রবের পরিচয়
সাজিদ মাহমুদ

আকাশ মাঝে মেঘের ভেলা
যায় যে খেলা করে,
খোকন সোনার কচি মনটা
খুশিতে যায় ভরে।

মিটি মিটি হাসে খোকন
আকাশ পানে চেয়ে,
নানা প্রশ্ন করে খোকন
আম্মুর কাছে যেয়ে।

এতো সুন্দর সৃষ্টি যে কার
জানতে চায় যে সে,
এমন প্রশ্ন শুনে আম্মু
ওঠে মুচকি হেসে।

আম্মু বলে শোনো খোকন
সৃষ্টি হলো তার সব,
যিনি তোমায় করলেন সৃষ্টি
তিনি-ই মোদের রব।

 

 

আমরা শিশু
মেহেজাবিন রিয়া

দেশকে সবাই জাগিয়ে দিবো
দেখাবো আলোর পথ,
আমরা শিশু আমরা কিশোর
আমরা ভবিষ্যৎ।

দেশকে ভালোবেসে জীবন
বিলিয়ে দেবে যে,
প্রকৃত বীর সে-ই চিরদিন
সবচে’ মহান সে।

আমরা যারা আজকে শিশু
কালকে বড় হয়ে,
দেশ সাজাবো সত্য দিয়ে
পিছবো না কেউ ভয়ে।

 

 

কষ্টের ঢাকা
হোসাইন আনোয়ার

কাকের ডাকে ঘুম ভেঙে যায়
এইতো হলো ঢাকা
রাস্তা-ঘাটে চলতে গেলে
পাবেনাতো ফাঁকা।

পিচঢালা ঐ রাস্তা দিয়ে
চলবে তুমি যখন
গাড়ির ধোঁয়া ধুলোর সাথে
ঢুকবে নাকে তখন।

জাগায় জাগায় জ্যাম বাঁধিয়ে
সময় করে নষ্ট
যাত্রীরা সব গাড়ির ওপর
পেতে থাকে কষ্ট।

বর্ষা এলে একই পথে
নৌকায় করে চলে
সবাই তখন রাস্তাটাকে
বুড়িগঙ্গা বলে।

এই ধরনের একটি শহর
নামটি হলো ঢাকা
জীবন চলার তাগিদ থেকে
এই শহরে থাকা।

 

 

নেতাজি
রাশেদ সরোয়ার

আজ নেতাজি ব্যস্ত খুবই মাথায় খুবই চাপ
আসবে হেথা নেতা যিনি ছোট নেতার বাপ
নেতা বসেন সভা নিয়ে সবাই ধরে চুল
না জানি ভাই কার যে কখন হয় যে কেমন ভুল।

আসবে নেতা বানাও তোরণ বিছাও রাঙা পাটি
নেতা যেন বুঝতে পারে তার ভক্ত মোরা খাঁটি
এক এলাকার পুষ্প এনে ধরাও শত হাতে
পারলে কিছু ফুলযে ছিটাও নেতা আসার পথে।

ও নেতাজি কখনো তাদের দিয়ো না দূরে ঠেলে
যারা তোমার শিকড় মাঝে রক্ত দিলো ঢেলে।
বুঝে নিয়ো ও নেতাজি তারায় হলো মূল
তাদের কথা না ভাবলে করবে তুমি ভুল।

 

মা
আবু তারেক

মাগো তুমি সবার সেরা বিশাল এ ভুবনে
দেখলে তোমার ঐ মুখ দুঃখ থাকে না মনে।
মাগো আমার জন্ম হলো তোমার ঐ কোলে
যাইতে যেন না হয় মা তোমায় একা ফেলে।
মাগো আমি সুখ দেখলে তোমার হাসি
ইচ্ছে করে জনম ধরে তোমায় ভালোবাসি।
তোমার দুধের জন্য মাগো থাকবো আমি ঋণী
তুমি যদি মাফ করো মা মাফ পাব জানি।

 

সত্যটাকে সঙ্গী করো
আবু তালিব নিশাদ

সত্যটাকে মিথ্যা দিয়ে
ঢেকো না আর কোন কালে
সত্য সে এক মহান জিনিস
বুঝবে তখন প্রকাশ হলে।
না বুঝারই ভান করো না
বোকা সাজার মিটবে খায়েশ,
জীবন কি আর অন্য কিছু
কিংবা দুধের মিষ্টি পায়েস?
আমলকী ফল তিক্ত নাকি
তুমিও বুঝ খানিক বাদে
মিষ্টি অনেক স্মৃতির পাতা
জেনেও কেন জড়াও ফাঁদে?
হতাশ হওয়ার কারখানাতে
সকাল-সন্ধ্যা শ্রম দিও না
সত্যটাকে সঙ্গী করো
মিথ্যাতে আর মন দিও না।

 

লাল নীল ভাবনা
আবু ইউসুফ সুমন

না বলা সব কথাগুলো
ঘুমিয়ে আজ যাক
লাল নীল সব ভাবনা হাজার
কল্পনাতেই থাক।

রঙিন রঙিন স্বপ্ন দেখে
কে পেয়েছ জয়
জীবন যুদ্ধে লড়াই-ই সব
গড়তে পরিচয়।

এগোনো চাই বাধা এলেও
হোক না তা অনিচ্ছের
হাঁটতে গিয়ে পায়ে ব্যথা
অস্বাভাবিক কিসের?

কালকে করবো এটা-সেটা
এমন গল্প রেখে
এখন করা কী প্রয়োজন
সে ছকটা নেই এঁকে।

জীবনটা নয় পরীক্ষাতে
না লেখা ওই খাতা
কারণ ছাড়াই বললাম এসব
একদম-ই না তা!

 

পাখির ভিড়ে
ফারহান নাছির নির্ণয়

আম গাছ, জাম গাছ
কাঁঠাল গাছও আছে,
ডালে ডালে উড়ে বেড়ায়
পাখিরা নাচে।

লিচু গাছে হলদে পাখি
বট গাছে কাক,
গাছ শিমুলে কোকিলের
শুনি মধুর ডাক।

পেয়ারা গাছে ময়না পাখি
জাম গাছে শালিক,
ভিতর থেকে দৌড়ে এসে
ঢিল ছুড়ে মালিক।

বরই গাছে উড়ে এসে
তোতা পাখির ঝাঁক,
মুখরিত করে তোলে
কিচিরমিচির ডাক।

 

আমার ইচ্ছে
জান্নাতুল ফেরদৌস

ইচ্ছে আমার অনেক বড়
করব লেখাপড়া
লিখব অনেক কবিতা আর
গল্প-নাটক ছড়া।

মস্ত বড় লেখক হব
মস্ত বড় কবি
রং তুলিতে আমার দেশের
আঁকব কত ছবি।
আমার লেখা পড়বে সবাই
দেখবে আঁকা ছবি
অনেক বড় শিল্পী হব
মস্ত বড় কবি।

 

¯েœহের পানি
ফরিদ আহমদ ফরাজী

এই বাবুটির নাম জানি না
টোকাই বলে ডাকি
ছেঁড়া কানি গায়ে জড়ানো
ডাগর ডাগর আঁখি।
মাতা-পিতার নাম জানে না
কোথায় বাড়ি ঘর?
ক্ষুধার জ্বালায় ছোট ছেলের
ক্ষীণ গলার স্বর।
ওর বয়সের ছেলে মেয়ে
ইশকুলে যায় নিত্য
সে বয়সে কায়িক শ্রমিক
ও যে পরের ভৃত্য!

 

Share.

মন্তব্য করুন