সাথে জড়িত। পূর্ণ এক মাস রোযা রাখার পর ঈদ-উল ফিতর উদ্যাপিত হয়। অন্যদিকে, মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহিম আ. কর্তৃক স্বীয় পুত্র ইসমাইলকে আ. আল্লাহর নির্দেশে কুরবানী করার ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে ঈদ-উল আযহা উদ্যাপিত হয়। আল্লাহ্কে খুশি-রাজি করার উদ্দেশ্যে এ মহান আত্মত্যাগের অনন্যসাধারণ ঘটনা মানবজাতির ইতিহাসে চির অম্লান ও অবিস্মরণীয়।
দু’টি উৎসবের একটি আত্মসংযমের, অন্যটি আত্মত্যাগের মহান আদর্শে উজ্জীবিত। দু’টোই মানবীয় মহৎ গুণের সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন। দু’টি উৎসবই একদিকে ব্যক্তিগত, অন্যদিকে ধর্মীয় বা সামাজিক। এখানে ব্যক্তি ও সমষ্টির সুন্দর সমন্বয় ঘটেছে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র তথা বিশ্বের সব মুসলিম একসাথে এতে অংশগ্রহণ করে। ফলে এ উৎসব বিশ্বজনীন সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন। এ উৎসবে যেমন আনন্দ আছে, সকলের সাথে প্রাণ খুলে মিলেমিশে অপার খুশিতে একতা-সাম্য-ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা আছে, তেমনি মহান স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস, অবিচল আনুগত্য ও আত্মসমর্পণের মহিয়ান দিকটিও রয়েছে। তাই ঈদের আনন্দের মধ্যে রয়েছে সংযম, মানবিক সহৃদয়তা ও মহান আলাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশের ঐকান্তিক অনুভূতি।
রোযা মানুষকে আত্মসংযম শিক্ষা দেয়। সারাদিন কৃচ্ছ্রতা সাধনের পর আমরা সূর্যাস্তের পর ইফতার করি। দিনের বেলায় সবরকম খানাপিনা বর্জন ও আরো অনেক নিয়ম-রীতি মেনে আমরা সিয়াম পালন করি। অন্য সময় দিনের বেলায় হালাল খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করা জায়েজ। কিন্তু রোযা রেখে এসব হালাল খাদ্য-খানাও খাওয়া নিষেধ। রোযা রেখে এভাবে আরো অনেক হালাল কাজও বর্জন করতে হয়। এছাড়া, রোযা রেখে মিথ্যা কথা বললে, কারো সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে, কোনরূপ অন্যায়-অবৈধ-গর্হিত কাজ করলে এবং অশ্লীল-অশোভন বাক্যবিনিময় করলে রোযা হয় না। এভাবে রোযা শুধু আত্মসংযমই শিক্ষা দেয় না, আত্মশুদ্ধি তথা পূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের শিক্ষা দেয়। এভাবে পূর্ণ একমাস কঠোর সাধনার মাধ্যমে রোযা আমাদেরকে সুস্থ, সুন্দর, মানবীয় গুণসম্পনড়ব মহৎ মানুষে পরিণত করে। এজন্য আল-কুরআনে রমযানকে ‘তাক্ওয়া’ অর্জনের মাস হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। তাক্ওয়া অর্থ মহান আল্লাহর উপর দৃঢ় ঈমান এনে একমাত্র তাঁর নির্দেশানুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। সত্য, সুন্দর, ন্যায় ও ভাল কাজ করা এবং অসত্য, অসুন্দর, অন্যায় ও মন্দকাজ পরিহার করে চললেই তাকওয়া অর্জন করা সম্ভব।
রমযান এ তাকওয়া অর্জনের মাস। তাই রমযান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক মহা নিয়ামত ও ফযিলতপূর্ণ মাস। পূর্ণ একমাস রোযা রেখে আত্মসংযম ও মানবীয় মহৎ গুণাবলী অর্জনের চেয়ে বড় কোন সাফল্য জীবনে নেই। এ সাফল্য অর্জনের যে আনন্দ, ঈদের দিন সে আনন্দেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। তাই ঈদের আনন্দের কোন তুলনা নেই।
ইফতারের সময় রোযাদারের জন্য এক অতি আনন্দঘন মুহূর্ত। ইফতার সামনে নিয়ে দো’আ-কালাম পড়ে আযানের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার গ্রহণ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। ইফতারের সময় যে দো’আ করা হয়, আল্লাহ্ তা কবুল করেন। ইফতারের সময় পরিবারের সকলে একসঙ্গে ইফতার করার আনন্দই আলাদা। অনেক সময় পরিবার-পরিজন ছাড়াও প্রতিবেশি, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করা হয়। গরীব-মিসকিনদের মধ্যেও ইফতারি বিতরণ করা হয়। কারণ রোযাদারকে ইফতার করালে একটি পূর্ণ রোযার সওয়াব পাওয়া যায়। তাই আমরা নিজেরা শুধু ইফতার করি না, অন্যদেরকেও আগ্রহের সাথে ইফতার করাই। এভাবে ইফতারের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে সাম্য-সমতা ও ভ্রাতৃত্বের এক প্রীতিপূর্ণ মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়। এজন্য আল্লাহর রাসূল স. বলেনঃ “রোজাদারদের জন্য দু’টি আনন্দ, একটি হলো ইফতার, অন্যটি আল্লাহর দীদার বা সাক্ষাৎ।”
রমজান মাসে ‘লাইলাতুল কদর’ নামে আরেকটি অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ রাত রয়েছে। এ রাতের মর্যাদা সম্পর্কে আল-কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘লাইলাতুল কাদরে খাইরুম্মিন আল্ফে শার্হ’- অর্থাৎ কদরের রাত্রি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। অর্থাৎ হাজার মাস ইবাদত করলে যে ছওয়াব, কদরের এক রাত্রি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটালে তারচেয়ে বেশি ছওয়াব হাসিল করা যায়। এ রাতের এত অধিক মর্যাদার কারণ এই যে, এ রাতেই

মহান আল্লাহ্ মানবজাতির জন্য আল-কুরআন নাযিল করেন। আল-কুরআন হলো সমগ্র মানবজাতির জন্য হিদায়াত গ্রন্থ। এটা শুধু মুসলিমজাতির জন্য নয়, সমগ্র মানবজাতির জন্য। আল্লাহ্ মুসলমানদের যেমন স্রষ্টা, অন্য সকল মানুষ, জীব-জন্তু, কুলমখলুকাত সবকিছুরই স্ররষ্টা। মানবজাতিকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেয়ার উদ্দেশ্যেই তিনি মহাগ্রন্থ আল-কুরআন নাযিল করেছেন। যুগে যুগে নবী-রাসূলদের প্রেরণ করেছেন। তাই কুরআনের মাস হিসাবে রমযান মাসের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে।
রোযার মাস শেষ হওয়ার আগেই যাকাত ও ফিতরার টাকা হিসাব করে গরীব-মিসকিনদের মধ্যে বিতরণ করা কর্তব্য। এসময় যাকাত ফিতরার টাকা গরীব-মিসকিন ও দরিদ্র আত্মীয়-স্বজন-প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করা কর্তব্য। এরফলে গরীব-মিসকিনরাও ঈদের আনন্দে সমভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। ঈদের দিন ফযরের নামায পড়ে অযু-গোসল ও পরিষ্কার জামা-কাপড় পরে আগেভাগে ঈদগাহ্তে যাওয়া সুনড়বত। যাওয়ার সময় একপথে, ফেরার সময় অন্য পথে এবং যাওয়া-আসার সময় তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করা সুন্নত। এভাবে ঈদের আনন্দ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। ঈদের দিনে এখন সর্বত্র জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের “রমযানের ঐ রোযার শেষে এলো খুশীর ঈদ” গানটি গাওয়া হয়। ঈদের আনন্দ সকলের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়া সুনড়বত। এজন্য জাতীয় কবি নজরুল বলেন-
‘ইসলাম বলে, সকলের তরে মোরা সবাই,
সুখ-দুখ সম-ভাগ করে নেব সকলে ভাই।’
(কাজী নজরুল ইসলাম/ঈদ-মোবারক)

Share.

মন্তব্য করুন