সালাম! সালাম মানেই শান্তি। শান্তির বাণী। এক মুসলিমের প্রতি আরেক মুসলিমের হৃদয়গলা দোয়া। সালামের কথাগুলো কত চমৎকার! ভালোবাসাময়। ‘আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক’! কী মধুর! কী শীতল! এর চেয়ে সুন্দর অভিবাদন আর কী হতে পারে?
– আব্বু একদিন এভাবেই বলেছিল মুমিনকে। সেই থেকে মুমিন সালাম দিতে ভুল করে না। কী ছোট কী বড়। সবাইকে সে সালাম করে। ভালোবেসে। হৃদয় খুলে। এমনকি আব্বু-আম্মুকেও। প্রথম প্রথম তাদের সালাম করতে কিছুটা লজ্জা লাগত। কিন্তু এখন সবই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। খুবই স্বাভাবিক। এখন তো প্রতি সাক্ষাতেই সালাম। প্রতি সাক্ষাতেই ভালোবাসা!
মুমিন। কিশোরমনে নানা সময় নানা প্রশ্ন জাগে তার। সালাম নিয়েও তার একটা প্রশ্ন আছে। কষ্টভেজা প্রশ্ন। খুবই কষ্টের! সে-তো সবাইকেই সালাম দেয়। কিন্তু কিছু মানুষ আছে, যারা সঠিকভাবে সালামের উত্তর দেয় না। কেউ অস্পষ্টভাবে কী যেন বলে। কেউ শুধু মাথা নাড়ায়। এটা তার ভালো লাগে না। একেবারেই না। আব্বুকে বলল এ কষ্টের কথা। আব্বু বললেন, এটা কষ্টের বিষয়ই বটে! কিভাবে সালামের উত্তর দিতে হবে, সে সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, “যখন তোমাদের সালাম জানানো হয়, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তমভাবে উত্তর দাও। অথবা ততটুকু ফেরত দাও, যতটুকু বলা হয়েছে। অবশ্যই আল্লাহ সবকিছুর হিসাব রাখেন।” (সূরা নিসা : ৮৬)
অর্থাৎ কেউ যদি বলে ‘আসসালামু আলাইকুম’; উত্তরে বলতে হবে ‘ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ’। অথবা ‘ওয়া-আলাইকুমুস সালাম’ বলবে। কেউ শব্দ বাড়িয়ে সালাম দিলে বাড়িয়েই উত্তর দিবে। এভাবে ‘ওয়াবারাকাতুহু ওয়া মাগফিরাতুহু’ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার কথা হাদিসে এসেছে। কোনো শব্দ কোনোভাবেই কমানো যাবে না। যেমন কেউ বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’। তার জবাবে শুধু ‘ওয়া-আলাইকুমুস সালাম’ বলা যাবে না। ‘ওয়ারাহমাতুল্লাহ’সহ বলতে হবে, না হয় আরও বাড়িয়ে বলতে হবে।
আব্বুর কথায় নতুন অনেক কিছু শিখল মুমিন। ভাবল, এখন থেকে সে নিজেও এটা আমল করবে এবং বন্ধুদেরও জানাতে ভুল করবে না।
আবু মিনহাল

 

Share.

মন্তব্য করুন