প্রিয় বন্ধুরা, এখন ডিসেম্বর মাস। বিজয়ের মাস। আমাদের আনন্দের মাস। খুশির মাস। দেখনা, আমাদের প্রাণপ্রিয় লাল সবুজের পতাকা মাথা উঁচু করে পতপত করে উড়ছে। তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে, দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ-সংগ্রাম এবং বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই মহান বিজয়। তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, এই সংগ্রাম, আন্দোলন ও যুদ্ধ কিন্তু মাত্র নয় মাসের ফসল নয়। এর অতীতে রয়েছে এক বিশাল সংগ্রামী ইতিহাস। সেদিকে আমরা একটু দৃষ্টি ফেরাই।
স্বাধীনতার লাল-সবুজ পতাকা আজ বিশ্বব্যাপী পরিচিত। অবিরাম সংগ্রামের ফসল আজকের স্বাধীনতা। ১৭৫৭ সালে পলাশীর আ¤্রকাননে স্বাধীনতার পতাকা অস্তমিত যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে আমাদের সংগ্রাম। নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে রক্তের নদী মাড়িয়ে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীনতা। এই মুক্তির সংগ্রাম ছিল শোষণ নিপীড়ন জুলুম নির্যাতন অনাচার অবহেলার বিরুদ্ধে। এই মুক্তিযুদ্ধ ছিল দাবিয়ে রাখার বিরুদ্ধে, কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে। এই সংগ্রাম আজও চলছে অবিরত।
প্রখ্যাত লেখক, গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, স্বাধিকার সংগ্রাম থেকেই মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা। আজ যদি সেই জাতীয়তাবাদী চেতনা বিসর্জন দিয়ে পশ্চিমি সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ করি তা আমাদের চরম দীনতা ও নৈতিক পরাজয়। আমাদের বিশ্বায়নের প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন বাংলায়ন। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন, প্রায় আড়াই শ’ বছর আগে বলেছিলেন, দ্য প্রাইস অব ফ্রিডম ইজ এটারনাল ভিজিল্যান্স, অর্থাৎ স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সদা সতর্ক থাকতে হয়। নাগরিকের সার্বক্ষণিক পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। অন্যভাবে বলতে গেলে, ইভেন ফ্রিডম ইজ নট ফ্রি বা বিনা ত্যাগে স্বাধীনতা অর্জন করা যায় না। বস্তুত, যে জাতি অতন্দ্রপ্রহরীর ভূমিকা পালনে যত বেশি উদগ্রীব, নিষ্ঠাবান ও সক্রিয়, স্বাধীনতা তাদের জন্য তত বেশি অর্থবহ, তত বেশি তারা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করে।
স্বাধীনতার মূল্য দিতে হয় সাধারণত দুইবার। একবার স্বাধীনতা অর্জনের জন্য, অনেক ক্ষেত্রে চরম আত্মত্যাগের বিনিময়ে। আরেকবার মূল্য দিতে হয় স্বাধীনতা রক্ষার জন্য, নাগরিকের অতন্দ্রপ্রহরী তথা সর্বদা সতর্ক ভূমিকা পালনের মাধ্যমে। স্বাধীনতা অর্জন ও এর সত্যিকারের সুফল ভোগ করতে হলে উভয় ধরনের মূল্যই দিতে হয়। কারণ ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হলেই নাগরিকদের কাছে আপনাআপনি তার সুফল পৌঁছায় না। এর জন্য তাদের সজাগ ভূমিকা অপরিহার্য। বস্তুত, যে সমাজে যত বেশি মানুষ, সর্বস্তরের মানুষ এমন ভূমিকা পালন করে, সে সমাজ তত বেশি উন্নত, সমৃদ্ধ তথা বাসযোগ্য।

স্বাধীনতা আসলে কী : স্বাধীনতা একটি শর্ত, যেখানে একটি জাতি, দেশ বা রাষ্ট্র বা জায়গা যেখানে জনগণ থাকবে, নিজস্ব শাসনব্যবস্থা এবং সাধারণত কোন অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব থাকবে। স্বাধীনতার বিপরীত হচ্ছে পরাধীনতা। তবে স্বাধীনতা মানে যা খুশি তা করা নয়।
স্বায়ত্তশাসন বলতে এক ধরনের স্বাধীনতা বোঝায়, যেখানে কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করে এবং নিজের কর্তৃত্বও বজায় থাকে। এখন স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কাতালোনিয়া স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সংগ্রাম করছে।
একটি দেশের বা রাজ্যের স্বাধীনতা লাভের অনেক উদ্দেশ্য থাকে। স্বাধীনতা লাভের উপায়গুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ যেমন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে, সহিংসতা যেমন গৃহযুদ্ধ হতে পারে।

আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম : ১৪৯৮ সালে ইউরোপিয়ান ব্যবসায়ী লাভজনক মসলা বাণিজ্যের অনুসন্ধানে পর্তুগিজ বণিক ভাস্কো-দা-গামা ভারতের পশ্চিম তীরে কালিকট বন্দরে আগমন করেছিল। ১৭৫৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে বাংলায় কোম্পানি শাসনের সূচনা করে। এটিই ভারতে ব্রিটিশ রাজের সূচনা হিসেবে বিস্তীর্ণভাবে দেখা হয়। ১৭৬৫ সালে বক্সারের যুদ্ধে জয়ের ফলে, কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার ওপর প্রশাসনিক অধিকার লাভ করেছিল। তারপর তারা ১৮৩৯ সালে মহারাজা রণজিৎ সিং-এর মৃত্যুর পর প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ (১৮৪৫-১৮৪৬) ও দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধের পর পাঞ্জাবও তাদের অধিকারে এনেছিল।
ব্রিটিশদের প্রায় দুইশত বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন অঞ্চলে, কৃতিমানদের নেতৃত্বে আন্দোলন, সংগ্রাম, বিপ্লব পরিচালিত হয়। ব্রিটিশবিরোধী লড়াইয়ে প্রধান হিসেবে প্রথমেই বুক পেতে দাঁড়িয়েছিলেন আলেম-উলেমারা।
বিদেশী নিয়মের বিরুদ্ধে কতিপয় আঞ্চলিক আন্দোলন ১৮৫৭ সালের আগে ভারতের বিভিন্ন অংশে গড়ে উঠেছিল। ১৫৫৫ থেকে ১৫৭০ থেকে কর্নাটকে পর্তুগিজদের বিরুদ্ধে আব্বাক্কা রানীর বিদ্রোহ, ১৭৭০ সালে বাংলায় সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, গোয়ায় পর্তুগিজ নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে ১৭৮৭ নৃ-তাত্ত্বিক বিদ্রোহ যা পিন্টোস ষড়যন্ত্র হিসেবে পরিচিত, ১৮৩০ সালে সাঁওতাল বিদ্রোহরূপে বাংলাতে তিতুমীরের ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ভারতে ভীরাপান্ডা কাট্টাবমান বিদ্রোহ, কর্নাটকে রানী চেন্নামার কিট্টুর বিদ্রোহ, সৌরাশট্রে কচ্ছ বিদ্রোহে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ বিতাড়নের পরও আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষ হয়নি। পাকিস্তানি শাসকের শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে আবারো গর্জে ওঠে এদেশের মানুষ। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন, ’৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে এসব কিছু আমাদের অতীতের গৌরবময় ইতিহাস বহন করে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের শোষণ আর বৈষম্যের শৃঙ্খল ভেঙে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। এ দিনটি হচ্ছে এই জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিবস। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। টানা নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর এই দিন বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। তার আগে পাকবাহিনী এদেশের মুক্তিকামী মানুষের ওপর নৃশংস বর্বরতা চালায়।

স্বাধীনতার মূলে কী : প্রখ্যাত কলামিস্ট এরশাদ মজুমদারের মতে, আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের অন্যতম প্রধান উপাদান হচ্ছে আমাদের ধর্ম। আমাদের ধর্মের একটা সংস্কৃতি আছে। যার সাথে মিশে আছে আমাদের ভৌগোলিক ও আঞ্চলিক সংস্কৃতি। এর আগে বহুবার লিখেছি যে, আমরা মুসলমান বলেই আজ স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি আরেকটি কথা প্রায়ই নিয়মিত বলে থাকি- সব জাতিরই একটা বায়া দলিল আছে। সে দলিল হারিয়ে গেলে বা ভুলে গেলে আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন হয়ে পড়বে। কেন স্বাধীন হয়েছি এটা না জানলে স্বাধীনতা থাকবে কেন? এদেশের মুসলমানের মূল ইতিহাস আমাদের অবশ্যই জানতে হবে।

স্বাধীনতার ব্যাপারে ঐশী ধারণা : ড. ইউসুফ আল কারজাভির মতে, ইসলাম তার ঊষালগ্নেই স্বাধীনতার মূলনীতি ঘোষণা করেছে। বিশ্বাসীদের নেতা, আমিরুল মু’মিনিন হযরত ওমর ইবনে খাত্তাবের (রা.) সেই বিখ্যাত উক্তিটি আমরা স্মরণ করতে পারি, যেখানে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ‘পৃথিবীর বুকে তুমি মানুষকে ক্রীতদাসে পরিণত করেছো, অথচ তার মা তাকে স্বাধীন মানুষ রূপেই জন্ম দিয়েছেন।’ চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা.) একবার কিছু লোককে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘সৃষ্টির শুরু থেকে আল্লাহই যখন তোমাকে স্বাধীন মানুষ করে সৃষ্টি করেছেন, তখন কোনো মানুষ কখনো তোমাকে দাস বানাতে পারে না।’
আল্লাহ মানুষকে স্বাধীন করেই সৃষ্টি করেছেন এবং এই স্বাধীনতা নিয়েই মানুষ জন্মগ্রহণ করে এবং তার জন্মগত অধিকার হচ্ছে কেউ তাকে তার এই স্বাধীনতা ভোগের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না এবং জোর-জবরদস্তি তাকে দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দি করবে না। ইসলাম যখন স্বাধীনতাকে তার মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করে তখন সময়টি ছিল এমন যে, অধিকাংশ মানুষ বুদ্ধিবৃত্তিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় এবং অর্থনৈতিকভাবে আক্ষরিক অর্থেই ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছিল।
মানুষের এই বহুরূপ দাসত্ব-শৃঙ্খলের বিরুদ্ধে ইসলাম স্বাধীনতা ঘোষণা করল। বিশ্বাসের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা এবং সমালোচনার স্বাধীনতা সব ক্ষেত্রেই ইসলাম এই স্বাধীনতা দিয়েছে। আর চিরকাল ধরে এসব বিষয়েই মানুষ তাদের স্বাধীনতা প্রত্যাশা করে আসছে।
ইসলামের একটি সোনালি আইন হচ্ছে- নিজের এবং অন্যের কারো ক্ষতিই করা যেতে পারে না। সুতরাং ক্ষতিকর সব স্বাধীনতাই প্রতিরোধযোগ্য এবং নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। মনে রাখা উচিত, আপনার স্বাধীনতার সমাপন অন্যের স্বাধীনতার সূচনা করে। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায়, রাস্তায় চলাচল কিংবা গাড়ি চালানোর অধিকার আপনার রয়েছে, কিন্তু তার সাথে শর্ত হচ্ছে আপনাকে ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তাহলে স্বাধীনতার অজুহাতে আপনার দ্বারা পথচারীকে চাপা দেয়া, অন্যের গাড়ির ক্ষতি করা কিংবা ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করা আর সম্ভব হবে না। কারণ লাল বাতি জ্বলাকালীন গাড়ি থামানো বা রাস্তায় সঠিকভাবে গাড়ি চালানোর মত বিধি-নিষেধগুলো সম্পূর্ণভাবেই জনস্বার্থের পক্ষে।

স্বাধীনতা অর্জন ও ঐক্য : একটি স্বাধীনতা অর্জন করেই মানুষের কাজ সমাপ্ত হয় না। কাজের শুরু হয় মাত্র। অর্জিত স্বাধীনতাকে অতীতের সকল জুলুম, নির্যাতন, নিষ্পেশন ও অত্যাচার থেকে মুক্ত করে যখন নিজেদের সকল নাগরিক অধিকারকে নিশ্চিত করা যায়, তখনি কেবল ঐ স্বাধীনতা অর্থবহ হয়। আর স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় শ্রেণীকে অবশ্যই একসাথে দেশ গড়ার কাজ করতে হবে। নচেৎ স্বাধীনতাকে অর্থবহ করা যাবে না।
অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা থাকার পরও স্বাধীনতার পরে দ্রুত উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে অগ্রসর হয়। মালয়েশিয়াই আমাদের সামনে জ্বলন্ত উদাহরণ। যে রাষ্ট্রটি আমাদের থেকেও ১০ বছর পরে ১৯৫৭ সালে ইংরেজদের কাছ থেকে মুক্ত হয়েছিল তারাই আজকে বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে। তার একমাত্র কারণ হলো তাদের দেশের স্বাধীনতা পরবর্তী নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা। এ ছাড়াও আমরা যদি ইউরোপ, আমেরিকার দেশগুলোর দিকে তাকাই দেখতে পাব যে, তারা সব সময় নিজেদের দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে।

দমবো না আমরা : ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। ডিসেম্বর মাস গৌরবের মাস। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান বিজয়ের ৪৬তম বার্ষিকী উদযাপন করছি আমরা। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও আমরা কতটা মুক্তি পেয়েছি? মুক্ত চিন্তার সুযোগ কতটা অবারিত রয়েছে? গণমানুষের শান্তি নিরাপত্তা কতটা সুদৃঢ় হয়েছে?
আমরা বীরের জাতি। যুগ যুগ ধরে এ দেশের মানুষগুলো দেশের যে কোন সমস্যাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাহসিকতার সাথে মোকাবিলা করে আসছে। এদেশের, এ অঞ্চলের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামেই এই জাতি ছিল অগ্রগামী। দলমত নির্বিশেষে এদেশের সকল শ্রেণীর মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম সফল হয়েছিল। বীরের এই জাতি কখনই হারেনি, হারবেও না। আমাদের বিজয়কে আমরা যেকোন মূল্যে অর্থবহ করবো ইনশাআল্লাহ।

Share.

মন্তব্য করুন