সুপ্রিয় ভাই ও বোনেরা
সবাইকে সালাম, প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আশা করছি তোমরা ভালো আছো বন্ধু। কামনাও তাই। এই লেখার সূচনাপর্বে তোমাদের জানাই নববর্ষ ১৯১৮ সালের লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।

সুপ্রিয় বন্ধু
নতুন বছরে তোমরা নতুন শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছো, নতুন শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ায় তোমাদের অভিনন্দন। দশম শ্রেণি পর্যন্ত তোমরা ক্লাসের নতুন বইও ইতোমধ্যে হাতে পেয়েছো। এখন থেকে তোমরা ঠিক মতো লেখাপড়ায় মনযোগী হবে। তাহলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে শতকরা ১০০ ভাগ শিক্ষিত মানুষের কর্ম প্রেরণায়। বন্ধুরা! নতুন বছরে তোমাদের জন্য কিছু কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করছি:
শ্রেণি-পাঠ্য অধ্যয়ন
সারা বছরে তোমাদের প্রধানত দুটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বইভিত্তিক সিলেবাসও বছরের প্রারম্ভে প্রদান করা হয়। সিলেবাসের আলোকে প্রতি পরীক্ষার পূর্বে অবশ্যই নির্দিষ্ট পাঠ শেষ করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যে বইগুলো নিজেই কোর্স কমপ্লিট করতে পারো, নতুন বই হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই সেগুলো পড়ে শেষ করে নেবে। যেমনÑ বাংলা, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ধর্ম, কৃষিকথা, গার্হস্থ্য অর্থনীতি, তথ্যপ্রযুক্তি ইত্যাদি; এ বিষয়গুলো নিজেই পড়ে নিতে পারো। আর ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান (রসায়ন, পদার্থ, জীববিদ্যা), হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক পাঠদানের পর নিজের আয়ত্তে নিয়ে এসো। আর ক্লাসের প্রতিদিনের পাঠ প্রতিদিনেই সম্পন্ন করবে। পরিকল্পনা থাকবে পরীক্ষার পূর্বে সব বিষয় যেন ২-৩ বার শেষ করা যায়। যদি এভাবে তোমরা প্রস্তুতি নিতে পারো, তাহলে পরীক্ষায় অবশ্যই ভালো ফলাফল করবে ইনশাআল্লাহ্।
সাহিত্য পাঠ
বন্ধুরা, সিলেবাসভিত্তিক নির্ধারিত বইয়ের বাইরে বিচিত্রধর্মী বই পাঠ করে তোমরা সহজেই তোমাদের জ্ঞানভা-ারকে সমৃদ্ধ করতে পারো। মহা মনীষীগণের জীবনী গ্রন্থ, ধর্মগ্রন্থ, ভ্রমণকাহিনী, ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, সাধারণ জ্ঞান, সায়েন্স ফিকশন, ক্রীড়াজগৎ ইত্যাদি প্রকরণের বই পাঠ করলে এক দিকে তোমরা যেমন আনন্দ উপলব্ধি করবে, অপর দিকে তোমাদের সৃজনশীল ও মননশীল সত্তাও জাগরিত হবে।
মানবহৃদয়ের বিচিত্র অভিব্যক্তি ও ব্যঞ্জনা উপলব্ধি করা যায় বই পড়ার মাধ্যমে। ত্যাগের কাহিনী, বীরত্বের মহিমা, সত্যের জন্য আত্মদান, নানা দেশের ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক বৃত্তান্ত মানুষকে উদার হতে শেখায়। ভালো বই কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনকে শুদ্ধ করে। মানুষ খুঁজে পায় যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠার ঠিকানা। মনের জানালা খুলে যায়, উঁকি দেয় উদার আকাশ। গ্রন্থপাঠের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ ও জাতির বিচিত্র জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্প-সাহিত্যের ধারার পরিচয় জানা যায়। কূপমন্ডূকতার আঁধার বিদূরিত হয় জ্ঞানের আলোকশিখায়।
নিজের দেশকে জানো
একজন মানুষ দেশের আলো-বাতাসে বড় হয়ে ওঠে। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির ধারায় গঠিত হয় তার মানস-প্রবণতা। এ জন্যই আমাদেরকে স্বদেশ সম্পর্কে জানতে হবে। দেশকে জানতে হবে নিষ্ঠা ও ভালোবাসায়। জানতে হবে দেশের ভূ-প্রকৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে। সবচেয়ে বেশি জানা প্রয়োজন দেশের মানুষকে। দেশের মানুষকে জানতে হলে তাদের সঙ্গে মিশতে হবে। অংশগ্রহণ করতে হবে উৎসবে-অনুষ্ঠানে, খেলায়-মেলায়, আহারে-বিহারে। সারা বছরে বিভিন্ন ছুটিতে (যেমন- ঈদ, পূজা, গ্রীষ্ম, শীতে) মা-বাবার সঙ্গে তোমরা দেশভ্রমণে বের হতে পারো। বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, সৌন্দর্যের লীলাভূমি পতেঙ্গা, কুয়াকাটা, সুন্দরবন, সিলেট, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙ্গামাটিসহ সারা দেশেই তোমরা ভ্রমণ করে দেশের ভূপ্রকৃতি ও জনজীবন সম্পর্কে অবহিত হতে পারো। দেশমাতৃকার সন্তান হিসেবে নিজের দেশকে জানা প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষেরই দায়িত্ব।
নৈতিকতায় উজ্জীবিত হও
মানুষের জীবনবোধের সঙ্গে নৈতিকতার একটি অবিচ্ছেদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কারণ মানুষ প্রাণিজগতের সদস্য হলেও পশু নয়। মানুষের সাধনা মনুষ্যত্ব অর্জনের সাধনা। সেই সাধনার লক্ষ্য এমন কিছু বিশেষ গুণাবলি অর্জন- যা মানুষকে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত বিচার করার শক্তি দেয় এবং অসৎ কাজ ও প্রবৃত্তিকে পরিহার করে। এই নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতেই গড়ে ওঠে মানব সমাজ। মানব জীবনের ভালো-মন্দ, উৎকর্ষ-অপকর্ষ বিচারের মানদ- হলো নৈতিক মূল্যবোধ।
নৈতিক মূল্যবোধ মানব চরিত্রকে করে তোলে সুষমাম-িত। ধর্মের কল্যাণধর্মী মর্মবাণী অনুসরণ করা, মিথ্যাকে পরিহার করা, সত্য ও ন্যায়ের আদর্শে পরিচালিত হওয়া, সজ্ঞানে অন্যের ক্ষতি না করা, পরহিতব্রতে যথাসম্ভব নিজেকে সমর্পণ করা- এসবের মাধ্যমেই মানুষের জীবনে নৈতিক মূল্যবোধের উজ্জ্বল প্রকাশ ঘটে। নৈতিক মূল্যবোধে আলোকিত মানুষ সমাজে যতই বাড়ে, ততই সমাজ জীবন হয়ে ওঠে নিষ্কলুষ ও সৌন্দর্যম-িত।
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ দুর্নীতি বিস্তৃতি লাভ করেছে। নীতিহীন ও বিবেকহীন মানুষ সদম্ভে সমাজে বিচরণ করছে এবং ন্যায়নীতির কণ্ঠরোধ করার জন্য তারা শক্তি প্রদর্শন করছে। অন্যায় ও অবৈধ পন্থায় বিত্তের পাহাড় গড়ছে লুটেরা ধনীরা। তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা কেন্দ্র, বিচারব্যবস্থাসহ সর্বত্র দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
নৈতিক অবক্ষয় রোধে সামাজিক ও প্রশাসনিক পর্যায়ে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সময়ের দাবি। প্রিয় বন্ধুরা, নৈতিকতার বিপরীতে কোন অনৈতিক কর্মকা-ে তোমরা জড়িত হবে না।
শিষ্টাচারী হও
আচরণে ভদ্রতা ও সুরুচিবোধের যৌক্তিক মিলনের নাম শিষ্টাচার। শিষ্টাচার মনের সৌন্দর্যের বাহ্য উপস্থাপনা। সাধারণভাবে চালচলন, কথাবার্তায় যে ভদ্রতা, শালীনতা আর সৌন্দর্যের পরিচয় পাওয়া যায়, তা-ই শিষ্টতা। শিষ্টাচার ব্যক্তিজীবনের যেমন, তেমনি সমাজ জীবনেরও গৌরবসূচক আভরণ।
অহঙ্কার অন্যকে ছোট ভাবতে শেখায়। শিষ্টতা বিপরীতভাবে মানুষকে সম্মান করতে শেখায়। কদর্যতা আর অশ্লীলতা শিষ্টাচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। কাজেই ব্যক্তিকে হতে হয় আচরণে মার্জিত, বক্তব্যে সৎ, সরল এবং স্পষ্ট।
বিনয় মানুষকে ছোট করে না, বরং পরায় সম্মানের মুকুট। এই বিনয় শিষ্টতার অঙ্গভূষণ। শিষ্টাচারী ব্যক্তি দরিদ্র হতে পারে, কিন্তু তার সৌজন্য আর বিনয়ের মাধ্যমে সে সকলের প্রিয়তা অর্জন করে। শিষ্টজন সহজেই অর্জন করেন অন্যের আস্থা। অন্যের সহানুভূতি লাভ করার জন্য শিষ্টতাই উত্তম। অপর দিকে শিষ্টাচারীকে সকলে সম্মানের চোখে দেখে। সামাজিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার জন্য শিষ্টাচারের বিকল্প নেই। এর ফলে আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে সকলের আন্তরিকতা প্রকাশ পায়। চূড়ান্ত পর্যায়ে আসে সুষম উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধি। বন্ধুরা! তোমরা শিষ্টাচারী হও, তাহলেই পাবে জীবনে সফলতা।
বন্ধু নির্বাচনে সচেতনতা
মানুষ সামাজিক জীব। একাকী জীবন যাপন করা তার পক্ষে অসম্ভব। জীবনের যথার্থ ও সুষ্ঠু বিকাশের জন্য প্রয়োজন সৎ সাহচর্যের। সৎ সাহচর্য তৈরি করে সৎ মানুষ। প্রবাদে আছে ‘সৎ সঙ্গ স্বর্গবাস, অসৎসঙ্গ সর্বনাশ’। অসৎ সঙ্গ মানুষকে চরম অন্ধকারের পথে নিয়ে যায়। অপর দিকে একজন সৎসঙ্গী মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসতে পারে। জীবন গঠনে ও জীবনের বিকাশে সৎসঙ্গের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সুতরাং, নিজেদের বন্ধু নির্বাচনে সৎ বন্ধুকে অগ্রাধিকার দাও। যারা অসৎ ও কপট বলে তোমার ধারণা হয়, তাদের সংস্রব পরিহার করো।
আদর্শ চরিত্র গঠন
চরিত্র মানব জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট গুণাবলির অন্যতম। কথা-বার্তায়, কাজ-কর্মে এবং চিন্তা-চেতনায় একটি পবিত্র ভাবই চরিত্র। চরিত্র মানুষকে ন্যায় ও সৎপথে পরিচালিত করে। চরিত্রই মনুষ্যত্বের পরিচায়ক। সততা, সত্যনিষ্ঠা, প্রেম, পরোপকারিতা, দায়িত্ববোধ, শৃঙ্খলা, অধ্যবসায় ও কর্তব্যপালন হলো চরিত্রের মৌলিক উপাদান। এ গুণগুলো মানুষ যখন সহজে নিজের মধ্যে বিকশিত করে তোলে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার প্রতিটি কথা ও কাজের মাধ্যমে তা ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়, তখন উত্তম চরিত্র তার স্বভাবে পরিলক্ষিত হয়।
কিশোর-কিশোরী বন্ধুরা আদর্শ চরিত্র গঠনে মা-বাবার আনুগত্য অন্যতম শর্ত। মা-বাবা সন্তানের অভিভাবক। তাদের উপদেশ পালন করা তোমাদের প্রধান কাজ। কেউ যদি মা-বাবার কথা পালনে অবহেলা করে, তাহলে সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আদর্শ চরিত্র গঠনে ধর্মগ্রন্থের বাণীগুলো অধ্যয়ন-অনুশীলনের মাধ্যমে আত্মস্থ করা এবং ধর্মীয় অনুশাসন পালন করা তোমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মহাগ্রন্থ আল কুরআন মহান আল্লাহ্ তায়ালার বাণী। যারা পবিত্র কুরআনুল কারিম পড়তে পারো, তারা প্রতিদিন সকালে অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ সর্বনি¤œ তিন থেকে পাঁচ আয়াত অধ্যয়ন করতে পারো (বেশি পড়তে পারলে তো আরো ভালো)। আর যারা কুরআনুল কারিম পড়তে পারো না, তাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াতের। পবিত্র কুরআনুল কারিমের ব্যাখ্যা হলো হাদিস ও বিভিন্ন ইসলামি সাহিত্য। সময়-সুযোগ মত তোমরা হাদিসে রাসূল (সা) ও ইসলামি সাহিত্য অধ্যয়নেরও চেষ্টা করবে। তোমরা যদি কুরআন, হাদিস ও ইসলামি সাহিত্য অধ্যয়ন করো, তাহলে ইসলামি জীবন বিধান সম্পর্কে অবহিত হয়ে তদনুযায়ী জীবন-যাপন করতে পারবে।
তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান
কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগের ফলে সমগ্র বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্তের কম্পিউটার থেকে অন্য প্রান্তের আর একটি কম্পিউটারে ছবিসহ যাবতীয় তথ্য দ্রুত সংগ্রহ ও প্রেরণ করা যায়। ইন্টারনেট একটি বিশাল ‘নেট ওয়ার্কিং সিস্টেম’, যার বিস্তৃতি পৃথিবীময়। বিশ্বের হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের তথ্য আদান-প্রদানে কোটি কোটি মানুষের ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে ইন্টারনেট।
ইন্টারনেটের ব্যবহার মানবজীবনে এনেছে বিপুল পরিবর্তন। এই যোগাযোগের জাল আজ অসম্ভবকে করেছে সম্ভব। এর সাহায্যে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে তথ্য প্রেরণ ও নতুন তথ্য সংগ্রহ করা যায় খুব সহজে। রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, বিনোদন ও বিপণনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্প্রসারিত হচ্ছে।
ইন্টারনেটের সেবাগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলি হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, ই-মেইল, নিউজ গ্রুপ, টেলনেট, গোফার ও ফাইল ট্রান্সফার। ১৯৯৩ সালের ১১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হয়।
ইন্টারনেটের কিছু খারাপ দিক রয়েছে। এর মাধ্যমে কিছু অসাধু ব্যবহারকারী বা ভোক্তা মিথ্যা তথ্য আদান-প্রদান, কিংবা জুয়া খেলার মতো অনুচিত কাজ করে থাকে। কেউ কেউ কম্পিউটারে ভাইরাস তৈরি করে তা ইন্টারনেটের মাধমে ছড়িয়ে দেয়, ফলে কম্পিউটারের সফটওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বর্তমানে ইন্টারনেটের সাহায্যে মোবাইল বা কম্পিউটারে ‘ফেসবুক’-এ আসক্ত হয়ে পড়ছে বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরী ও তরুণ সমাজ। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে শহরাঞ্চলে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শতকরা ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী মোবাইলের ফেসবুকে আসক্ত। ক্লাস চলাকালেও তারা ফেসবুকে চ্যাটিং করে। সরকার মোবাইল কোম্পানির কাছ থেকে শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট নিয়ে সবার জন্য ইন্টারনেট উন্মুক্ত করে দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে ক্ষতির দিকে ধাবিত করছে। তোমাদের নিজ উদ্যোগেই ফেসবুকের আসক্তি থেকে দূরে সরে আসতে হবে। শরীর চর্চা, খেলাধুলা ও পত্রিকা পাঠে সময় অতিবাহিত করতে পারো। তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন করো, তবে তাকে অনৈতিক পথে ব্যয় করো না।
সুপ্রিয় বন্ধুরা
নতুন বছরের সূচনালগ্নে তোমাদের জন্য কিছু পরামর্শ ও কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করলাম। তোমরা যদি এ পরামর্শ ও কর্মপরিকল্পনা অনুসরণ করতে পারো, তাহলে অবশ্যই উপকৃত হবে। আগামী দিনে তোমরাই হবে জাতির কর্ণধার, জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজ-কাঠামোর উন্নয়নে তোমরা রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তোমাদের এখন প্রধান দায়িত্ব নিজেকে গড়া, নিজেকে গড়তে পারলেই কর্মজীবনে তুমি সমাজকে গড়তে পারবে। আর নিজেকে গড়তে না পারলে তুমি সমাজ থেকে ছিটকে পড়বে। আমাদের শুভকামনা ও প্রত্যাশা থাকবে তোমাদের জীবন হোক জ্ঞানের আলোয় আলোকিত, সত্য ও সুন্দরের সাধনায় উদ্ভাসিত।

Share.

মন্তব্য করুন