শান্তির যুদ্ধ

যুদ্ধ! শব্দটা শুনলেই শিউরে ওঠে আমিন। ভয়ে কেঁপে ওঠে সে। যুদ্ধ তার একেবারেই পছন্দ নয়। তবু নানাভাই বললেন, আজ তিনি যুদ্ধের গল্প শোনাবেন। তার ভাষায়, যুদ্ধ মানেই ধ্বংসের উৎসব নয়! কিছু যুদ্ধ কখনো কখনো অনিবার্য হয়ে ওঠে। হয়ে ওঠে প্রয়োজনীয়। শান্তির জন্য। মানবতার জন্য। কবি বলেছেনÑ
‘একটি যুদ্ধ কেড়ে নিতে পারে
স্বপ্নের রাঙা ফুলÑ
আরেক যুদ্ধ এনে দিতে পারে
শান্তির উপকূল!
এই শান্তির জন্যÑ
যুদ্ধ করেই আমরা হয়েছি ধন্য!’
তাহলে বুঝতেই পারছো, কোন্ যুদ্ধের কথা বলছি। বললেন নানাভাই। বলছি, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা। মুক্তিসংগ্রামের কথা। সেদিন আমরা সাহসে জ্বলে উঠেছিলাম। এ জ্বলে ওঠা ছিল একেবারেই অনিবার্য! এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না আমাদের! আর এমন যুদ্ধের অনুমতি আছে আল্লাহর পক্ষ থেকেই! আল্লাহ বলেছেন, “যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হলো তাদের, যারা আক্রান্ত হয়েছে। কারণ, তাদের প্রতি করা হয়েছে অত্যাচার। নিশ্চয় আল্লাহ তাদের সাহায্য করতে সক্ষম!” (সূরা হজ : ৩৯)
গল্প এগিয়ে চলছে ধীরে ধীরে। নানাভাই আমিনকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে! আমিন জানতে পারছে অনেক অজানা কথা! সে শুনছে আর অবাক হচ্ছে। সাহসে জ্বলে উঠছে সেও। ভাবছে, সেও যদি যোদ্ধা হতে পারতো! মুক্তিযোদ্ধা! তাহলে রুখে দাঁড়াতো অন্যায়ের বিরুদ্ধে। শোষণের বিরুদ্ধে!
নানার হাতে হাত রাখলো আমিন। বলল, এ দেশকে বাঁচাতে যদি আবারো যুদ্ধের ডাক আসে, ছুটে যাবে সে। নানা বললেন, হ্যাঁ! বেঁচে থাকলে আমিও যাবো তোমার সাথে!

আবু মিনহাল

Share.

মন্তব্য করুন