ইতিহাসের সেরা বিজ্ঞানী ইমরুল হাসান শুভর ১০২তম জন্মদিন। তিনি এমন একজন বিজ্ঞানী যিনি চারবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ২০৬৭ সালে সংঘটিত চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ থামাতে সক্ষম হয়েছেন। এটি করেছিলেন স্টেমেনিক নামক একটি যন্ত্র দিয়ে। ২০৭৪ সলে টাইম মেশিন আবিষ্কার করেন তিনিই। জন্মদিনের সব অনুষ্ঠান শেষ হলে তিনি তার কম্পিউটার নিয়ে বসেন। কম্পিউটার অন করতেই তার কাছে একটি মেইল এলো। তিনি মেইলটা পড়ার চেষ্টা করলেন কিন্তু এটি ছিল কিছু সংকেত মাত্র। তাই কিছু বোঝার উপায়ও ছিল না। তারপর তিনি একটা কাজ করে বসলেন। তিনি এই মেইলকারীর Location Track করলেন।
দেখা গেলো মেইলকারীর Location তার কাছ থেকে তেমন দূরে নয়। এই New York শহরেই। তিনি হেলিকপ্টার নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। যদিও গভীর রাত তবুও পুরো শহর আলোকিত। একটু যাওয়ার পরই তিনি দেখতে পেলেন ফুটবলের মতো একটা মহাকাশ যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার হেলিকপ্টার যেন কিসে গিলে ফেললো। তিনি জ্ঞান হারালেন।
আজ ৪ঠা মে ২১০২। সব ওয়েবসাইটে শুধু একটাই খবর। প্রাণের বিজ্ঞানী ইমরুল হাসান শুভ কিডন্যাপ হয়েছে। সবার তো একই বক্তব্য এতো সুরক্ষিত নগরী New York থেকে কিভাবে কিডন্যাপ হয়। যেখানে কিনা লাখ লাখ সিসি ক্যামেরা লাগানো। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আবুল হাসনাত রাহাত বলছে এটা আমেরিকার কারসাজি। তিনি বিজ্ঞানী শুভকে উদ্ধার করার জন্য হুঙ্কার উচ্চারণ করলেন। জাতিসংঘের মহাসচিব জাহেদুল আলম অনিক বলল এই কোনো জঙ্গিদের কাজ হতে পারে। তবে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মাহিদ আল ইমরানের বক্তব্যটা একটু ভিন্ন ধরনের- তিনি বলছেন যে অন্য কোনো গ্রহের প্রাণীরা কিডন্যাপ করতে পারে। কিন্তু সবাই এটাকে অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করল।
আজ এক হাজার বছর ধরে পিপাস গ্রহের রাজা রিবানি ভাসন। আজ তার আনন্দের সীমা নেই। কারণ তার আর্মিরা পৃথিবী থেকে বিজ্ঞানী শুভকে কিডন্যাপ করতে সক্ষম হয়েছে। তারা পুরো হেলিকপ্টারসহ কিডন্যাপ করেছে। তখন বিজ্ঞানী শুভ অজ্ঞান। জ্ঞান ফিরার পরই রাজা রিবানি বলতে শুরু করল, বিজ্ঞানী শুভ তুমি এখন পিপাস গ্রহে। তোমার পৃথিবী গ্রহ এখান থেকে ১৭ ট্রিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। তখন রাজা বিরানি বিজ্ঞানী শুভকে নিয়ে গেল তার বিশেষ কক্ষে। আমাকে এখানে আনা হয়েছে কেন? রিবানি সাহেব?
তোমাকে কিডন্যাপ করে আনার জন্য দুঃখিত। কিন্তু এছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
আমাকে কী করতে হবে?
আমি এক হাজার বছর ধরে পিপাস গ্রহের রাজা। সম্প্রতি গবেষণা করে জানতে পেরেছি পিপাস গ্রহে সুপার নোবা বিস্ফোরণ হবে। শেষ হয়ে যাবো আমরা। কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে পিপাস গ্রহ। আমি জানি তুমি এই গ্রহকে রক্ষা করতে পারবে। বিজ্ঞানী শুভ পিপাস গ্রহ পরীক্ষা করে দেখলেন যে এই গ্রহের তাপমাত্র বেশি এবং তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো আষ্কিকার করলেন পৃথিবীতে যে রকম ওজোন স্তর আছে তেমনি পিপাস গ্রহে আছে। কিন্তু পিপাস গ্রহের ওই গ্যাসের স্তরটি প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। বিজ্ঞানী শুভ এর নেতৃত্বে কিছু দিনের মধ্যে এই গ্যাসের স্তরটি রক্ষা পেল। রক্ষা পেল পিপাস গ্রহ। রাজা রিবানি বিজ্ঞানী শুভকে মৃত অবস্থায় পৃথিবীতে পাঠাল। তিনি বেঁচে থাকলে পিপাস গ্রহের সন্ধান পৃথিবীবাসী পেয়ে যেতে পারে। আজ ৩ জুন ২১০২। প্রায় এক মাস পর বিজ্ঞানী শুভ এর লাশ ক্যালিফোর্নিয়ার একটি রাস্তায় পাওয়া গেল। আজ পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণী কাঁদছে। কারণ তাদের প্রাণের বিজ্ঞানী ইমরুল হাসান শুভ আর নেই। কয়েক বার ময়নাতদন্তের পরও কিভাবে মারা গেলো তার হদিসই পেল না। পৃথিবীবাসীর অজান্তেই পিপাস গ্রহ রক্ষা করেছে বিজ্ঞানী শুভ। কিন্তু তার প্রতিদানে কী পেল?

Share.

মন্তব্য করুন