শীত! নাশিতের প্রিয় ঋতু। খুব প্রিয়। আর তার প্রিয় ঋতুর প্রিয় মুহূর্ত হচ্ছে সকালবেলা। যখন হালকা রোদের উম ছড়িয়ে পড়ে শিশিরকণায়। পাতায় পাতায়। লাউয়ের ডগায়। পুঁইয়ের মাচায়। এখানে- সেখানে। সর্বত্র। যখন সোনার আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠে চারদিক!
এমন রঙিন সময়ে রোদের কোলে পিঠ এলিয়ে দিতে নাশিতের ভালো লাগে। ভালো লাগে খেজুর রসে ডুবানো পিঠা-পুলির সাথে মিতালি গড়তে। গরম চায়ের কাপে চুমুক দিতে। আবার খারাপও লাগে! যখন শোনে, হাড়কাঁপানো শীতে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। মারা যাচ্ছে। বিশেষ করে, উত্তরবাংলায়। শীতের সৌন্দর্য তখন মলিন মনে হয় তার কাছে।
শীতের এক সকালে নানাভাইয়ের সাথে গল্প হচ্ছে নাশিতের। নানার মুখে নানা গল্প! বড় হওয়ার গল্প! দেশের গল্প! বাদ পড়েনি শীতের কথাও। নাশিত তখন বলেই ফেলল শীতকে ভালো লাগার কথা এবং ভালো না লাগার কথা!
নানাভাই বললেন, শীতের গল্প জানো? শোনো তাহলে। জাহান্নাম একবার অভিযোগ করে বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক! তীব্র উত্তাপের কারণে আমার এক অংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলছে। তখন আল্লাহ তাকে দু’টি নিঃশ্বাসের অনুমতি দিয়েছেন। মহানবী (সা) বলেছেন, তোমরা গরম অনুভব করো, জাহান্নামের গরম নিঃশ্বাসের কারণে! আর শীত অনুভব করো, জাহান্নামের শীতল নিঃশ্বাসের কারণে! (বুখারি)
ভাবনায় পড়ে গেল নাশিত! বলল, তাহলে কি শীতকে অপছন্দই করতে হবে? নানাভাই হেসে বললেন, অবশ্যই না! শীতের প্রকৃতি উপভোগ করাতে কোনো দোষ নেই। দোষ নেই তার কোমল রূপকে ভালোবাসতেও। আর, হ্যাঁ! শীতের পিঠাও যত ইচ্ছা খেতে পারো! তবে একা নয়। সবাইকে নিয়ে! তবে, শীত থেকে জাহান্নামের চরম হিমশীতল শাস্তির আভাস পাওয়া যায়। তাই আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে বেশি বেশি। দাঁড়াতে হবে শীতার্ত মানুষের পাশেও।
নাশিত বলল, ইনশাআল্লাহ! নানাভাইও কণ্ঠ মেলালেন তার সাথে।

আবু মিনহাল

Share.

মন্তব্য করুন